নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিন ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সফরটিকে নিতান্তই একটি রুটিন সফর হিসেবে মনে করছেন বাংলাদেশে কাজ করে গেছেন এমন একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, যে দায়িত্বে ডোনাল্ড লু আছেন এই দ্বায়িত্বে থাকা অবস্থায় এটাই তাঁর ওই এলাকাগুলোতে শেষ ভিজিট। এবং সাধারণত দ্বায়িত্বের শেষ মেয়াদে সকলে এটা করে থাকেন। তাই এই ভিজিটকে রুটিন ভিজিটের বেশি বাড়তি কোন সিদ্ধান্তমূলক ভিজিট হিসেবে দেখার খুব বেশি যুক্তি নেই বা সাধারণত ঘটে না।
তিনি বলেন, যদিও তিনি এখন সিস্টেমের বাইরে। তাই তার কাছে ওইভাবে কোন তথ্য নেই। তবে তারপরেও তিনি মনে করে, এখানে প্রথম বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নতুন সরকারের সঙ্গে দেখা করেলেন ও লু তার শেষ ভিজিটিও শেষ করলেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ও মার্কিনিদের যে পারস্পারিক বিষয়গুলো আছে তা কিছুটা আলোচনায় আসবেই। সেগুলোকেও তিনি মনে করেন একটা রুটিন ওয়ার্ক।
তাছাড়া মার্কিন পরারাষ্ট্রনীতিতে যেহেতু ডেমেক্রেসি ও মানবাধিকারের বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয়া হয়। সেগুলো এ কোন পর্যায়ের কোন কর্মকর্তা কোন দেশ সফর করলে অবশ্যই ওই বিষয়ে কথা বলেন। এবং মার্কিন এই উদার গণতান্ত্রিক নীতি যাতে এগিয়ে যায় সে জন্য তার বক্তব্য ও চেষ্টা থাকে।
রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত জটিল। এ নিয়ে এ মুহূর্তে তাদের কিছু করার আছে বলে তিনি মনে করেন না।তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব সময়্ এ ধরনের বিষয়ে কাজ করে। যে কোন উদ্বাস্তুদের জন্যে কাজ করা তাদের মানবাধিকার নীতির মধ্যে পড়ে। এ সফরে এ বিষয়টি নিয়ে খুব কিছু এগোনেরা সুযোগ আছে বলে তিনি মনে করেন না।
তবে ইন্দো প্যাসিফিকে বাংলাদেশ যাতে শান্তির পক্ষে অর্থাত্ আমেরিকার ও তার মিত্ররা যে শান্তির পথ তৈরি করার চেষ্টা করছে সেই পথে থাকে সেটা স্মরন করিয়ে দেয়া তার অনান্য বারের সফরের মত তিনি আবারও একটি রুটিন ওয়ার্ক।
Leave a Reply