লোকসভা ভোটের পর কেন্দ্রে বিজেপি-বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে সরকার গঠন করতে ‘বাইরে থেকে সমর্থন’ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেল থেকেই সরগরম ছিল রাজনৈতিক ময়দান। প্রশ্ন উঠেছিল তার এই সিদ্ধান্তের পিছনে কি নতুন কোনও ইঙ্গিত রয়েছে?
আলোচনা যখন তুঙ্গে ঠিক সেই সময় আবারও বক্তব্য ‘বদল’ করলেন তিনি। জানিয়ে দেন, তিনি ‘জোটেই আছেন’।
বুধবার হুগলি জেলার চুঁচুড়ায় তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে নির্বাচনি জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে একদিকে স্পষ্ট করে দেন যে ইন্ডিয়া জোটের জয় সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত। একই সঙ্গে জানান, বিজেপি-বিরোধী জোট কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে ‘নেতৃত্ব দিয়ে বাইরে থেকে সমর্থন করে’ সরকার গঠনে সাহায্য করবে তার দল।
মমতা ব্যানার্জী ওই জন সভায় বলেছিলেন, “ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে, বাইরে থেকে সব রকম সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেব। যাতে বাংলায় আমার মা-বোনেদের কোনও দিন অসুবিধা না হয়, ১০০ দিনের কাজে কোনও দিন অসুবিধা না হয়।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে ঠিক কী ইঙ্গিত দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে শুরু হয় বিস্তর জল্পনা। কারণ ইন্ডিয়া জোটের গঠনে নিজের ভূমিকা নিয়ে প্রায়শ বলতে শোনা যায় তাকে। কংগ্রেসসহ অন্যান্য শরিকদের বিরুদ্ধে সরবও হলেও জোটের জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত তিনি।
অন্যদিকে, রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট নেই একথা স্পষ্ট করে দিলেও কেন্দ্রে যে তিনি শরিক সে কথা বারবার বলে এসেছেন।
তবে বুধবারের আগে এমন ‘নতুন সুর’ শোনা যায়নি মমতা ব্যানার্জীর গলায়।
ভারতে ইতোমধ্যে চারদফা লোকসভা ভোট হয়ে গিয়েছে। পঞ্চমপর্ব আসন্ন। রাজনীতির অঙ্কও বদলেছে। জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলে প্রশ্ন থাকলেও এখন ছবিটা একটু অন্যরকম।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ঝাড়খণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতার, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুসন্ধানের মতো ইস্যুকে ঘিরে ইন্ডিয়া জোট একমঞ্চে এসেছে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ, সন্দেশখালির ঘটনায় সাম্প্রতিক মোড় এবং অন্যান্য ঘটনাকে ঘিরে বিজেপি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে। এবং তাদের এই অস্বস্তি বিজেপি-বিরোধী জোটের পক্ষে যাচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ঠিক এই অবস্থায় মমতা ব্যানার্জীর ‘বাইরে থেকে সরকার গঠনে সাহায্যের’ আশ্বাস একাধিক প্রশ্ন তুলেছিল।
এই বক্তব্য কি তাহলে ইন্ডিয়া জোটে মমতা ব্যানার্জীর নতুন অবস্থানের ইঙ্গিত? না কি আগামী পর্বের ভোটের কথা ভেবে অন্য কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ রয়েছে এর পিছনে?
তার এই বক্তব্যকে বিজেপি যেমন কটাক্ষ করেছিল, তেমনই বাম এবং কংগ্রেস দেখেছিল ‘সুবিধাবাদ’ হিসাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আবার মনে করেন এই মন্তব্যের পিছনে রয়েছে ‘নির্দিষ্ট সমীকরণ’।
তার বক্তব্য ঘিরে যখন উত্তপ্ত রাজনীতির ময়দান তখনই আবার তা ‘বদলালেন’ মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বিকেলে হলদিয়ার সভা থেকে দাবি করেন করেন সর্বভারতীয় স্তরের ইন্ডিয়া জোটে তিনি ‘আছেন’।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া লেভেলে (সর্বভারতীয় স্তরে) আমরা বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ তৈরি করেছিলাম। আমরা জোটে থাকব। অনেকে আমাকে ভুল বুঝেছে। আমি জোটে আছি। আমি ওই জোট তৈরি করেছি। আমি জোটে থাকবও। সর্বভারতীয় স্তরে আমরা জোটে থাকব।এখানকার সিপিএম- কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে আছে।”
লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোটের জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত মুখ্যমন্ত্রী।
সাম্প্রতিক নির্বাচনি সভায় যে কটি বিষয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে তা হলো বিজেপির ‘৪০০ সিট পারের’ লক্ষ্যকে কটাক্ষ, সাম্প্রতিককালে বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, রাজ্যকে কেন্দ্রের বঞ্চনা, রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজসহ নানা বিষয়।
উঠে এসেছে ইন্ডিয়া জোটের প্রসঙ্গও। প্রতিবারই তিনি গর্বের সঙ্গে জানিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নাম তার দেওয়া। বলেছেন, ভোটের পর ছবিটা বদলাবে, বিজেপির সরকার পতনের পর ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসবে।
একই সঙ্গে জানিয়েছেন রাজ্যে এই জোটের কোনও অস্তিত্ব নেই কারণ বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি হাত মেলাতে নারাজ। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটে তিনি আছেন।
তবে, ছন্দ পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল বুধবারের সভায়। সেখানে বিজেপির আসন জেতার লক্ষ্যকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছিলেন, “বিজেপি অহঙ্কার করে বলেছিল, ইসবার চারশো পার। মানুষ বলছে, নেহি হোগা দোশো পার। এই বার হবে পগারপার।”
সর্বভারতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটের কথা বলতে গিয়ে রাজ্যে বাম-কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। বুধবারের সভায় বলেছিলেন, “বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস আমাদের সঙ্গে নেই। এই দুটো বিজেপির সঙ্গে রয়েছে।”
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন নির্বাচনের পরে কেন্দ্রে বিজেপি-বিরোধী সরকার গঠনের জন্য তিনিই বাইরে থেকে সমর্থন করবেন।
বিজেপির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বাম এবং কংগ্রেস।
তৃণমূল সুপ্রিমোর বুধবারের বক্তব্যের পর তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। সমালোচনা করেছে রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের শরিক বাম ও কংগ্রেস।
তার বুধবারের বক্তব্যের প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে লোকজনশক্তি পার্টির সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান (বিরোধী এনডিএ জোটে সামিল) বলেছিলেন, “কোনও আদর্শ বা নৈতিকতা নেই এদের। তাই বারবার বক্তব্য পরিবর্তন হয়।”
একইসঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের কটাক্ষ করেছেন তিনি। চিরাগ পাসোয়ান বলেছেন, “যাদের বিরুদ্ধে উনি (মমতা ব্যানার্জী) ভোটে লড়ে আসবেন তাদের সঙ্গে কীভাবে কেন্দ্রে সরকার বানাবেন? আসলে এরা কেউই দেশের উন্নয়নের কথা ভাবেন না। শুধুমাত্র ভাবেন ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি।”
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। বুধবার পুরুলিয়ার সভায় তিনি বলেন, “আমরা মোদীজীর নেতৃত্বে মজবুত সরকার চালাই। আমরা মজবুত সরকার গড়তে চাই। আর মমতা দিদি আর ইন্ডিয়া জোট চায় অসহায় সরকার বানাতে।”
‘ইন্ডিয়া জোটকে বাইরে থেকে সমর্থনের’ পরিবর্তে সর্ব ভারতীয় স্তরে শরিক হওয়ার বার্তা প্রকাশের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, ‘‘উনি জোট থেকে পালিয়ে গিয়েছেন! ওঁর কোনও কথায় আমি ভরসা করি না। এখন দেখছেন হাওয়া বদলাচ্ছে, তাই এ দিকে ভিড়তে চাইছেন। বিজেপির দিকে পাল্লাভারী দেখলে ও দিকে যাবেন।’’
এর আগে, বুধবার মমতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মি. চৌধুরী বলেছিলেন, ভোটের ফলাফল আঁচ করেই ‘সুর বদল’ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
“তৃণমূল বুঝতে পারছে বাংলায় তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। ভোটের পর দলটাই ভেঙে যাবে এবং অনেকে কংগ্রেসে যোগ দেবেন। তাই সব রাস্তা খোলা রাখার চেষ্টা করছেন,” বলেন মি. চৌধুরী।
অন্যদিকে, মমতা ব্যানার্জীর মন্তব্যে বিজেপির সঙ্গে ‘গোপন আঁতাতের’ ইঙ্গিত আরও একবার মিলেছে বলে দাবি করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তার কথায়, ‘‘আমরা তো গোড়া থেকেই বলছি, বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে মমতার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। এই দোদুল্যমান অবস্থা সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে।’’
‘‘উনি আসলে বিজেপিকে বার্তা দিয়েছেন, ভাইপো যেন ভিতরে না যায়। দু’নৌকোয় পা দিয়ে চলতে চাইছেন।’’
মুখ্যমন্ত্রীর বারবার ‘সুর পরিবর্তনের’ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং অধ্যাপক ড. বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, “মমতা ব্যানার্জী নিজের সুবিধা মতো কথা বলেন, আবার প্রয়োজনে বক্তব্য পরিবর্তনও করেন।”
হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির গবেষক ও লেখক স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আসলে ত্রিমুখী লড়াইটা জিইয়ে রাখতে চাইছেন। তিনি চাইছেন, তৃণমূল বনাম বিজেপি বনাম বাম-কংগ্রেস লড়াইটা চলুক যাতে তৃণমূল বিরোধী ভোটটা এক তরফা বিজেপির ঝুলিতে না যায়।”
একই সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো অন্য একটি বিষয়েও আশ্বাস জিইয়ে রাখতে চেয়েছেন বলে মনে করেন মি. ভট্টাচার্য।
তার কথায়, “বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে এই রাজ্যে যে শত্রুতা রয়েছে এবং হাত মেলানোর কোনও সম্ভাবনা নেই এই বিষয়ে আবারও আশ্বাস দিতে চেয়েছেন। তবে এই কাজটা একটু সাবধানে করেছেন। কারণ সরাসরি এদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালে বাম ও কংগ্রেসের সুবিধা হবে। তারা তৃণমূল এবং বিজেপির গোপন আঁতাত রয়েছে এটা বলার সুযোগ পাবে।”
এই প্রসঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলোর একে অন্যকে গোপনে বিরোধী-ঘেঁষা বা তাদের হয়ে রাজনৈতিক ময়দানে খেলতে নামা অন্য টিম বলে চিহ্নিত করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
তার কথায়, “এখানে সবাই সবাইকে বি-টিম বলে চিহ্নিত করতে চাইছে। বিজেপির যুক্তি হলো তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামেরা একসঙ্গে ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে। আর তাই, বাম এবং কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া আর তৃণমূলকে ভোট দেওয়া এক।”
“অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, সিপিএম এবং কংগ্রেসকে ভোট দেওয়াই হলো বিজেপিকে ভোট দেওয়ার সমান। আর বাম-কংগ্রেসের দাবি, বিজেপিকে ভোট দেওয়া এবং তৃণমূলকে ভোট দেওয়া এক।”
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী দুটো বার্তা দিতে চাইছিলেন বলে মনে করেন মি. ভট্টাচার্য।
“বিজেপি ক্ষমতায় আসছে না বলে তাদের (বিজেপির) পক্ষের হাওয়াটা কমাতে চান।আরেক দিকে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধিতা করে তৃণমূল বিরোধী ভোটটা ভাগ করতে চান।”
পঞ্চমদফা ভোটের আগে মমতা ব্যানার্জীর গলায় এই ‘সুর পরিবর্তন’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইন্ডিয়া জোট নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর সুর পরিবর্তনের ‘টাইমিং’কে ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এর পিছনেও রয়েছে অঙ্ক। ভোটব্যাঙ্কের অঙ্ক।
স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্যের কথায়, “সাধারণ মানুষের মধ্যে একেবারে তৃণমূল স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রতি প্রবল ক্ষোভ রয়েছে। এবং সেটা দল জানে।”
ইতিমধ্যে চারদফা ভোট হয়ে গিয়েছে। আগামী ২০শে মে পঞ্চম দফা ভোট রয়েছে। ফল কী হতে চলেছে তাও আন্দাজ করতে পারছে রাজনৈতিক দলগুলো।
মি. ভট্টাচার্য বলেছেন, “উত্তর দিনাজপুর থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত যেখানে মুসলিম ভোট হিন্দুদের সমান-সমান বা কোথাও কোথাও বেশি, সেখানে ভোট হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল জানে এখানে বাম এবং কংগ্রেস তাদের মুসলিম ভোটে কিছুটা হলেও থাবা বসিয়েছে।”
“এখন দক্ষিণবঙ্গে ভোট বাকি যেখানে অধিকাংশ সিটে হিন্দু ভোটারা সংখ্যায় বেশি। এই পরিস্থিতিতে বাম-কংগ্রেসের প্রতি সুর নরম করলে হিন্দু ভোট বিজেপির দিকে সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যেটা উনি চান না।”
এখন প্রশ্ন হলো কেন বৃহস্পতিবার তমলুকের সভা থেকে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে আবার ‘ব্যাখ্যা’ দিলেন মমতা ব্যানার্জী।
মি. ভট্টাচার্য বলেন, “এর কারণ হলো, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের গোপন আঁতাত রয়েছে, এমন কোনও ধারণা যেন জন মানসে তৈরি না হয়। তাই তিনি আবার ব্যাখ্যা করেছেন।”
“অন্যদিকে, বসিরহাটে ৪৫% , ডায়মন্ড হারবারে ৩৮% এবং জয়নগরে ৩০%মুসলিম ভোটার। এই আসনে ভোট এখনও বাকি। এই অবস্থায় যদি এই বার্তা যায় যে উনি ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে তাহলে এই লোকসভাগুলোতে বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে,” বলেন মি. ভট্টাচার্য।
Leave a Reply