শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪০ অপরাহ্ন

অহিংসায় অবনত মস্তক

  • Update Time : বুধবার, ২২ মে, ২০২৪, ১২.০২ এএম

নিয়ান্ডারথালদের সভ্যতা হোমো সেপিয়ান্সের আগে বলেই ধরা হয়। সেই বরফ যুগের আগে নিয়ান্ডারথাল রমনী গাছ থেকে ফুল হাতে নিয়েছিলো। কাঁটা নেয়নি। তাই সুন্দর বা হিংসাহীন আনন্দিত হবার শুরুটা যে কবে তার সঠিক হিসাব পৃথিবী জানে না।

এরপরে সভ্যতার ক্রম বিকাশে কাঁটার বিপরীতে ফুল, অসুন্দরের বিপরীতে সুন্দর আর হিংসার বিপরীতে অহিংসা- এই যাত্রা পাশাপাশিই চলছে। বাস্তবে এ সভ্যতার এক গোপন ও নীরব ফল্গুধারা।

তবে মাঝে মাঝে দেখা যায়, এমন কেউ কেউ এসে যায় সভ্যতার এই পথে- যার মনের ভেতর থাকে একটা বিশাল বাহু। মনের সেই বাহুর শক্তি দিয়ে  পাথরের পাহাড় থেকে নদীকে টেনে এনে করে দেয় স্রোতিস্মীনি। আর সে নদী তখন অহিংসার স্রোতটি অনেকটা ভূমিতে প্লাবিত শুধু করে না, সেখানে নতুন নতুন ফুলও ফোঁটায়।

এমনি এক মনের বাহু’র শক্তি গৌতম বুদ্ধ বা সিদ্ধার্থ। যিনি ভারতীয় সভ্যতায় অহিংসার বা সুন্দরের নদীকে এমন স্রোতস্মীনি করেছিলেন যে তার প্লাবন বয়ে যায় গোটা এশিয়ার ভূখন্ড জুড়ে,- গঙ্গা আর মেকং বা মা-গঙ্গায় একই জলধারা প্রবাহিত হয়।

এই জলধারার ওপর যখন রক্তের বা কাঁটার ছাপ আসে তখন ধরে নিতে হয় সিদ্ধার্থ যে সিদ্ধি লাভ করেছিলো তা থেকে এ ভূমির মানুষ সরে যাচ্ছে।

তবে তারপরেও হতাশ হয় না সভ্যতা। কারণ যে স্রোত ফুল ফোটাঁয়, তাকে মরুপথে ঠেলে দেয়া যায় তবে সে মরু চিরকালের নয়। চিরকালের থাকে সিদ্ধি বা জ্ঞান যার প্রতিশব্দ বুদ্ধ। যেখানে শান্তি ও অহিংসায় অবনত সকল মস্তক।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024