শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৯ অপরাহ্ন

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৭৮)

  • Update Time : শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪, ২.০৬ পিএম

পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।

সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।

 

নেতা কোন ক্ষেত্রে বেশি জোর দেবে দায়বদ্ধতা না ক্ষমতা

নেতার জন্যে সব থেকে বড় প্রশ্ন এসে সামনে দাঁড়ায় নেতা কোন ক্ষেত্রে বেশি জোর দেবে,  ক্ষমতা না দায়বদ্ধতা? বাস্তবে ক্ষমতা ও দায়বদ্ধতা অনেকটা একই রকম মনে হয়। মূলত একটি সুক্ষ্ম রেখা দিয়ে এটা পৃথক করা থাকে।

স্মার্ট লিডারের প্রথম কাজ বা যোগ্যতা হলো ওই সুক্ষ্ম রেখাটিকে চেনা বা বুঝতে পারা। যে নেতা যত বেশি দায়বদ্ধতা ও ক্ষমতার পার্থক্যের রেখাটি চিনতে পারবে সেই প্রকৃত অর্থে স্মার্ট লিডার হয়ে ওঠে। যে কারণে পৃথিবীতে দল, রাষ্ট্রে, সংগঠনে, টিমে এবং কোম্পানিতে বহু নেতা প্রতিদিন জম্ম নিচ্ছে কিন্তু স্মার্ট নেতার সংখ্যা খুবই কম বা খুব কম নেতাই স্মার্ট নেতাতে নিজেকে উন্নীত করতে পারে।

স্মার্ট নেতার বেশ কিছু গুন অবশ্যই থাকতে হয়

১. প্রথমত ক্ষমতাকে উদারীকরণ, কারণ ক্ষমতা যত কঠোর হয় ততই ক্ষমতা ভঙ্গুর হয়। এবং সে ক্ষমতার সঙ্গে দায়বদ্ধতার সীমা কমে যায়। সীমা কমে যায় নিজের উপলব্দিরও।

২. ক্ষমতায় যুথবদ্ধতা। নেতা অবশ্যই নেতা। সে নেতৃত্ব দেবে। সে  ভিশন সৃষ্টি করবে। তারপরেও নেতাকে অবশ্যই সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হয় যাতে তার সমগ্র টিম তার সঙ্গে নেতৃত্বে শরিক হতে পারে। এবং এটা তাকে মনে রাখতে হয়, ভিশনারী নেতা অবশ্যই সামনের দিকে দেখবে। কিন্তু সামনের চলার পথটি অবশ্যই যাতে সকলে মিলে দেখতে পায়, সে সুযোগ তাকেই তৈরি করতে হবে।

৩. নেতা কখনও কাজ করাবে না বা যুদ্ধ করাবে না। সে সকলকে কাজ বা যুদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে দেবে। তার প্রতিটি কর্মী বা সদস্য বা নেতা যেন বুঝতে পারে বা উপলব্দি করে সেই কাজটি করছে। সেই তার ফ্রন্টে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

৪. কঠিন সময়ে নেতাকে সকলের দ্বায়িত্ব নিতে হয়। তবে নেতা যখন সকলের দ্বায়িত্ব নেবে তখন নেতাকে অবশ্যই এটা বুঝতে হবে সে যেন সকলকে বিপদে ফেলে না দেয় এবং তাদের ভবিষ্যতের পথ খোলা রাখে।

৫. নেতাকে মনে রাখতে হয় তার জন্য সময় নির্দিষ্ট- কিন্তু কোম্পানি, দল টিম এমনকি একটি রাষ্ট্রের জন্যে সময় নির্দিষ্ট নয়। তাই নেতা সব সময়ই নিজের ভবিষ্যতের থেকে প্রতিষ্ঠানের ও টিমের ভবিষ্যত দেখবে।

৬. নেতা যদি ভুলেও নিজের ভবিষ্যতকে বড় মনে করে তখনই সে অবচেতনভাবে প্রতিষ্ঠানের জন্যে ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে।

৭. নেতা দায়িত্ববান হতে হলে অবশ্যই যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেবে আনুগত্যকে নয়। যোগ্যতা ছাড়া যে আনুগত্য সে আনুগত্য মোসাহেবী- তা মূলত ক্ষতিকারক।

৮. নেতাকে বুঝতে হবে, যোগ্যতাই তার দলকে এমনকি তার প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত রক্ষা করতে সহায়ক হবে।

৯. যোগ্যতাহীন আনুগত্য বাস্তবতা বিবর্জিত আনুগত্য নেতাকে যে কোন মুহূর্তে বিপদে ফেলে দিতে পারে।

১০. নেতা যদি অবচেতনভাব দ্বায়িত্ববানের পরিবর্তে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠে তখন সে যোগ্যতাকে চেনার চোখ হারিয়ে ফেলে তার চোখে তখন আনুগত্যকেই যোগ্যতা মনে হয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024