শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন

নীলের বিশ্বায়ন – নীল ও ঔপনিবেশিক বাংলায় গোয়েন্দাগিরি (পর্ব-১৫)

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০২৪, ১২.০০ পিএম

পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল

অনুবাদ : ফওজুল করিম


নতুন অঞ্চল: বঙ্গদেশ
আমেরিকান বিপ্লব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃটেনের উত্তর আমেরিকার উপনিবেশগুলো থেকে নীল রফতানী বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। আর ঠিক তখুনি বাংলাদেশে নীলচাষ করার পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ হয় শুরু। বঙ্গদেশে প্রথম নীল চাষ করার কুঠির প্রতিষ্ঠা হয় ১৭৭৮ বা ১৭৭৯ সালে। প্রাথমিক অবস্থায় ইংলিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অব্যবস্থায় কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি হয়। বেসরকারি ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুক্তি করে কাজে নামার উদ্যোগই এই অসুবিধার কারণ।
“ইউরোপীয় তত্ত্বাবধানে ফ্যাক্টরি স্থাপন করে আগ্রা ও অযোধ্যা থেকে ভারতীয় নীল উচ্চ মূল্যে কিনে কোম্পানীকে সরবরাহ করা হয়। ১৭৮৮ সালে এই চুক্তি বাতিল করে কোম্পানী। এর জায়গায় বঙ্গদেশের প্রথম শ্রেণীর সাত আট জন ইউরোপীয় নীল উৎপাদনকারীকে সহায়তা করে কোম্পানী। এরা ওয়েষ্টইন্ডিজের পদ্ধতিতে নীল উৎপাদনের চেষ্টা করছিল।
শুরুর দিকে উত্তর ভারতের নীল উৎপাদনকারীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বাংলার নীল উৎপাদকদের (বৃটেন তখনও উত্তর ভারত দখল করেনি) সংরক্ষণ দিত। কলকাতার পথে নীলের যে চালান ইউরোপে যেত তার উপর ইংরাজ সরকার কর আরোপ করত। বৃটিশ সরকার নীলকরদের ঋণ দিত, সর্বোতকৃষ্ট ক্যারিবিয়ান নীলের নমুনা দিত তাদের যাতে তারা ওই নীলের চাইতে উৎকৃষ্টতর নীল উৎপন্ন করতে পারে।
এ ছাড়াও তারা ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের অভিজ্ঞ নীলকরদের বাংলাদেশে গিয়ে নীল উৎপাদন করতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিত। মরিশাসে নীল চাষের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রণীত একটি ফরাসী বিধিমালা অনুবাদ করে ১৭৮৯ সালে কলকাতা থেকে তারা প্রকাশ করে। প্রথম দিকে বৃটিশ কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ ভারতে নীল উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় যাতে বাজারে নীলের সরবরাহ অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে না যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024