সারাক্ষণ ডেস্ক
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দুজন সংসদ সদস্য বলেছেন, বাংলাদেশ এখন কঠিন সংকটকাল পার করছে। এক দিনে এ সংকট হয়নি। এর অন্যতম কারণ লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থ পাচার। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ওই দুজন সংসদ সদস্য। তাঁদের একজন ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর দাবিও জানান।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ওই দুজন সংসদ সদস্য এ দাবি জানান।
ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর দাবি জানান জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম। বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, করোনাকালে কঠিন সংকট প্রধানমন্ত্রী সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারলেও এখন তাঁকে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর জন্য দায়ী একশ্রেণির দুর্নীতিগ্রস্ত ও অর্থ পাচারকারী ব্যাংক লুটেরা। যাঁরা বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। যদিও সরকার এখন এই রাঘববোয়ালদের শক্ত হাতে ধরা শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সম্প্রতি বাংলাদেশে সফর নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
জোনাল্ড লু বলেন, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত মে মাসে আমরা ৭০৩১ (সি) ধারার অধীনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ‘পাবলিক ডেজিগনেশন’ (এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা) ঘোষণা করি। দুর্নীতির এ অভিযোগগুলোর ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীরা বিবৃতি দিয়েছেন, আমরা এ ব্যাপারটি স্বাগত জানাই।
অদূর ভবিষ্যতে অন্যান্য উচ্চ-প্রোফাইলের বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপরও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র আরোপ করবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যখন আমাদের কাছে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকে, তখন আমরা সারা বিশ্বেই নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা বিধিনিষেধের আকারে প্রকাশ্যে পদক্ষেপ নিই। আমাদের আইনগুলো আমাদেরকে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা তাদের দুর্নীতির অর্থের গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট। আমি আশা করি, আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে মিলে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করে যাব।
বিরোধী দলের সঙ্গে দেখা না করার প্রসঙ্গে ডোনাল্ড লু বলেন, এটা প্রাক-নির্বাচনের সময় নয়, তাই এবারের সফরে আমি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করিনি। তবে এটা সত্য যে, গত বছর নির্বাচনের আগে আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকের সুযোগ পেয়েছিলাম।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কিছু অংশ নিয়ে খ্রিস্টান জাতি রাষ্ট্র গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিযোগ এবং বিমানঘাঁটি নির্মাণের বিষয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। নির্বাচনের সময় আমাদের অগ্রাধিকার ছিল শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফর করেন। এ সফরে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। এ সফরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সম্পর্কের মাঝে আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনা ও অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তীব্র গরমে রাতে ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি উঠছে বিদ্যুতের চাহিদা। যদিও এ চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে হচ্ছে না বিদ্যুৎ উৎপাদন। সারা দেশে এখন লোডশেডিং বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলোয় ভোগান্তির মাত্রা এখন চরমে। এর বিপরীতে রাজধানী ঢাকাসহ শহরাঞ্চলে লোডশেডিং তুলনামূলক কম বলে গ্রাহক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
ঢাকার বাইরে অন্তত ১০ জেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব এলাকায় দিনে ও রাতে অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার দিকে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও গভীর রাতে অন্তত ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। এসব এলাকায় রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলো থেকে ঈদযাত্রীরা আসতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে গ্রামাঞ্চলে জনভোগান্তি আরো তীব্র হয়ে ওঠার বড় আশঙ্কা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রীষ্মের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন করতে না পারায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় বিতরণ কোম্পানিগুলোকে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। দেশের সিংহভাগ বিদ্যুতের গ্রাহক বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) আওতাধীন এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় সেখানেই গ্রাহক ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি।
সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, ১১ জুন দিনের বেলায় বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ১৬৭ ও রাতের বেলায় ১৫ হাজার ৭৯৮ মেগাওয়াট। আর গতকাল দিনে বিদ্যুৎ চাহিদার প্রাক্কলন ছিল ১৪ হাজার ৮০০ ও রাতে ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত গতকালের বিদ্যুৎ উৎপাদন তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি।
বিকাল ৫টা পর্যন্ত হালনাগাদকৃত লোডশেডিংয়ের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৫ থেকে সর্বনিম্ন ২৮৩ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ১০০ মেগাওয়াট, সেখানে সরবরাহ হয়েছে ১৪ হাজার ৯৯৫ মেগাওয়াট। লোডশেডিং দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৫৫ মেগাওয়াট। গতকাল দুপুরে লোডশেডিং ৩০০-৪০০ মেগাওয়াটের ভেতরে থাকলেও বিকাল থেকে তা বাড়তে থাকে। বিকালে লোডশেডিং হয়েছে ৬৫০ থেকে ৭৪৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত। ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাসের সংকট থাকায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। এছাড়া বিআরইবি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস ও লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে দুর্বল বিতরণ ব্যবস্থা। এ দুর্বল বিতরণ ব্যবস্থার কারণেই বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
সারা দেশে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়ছে গত মাসের শেষ দিক থেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিডিবির সদস্য (বিতরণ) রেজাউল করিম গত সপ্তাহে বণিক বার্তাকে বলেছিলেন, ‘বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদনে কিছুটা ঘাটতি হচ্ছে এটা সত্য। সেটি গ্যাসের কারণে। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি বেড়ে এখন দুই হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। আগে যেখানে গ্যাস থেকে সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত, সেখানে এখন পাঁচ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে। এর বাইরে ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তবে সেটি খুব বেশি নয়। সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।’
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা ও সাতক্ষীরায় গত কয়েক দিনে লোডশেডিংয়ের তীব্রতা বেড়েছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিদ্যুতের গ্রাহক আব্দুল আজিজ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের পর বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর সেটি ঠিক হলেও লোডশেডিং ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। দিনের বেলায় বিদ্যুৎ কম আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও রাতের বেলায় অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। পরিস্থিতি এতটাই অসহনীয় হয়ে উঠেছে যে গরমের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই ছড়াতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানপাট থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রতিষ্ঠান এমনকি হাসপাতালেও ভোগান্তি এখন চরমে।’
একই অভিযোগ করেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা মিনুয়ারা বেগম। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দিন-রাত মিলিয়ে পাঁচ-সাতবার লোডশেডিং হচ্ছে। একবার বিদ্যুৎ বন্ধ হলে কখনো দেড়-দুই ঘণ্টার আগে আসছে না। লোডশেডিং তীব্র হচ্ছে রাতের বেলায়। গরমে রাতের বেলায় ঠিকমতো ঘুম না হওয়ায় আমি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি।’
ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় প্রায় পৌনে তিন কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন ছিল, যা মোট গ্রাহকের প্রায় ৫৮ শতাংশ। ঘূর্ণিঝড়ের পর সংযোগ স্বাভাবিক হলেও গ্রীষ্মের প্রকোপ বাড়ায় লোডশেডিং ব্যাপক হারে বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উৎপাদন তীব্র সংকটে পড়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করেও বিআরইবির সদস্য (বিতরণ ও পরিচালন) দেবাশীষ চক্রবর্তীর কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিদ্যুতের উৎপাদন ঘাটতি রয়েছে। বিআরইবি চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কিছুটা কম পাচ্ছে। তবে গ্রাহক বেশি থাকায় বিদ্যুৎ বিতরণে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের আরেকটি বড় কারণ বিতরণ ব্যবস্থার দুর্বলতা।’
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে গড় চাহিদা সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু গ্যাসের অভাবে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর অর্ধেক সক্ষমতা বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্য ও ডলার সংকটের কারণে সেখান থেকেও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। সময়মতো বিল পরিশোধ না করায় কমেছে আমদানীকৃত বিদ্যুতের পরিমাণও।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হয়ে এ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত হয়েছেন। মানবিক কারণে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুর্নবাসন করা হলেও তৃতীয় কোনো দেশে রোহিঙ্গাদের পাঠানো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়। যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক শরণার্থীবিষয়ক সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দেখভালে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বাস্তুচ্যুত জাতিগোষ্ঠী নিরাপদে নিজ ভূমিতে ফেরত যেতে পারে, সে জন্য মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আঞ্চলিক দেশগুলো ও জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাকেঞ্জি রো বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত হয় এমন যে কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার দিক থেকে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২৪০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৯০ কোটি ডলার এসেছে বাংলাদেশে।
মার্কিন দূতাবাসের রিজিওনাল রিফিউজি কো-অর্ডিনেটর জানান, আঞ্চলিকভাবে ১২ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রের পুনর্বাসিত হলেও মানবিক সংকটের সমাধান হিসেবে এটি কোনো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া নয়। আগামী সেপ্টেম্বরে আমাদের রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের নতুন সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
মানবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের দেওয়া সহায়তা তাদের কাছে পৌঁছাক, যাদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। আর এসব বিষয়ে সমাধানে আমরা অংশীদারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কাজ করছি।
তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের একটি অপরিহার্য ভিত্তি হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার আগেই ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু এ খবর জানতেন বলে প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
গত ১২ মে কলকাতায় গিয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন এমপি আনার। পরের দিন তিনি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে বের হন। ২২ মে ভারত ও বাংলাদেশের পুলিশ জানায়, এমপি আনার খুন হয়েছেন।
Leave a Reply