অধ্যাপক ডাঃ এস এম বখতিয়ার কামাল
গরমের শেষ সময় চলছে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অত্যধিক হওয়ার কারণে ঘাম ও ঘামাচির সমস্যা যেমন বাড়ে তেমনি বাড়ে ত্বকে র্যাশ বা চুলকানির সমস্যাও। গরমের শেষ সময়ে এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়। যা আপনার ত্বকের সুরক্ষা করতে পারে।
সাধারণত এ সময়ের আর্দ্র বাতাসের কারণে প্রকৃতিতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু। ফলে শরীরে ঘামের সংস্পর্শে এসে ছত্রাক তৈরি করে। এই ছত্রাকই ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণ হয়ে উঠে। যা প্রচণ্ড গরমে অতি বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মনে রাখতে হবে গরমে ত্বকে সবচেয়ে বেশি যে ছত্রাকটির সংক্রমণ করে সেটি হলো টিনিয়া। এই ছত্রাক শরীরের বিভিন্ন অংশে জমে থাকা ঘাম এবং ধুলাবালিতে দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ছত্রাকের এই উপস্থিতি ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত ও চুলকানি তৈরি করে।
করণীয়- ত্বকে চামড়ার ভাঁজে এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়।
এ ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে শুরুতেই যেটি করতে হবে তাহলো শরীর বা ত্বককে শুকনো রাখা। গোসলের পর কিংবা কোনো কারণে ঘামে শরীর ভিজে গেলে দ্রুত তা তোয়াল দিয়ে মুছে নিন।
নিয়মিত পোশাক পরিচ্ছন্ন রাখুন। জীবাণু সংক্রমণ এড়াতে কাপড় ধোয়ার পর ডেটল পানিতে তা জীবাণুমুক্ত করে নিতে পারেন। ত্বকের সুরক্ষায় কাপড়ে প্রাধান্য দিন সুতি বস্ত্রকে।
পোশাকের সঙ্গে চামড়ার অধিক ঘর্ষণের ফলে অনেক সময় ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তাই গরমে আঁটসাঁট পোশাক পরার পরিবর্তে বেছে নিন ঢিলেঢালা পোশাককে।
একই প্রসাধনী, চিরুনি, তোয়ালে পরিবারের সব সদস্য একসঙ্গে ব্যবহার করার অভ্যাস থাকলে এখনই তা পরিবর্তন করুন।
ত্বকে র্যাশ বা চুলকানি এড়াতে নিয়মিত হাত-পায়ের নখ ছোট রাখুন। কেননা, বড় নখে জীবাণুর সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়। কোনো স্থানে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া দেখা দিলে সেখানে হাত স্পর্শ বা ঘষাঘষি না করে আক্রান্ত স্থানে বরফ দিতে পারেন। ত্বকের যেকোনো সংক্রমণে ত্বকে ক্রিম, লোশন বা যেকোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং গরমের কারণে ত্বকে সমস্যা জটিল হয় তাহলে নিতে হবে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা।
লেখক অধ্যাপক ডাঃ এস এম বখতিয়ার কামাল
চর্ম যৌন এলার্জি ও চুল রোগ বিশেষজ্ঞ
চেম্বার ডাঃ কামাল হেয়ার এন্ড স্কিন সেন্টার
১৪৪ BTI সেন্টার গ্রীণ রোড ফাম গেইট ঢাকা
Leave a Reply