বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মিশরে আবিষ্কৃত ৩০০০ বছরের পুরোনো ফারাওয়ের তলোয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার দত্তক বিতর্ক: হারানো পরিচয়, ভাঙা সম্পর্ক সেনাবাহিনী প্রধানের পাবর্ত্য চট্টগ্রামে দুর্গম পাহাড়ি সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন যথাযোগ্য মর্যাদায় তরুণ সেনা কর্মকর্তার নামাজে জানাজা এবং দাফন সম্পন্ন কর্মকর্তা-কার্মচারীদের চলমান মামলা সাত দিনের মধ্যে তুলে নিতে উদ্যোগ  মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-১৬৮) প্রকৃতিবিদের কাহিনী (কাহিনী-৩৭) শ্রীলঙ্কার নতুন রাষ্ট্রপতির প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি সঠিক পথে আনা ক্ষমতার ভারসাম্যর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীকে সরাসরি রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখা যেতে পারে –সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ- জামান চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেকে পরিবহন সেক্টর বাঁচাতে হবে – গোলাম মোহাম্মদ কাদের

‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে’ আড়াল হচ্ছে স্বর্ণ চোরাচালান

  • Update Time : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪, ৯.৩৬ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “কোরবানির পশু চাহিদার চেয়ে বেশি, তবু কমছে না দাম”

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে এবার চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশুর সংখ্যা বেশি। তবু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার হাটে পশুর দাম বেশ চড়া। ইতিমধ্যে হাটে পশু কিনতে গেছেন এমন ক্রেতাদের ধারণা, গত বছরের চেয়ে পশুর দাম এবার অন্তত ৩০ শতাংশ বেশি।

যদিও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলছেন, কৌশলে কিংবা ছলচাতুরী করে যাঁরা কোরবানির পশুর দাম বাড়াচ্ছেন, শেষ পর্যন্ত তাঁদের ‘মাথায় হাত’ পড়বে।

মন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এবার কোরবানির পশুর চাহিদা ১ কোটি ৭ লাখ। সেখানে গরু-ছাগলসহ কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। ২২ লাখের বেশি পশু বাড়তি আছে। বাজারে যেকোনো পণ্যের দাম নির্ধারিত হয় সরবরাহ ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে। দেশে প্রয়োজনের চেয়ে পশুর উৎপাদন ও সরবরাহ বেশি আছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম সাইফুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পশুর সরবরাহ বেশি থাকলে দাম বাড়ার কথা নয়; বরং কমে যাওয়ার কথা। সরকারি পরিসংখ্যানে যে সরবরাহের কথা বলা হচ্ছে, তা কতটা সত্য, বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

অন্যদিকে খামারিরাও বলছেন, পশু পালনের খরচ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে পশুখাদ্যের দাম গত বছরের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে কোরবানির পশুর বাজারে।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম  ‘‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে’ আড়াল হচ্ছে স্বর্ণ চোরাচালান’

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খুনের নেপথ্য কারণ স্বর্ণ চোরাচালান। ইতিমধ্যে এই চোরাচালান চক্রের কয়েকজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকও হয়েছে। তবে রহস্যজনক কারণে হঠাৎ মোড় বদলের চেষ্টা চলছে। ‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব’ মোড়কে স্বর্ণ চোরাচালানের বিষয়টিকে আড়াল করতে তত্পর একটি চক্র। এই চক্রের নেপথ্যে রয়েছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রভাবশালী একাধিক সংসদ সদস্য ও রাজনীতিক। ফলে আনার হত্যার মূল রহস্য শেষ পর্যন্ত অধরা থেকে যাওয়ার আশংকা করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

২০১৪ সাল থেকে এমপি আনার ওই অঞ্চলে স্বর্ণ চোরাচালান ও মাদক পাচারের একক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। এটা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রভাবশালী বর্তমান ও সাবেক এমপি ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে। এই বিরোধে এমপি আনার হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন, এটা উভয় দেশের আইন-শৃ্ঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত। বর্তমানে প্রভাবশালী স্বর্ণ চোরাচালানের মাফিয়া গ্রুপটি এখন এমপি আনার হত্যাকান্ডটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নানা ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেভাবে অতীতে শতাধিক হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি, এমপি আনার হত্যাকান্ডও যেন ঢাকা পড়ে যায়, তারা এমনটি ঘটানোর ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত। এই হত্যাকান্ডটি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা একেক দিন একেক বক্তব্য দিচ্ছেন, যা প্রকৃত ঘটনাটি আড়াল করার ‘ষড়যন্ত্র’ বলেও স্বজনহারা পরিবারের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন।

এদিকে, সংসদ সদস্য আজীম হত্যাকান্ডের বিচার আদৌ হবে কিনা তা নিয়েও তার পরিবার ও নির্বাচনী এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। স্বয়ং এমপি আনারের মেয়ে মমতারিন ফেরদৌস ডরিন সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই আশংকা প্রকাশ করে বলেন, খুনিদের ছাড়িয়ে নিতে বড় বড় জায়গা থেকে তদ্বির আসছে। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুনিদের বিচার অবশ্যই হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

 

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “কাশ্মীর নিয়ে চীন-পাকিস্তানের বিবৃতি, যা বলল ভারত”

জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে চীন ও পাকিস্তান। এ নিয়ে এবার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীরকে যুক্ত করা ‘অযৌক্তিক উল্লেখ’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। খবর এনডিটিভির

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৪ থেকে ৮ জুন চীন সফর করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এ সময় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এরপর দুই দেশের পক্ষে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, দুই দেশের শীর্ষ নেতা চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর সিপেক নিয়ে আলোচনা করেন। এই করিডোর পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরে অবস্থিত। জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চীনকে বিস্তারিত জানিয়েছে পাকিস্তান। জবাবে চীন এই সংকট সমাধানের তাগিদ দেয়।

বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘৭ জুন ২০২৪–এ চিন ও পাকিস্তানের যৌথ বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অযৌক্তিক উল্লেখ করেছে। আমরা স্পষ্টভাবে এই ধরনের উল্লেখ প্রত্যাখ্যান করি।’

তিনি বলেন, ‘এই ইস্যুতে আমাদের অবস্থান সংশ্লিষ্ট পক্ষের কাছে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সুপরিচিত। জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। সেখানে অন্য কোনো দেশের অবস্থান নেই।’

পাকিস্তানের চরম অর্থনৈতিক সংকটের জন্য আংশিকভাবে দায়ী করা হয় ‘চীনা ঋণের ফাঁদকে’। শ্রীলংকাও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “১৮ জেলার ২৫ শতাংশের বেশি এখনো পড়তে ও লিখতে জানে না”

দেশে শতভাগ সাক্ষরতা নিশ্চিতে গত কয়েক দশকে সরকারিভাবে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এ নিয়ে দেশী-বিদেশী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর (এনজিও) পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে অনেক প্রকল্প ও কর্মসূচি। এসব প্রকল্পের অগ্রগতি আশানুরূপ বলে বিভিন্ন সময় দাবিও করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর ন্যাশনাল রিপোর্টের অধীন আর্থসামাজিক ও জনমিতিক জরিপ ২০২৩-এর তথ্য বলছে, দেশের ১৮টি জেলায় এখনো ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ লিখতে বা পড়তে পারেন না। এমনকি অতীতে নিরক্ষরতামুক্ত হিসেবে ঘোষিত জেলাও এ তালিকায় রয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024