২০২০ সাল থেকে চীন তার পারমাণবিক মজুদ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে, যা ওয়াশিংটনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে লঞ্চার এবং ওয়ারহেডের দ্রুত বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আশঙ্কা করে তুলেছে যে চীন তৃতীয় প্রধান পারমাণবিক মহাশক্তি হয়ে উঠছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরের প্রতিবেদনে, কমিশন বর্তমান বৈশ্বিক পারমাণবিক পরিবেশকে ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করেছে। তারা সুপারিশ করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পারমাণবিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করার কথা বিবেচনা করবে, যার মধ্যে ওয়ারহেড, ডেলিভারি সিস্টেম, প্রতিরক্ষা এবং লঞ্চার অন্তর্ভুক্ত।
বিশেষজ্ঞরা একমত যে বিশ্ব পারমাণবিক গঠন ও সংকটের যুগে ফিরে আসছে। গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে নতুন পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে, কিছু বিশেষজ্ঞ অপ্রয়োজনীয় উত্থানের আশঙ্কা করছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন “দুটি-পিয়ার সমস্যা”র সম্মুখীন, যেখানে এটি রাশিয়া এবং চীনের পারমাণবিক ক্ষমতা একসঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সমান সংখ্যক ওয়ারহেড অর্জন করতে পারে, যা পারমাণবিক আলোচনাকে জটিল করবে এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতার ঝুঁকি বাড়াবে।
এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলার জন্য মাত্র ১১ বছর বাকি রয়েছে, কমিশন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এখনই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানিয়েছে। সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে একাধিক ওয়ারহেডের সাথে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন, স্টেলথ বোম্বার উত্পাদন বৃদ্ধি এবং কৌশলগত পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়ানো।
সব বিশেষজ্ঞরা পারমাণবিক গঠনের প্রয়োজনীয়তার সাথে একমত নন। কিছু বিশেষজ্ঞ সংখ্যা বৃদ্ধি না করে একটি টেকসই, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য পারমাণবিক অস্ত্রাগার বজায় রাখার পক্ষে সওয়াল করেন। তারা রাশিয়া এবং চীনের সাথে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দেন।
আসন্ন হুমকির পরেও, পারমাণবিক বিষয়গুলিতে জনসচেতনতা এবং মনোযোগ কম রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এই প্রবণতাটিকে একটি প্রজন্মগত পরিবর্তনের ফলাফল হিসেবে উল্লেখ করেন, যেখানে তরুণরা পারমাণবিক অস্ত্রের তুলনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো আধুনিক বিষয়গুলিতে বেশি আগ্রহী।
Leave a Reply