সারাক্ষণ ডেস্ক
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, জান্তা-নিয়ন্ত্রিত সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ মিয়ানমার রপ্তানি আয় থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজনীয় পরিমাণ কমিয়েছে এবং জাতীয় মুদ্রা কিয়াটে রূপান্তর করে ৩৫ থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
জান্তা, ২০২২ সালের আগস্টে রপ্তানিকারকদের জন্য তার বৈদেশিক মুদ্রা-রূপান্তর নীতি আত্মপ্রকাশ করে, যাতে রপ্তানিকারকদের তাদের রপ্তানি আয়ের ৬৫ শতাংশ কিয়াটে রূপান্তর করতে হয়। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে, একে ৫০ শতাংশে কমিয়ে এনেছে এবং গত বছরের ডিসেম্বরে এটি প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে ৩৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
রপ্তানীকারকদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের কিয়াটে বিনিময় প্রয়োজন ছিল একটি নির্দিষ্ট হারে তাদের বৈধ ডিলারদের কাছে কিন্তু সেটি বাজার দরের চেয়ে অনেক নীচে চলে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার এর সর্বশেষ হ্রাস ঘোষণা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল যে, বৈদেশিক আয়ের শতকরা যা অবশ্যই কিয়াটে বিনিময় হবে সেটি ২৫ এ নেমে গিয়েছিল । ফলে রপ্তানীকারকরা তাদের আয়ের মাত্র ৬৫ শতাংশ দ্রব্য বিদেশে বিক্রি করতে পেরেছিল।
ঘোষণাটি জানায়, এই বিনিময়ের হ্রাসকৃত হার আজ থেকে কার্যকর হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানায়, এমনকি এই হ্রাসেও জোর করে বাজার দরের নীচে মুদ্রার রুপান্তর একটি কঠিন অবস্থা এবং এটিকে বন্ধ করতে হবে।
রপ্তানীকারক ইউ তে বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বৈদেশিক আয়ের অর্থ জোর করে দেশীয় মুদ্রায় রুপান্তরকে বন্ধ করতে দাবী করে আসছি।” এই ধরনের ক্ষুদ্র শতকরা ১০ ভাগ পয়েন্ট কমানো থেকে রেহাই হলো হাস্যকর।
গত সপ্তাহে জান্তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইউএস ডলারকে দেমীয় মুদ্রায় রুপান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় ১০০ এর বেশী কোম্পানীকে বাতিল করেছে এবং আরো ১২ টিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে যৌথ ১৭ মিলিয়ন ডলারকে কিয়াটে রুপান্তর করতে আদেশ দিয়েছে।
লাইসেন্স হারানো ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আজকের ঘোষণা লাএসন্স হারানো কোম্পানীগুলোর উপরে কোনো প্রভাব ফেলবেনা এবং বাকী যে ১২ টির উপরে ১৭ মিলিয়ন ডলারকে কিয়াটে রুপান্তরের আদেশ দেয়া হয়েছে তাদেরকে ৩৫ শতাংশ আইন মেনে চলতে হবে।
যে সকল কোম্পানী লাইসেন্স বাতিল হয়েছে তারা আমদানী-রপ্তানী আাইনে অভিযুক্ত হবেন এবং এর ফলে তাদের জেল জরিমানা ও সম্পদ জব্দ হতে পারে। রপ্তানীকারকরা বাধ্যতামূলক মুদ্রা রুপান্তরের আইনে আটক হবেন এবং তাদেরকে এসব বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
সামরিক জান্তা ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে মিয়ানমারে রপ্তানী এবং সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগে ধ্বস নেমেছে । পাশাপাশি, দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি আনতর্জাতিক লোনের প্রবেশাধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়েছে।
মার্কিন মুদ্রার সংকট এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারা নির্ধারিত কৃত্রিম নিম্ন বিনিময় হারের কারনে বিদেশী মুদ্রার বিনিময়ের জন্যে কালো বাজার গুলো ফুলে ফেঁপে উঠেছে।
তারপরও জান্তা অস্ত্র কেনান জন্যে টাকা পেয়েছে। জাতিসংঘের মতে, সামরিক ক্যু এর প্রথম দুই বছরে রাশিয়া ,চায়না সহ অন্যনান্য দেশ থেকে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি আমদানী করেছে জান্তা সরকার।
Leave a Reply