মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন

কোটা আন্দোলনে আহতদের বিনা খরচে চিকিৎসা, ১৭ই আগস্ট খুলছে মেট্রোরেল

  • Update Time : সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪, ৮.৪৭ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “৪-৬ আগস্ট: তিন দিনেই নিহত ৩২৬ জন”

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবির আন্দোলন ও পরবর্তী সহিংসতায় তিন দিনেই (৪-৬ আগস্ট) অন্তত ৩২৬ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী ও সমর্থক, পুলিশের সদস্য, শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতা-কর্মী বেশি।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই তিন দিনে পুলিশের গুলিতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আবার পুলিশকেও মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলা ও গুলিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু হয়েছে। আবার বিক্ষোভকারী ও প্রতিপক্ষের হামলা এবং অগ্নিসংযোগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

সব মিলিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন, পরবর্তী বিক্ষোভ ও সরকারের পতনের পর সহিংসতায় ১৬ জুলাই থেকে গতকাল রোববার (১১ আগস্ট) পর্যন্ত অন্তত ৫৮০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ২১৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। ৩২৬ জন নিহত হন ৪ থেকে ৬ আগস্টের (রবি থেকে মঙ্গলবার) মধ্যে। বাকি ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় ৭ থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে।

৭-১১ আগস্ট সময়ে কেউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বেশির ভাগের মরদেহ পরে হাসপাতালে আনা হয়। কখন মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “আজ থেকে সড়কে ফিরছে ট্রাফিক পুলিশ”

পুলিশে সংস্কারের দাবিতে কর্মবিরতিসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা। সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে তারা সবাই কাজে যোগ দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকের পর আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ক পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শোয়াইব হাসান এ ঘোষণা দেন।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “কারসাজি ও জালিয়াতির মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় লাখো কোটি টাকা”

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর দেড় বছরে দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটে। অস্বাভাবিক এ উল্লম্ফনের পর হঠাৎ ধস নামে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে। লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীদের আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটে। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সংস্কার ও পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ বছর সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্সের অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন। তার উত্তরসূরি হিসেবে ২০২০ সালে দায়িত্বে আসেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। যদিও আলোচিত এ দুই চেয়ারম্যানের বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও স্বজনপ্রীতির কারণে দেশের পুঁজিবাজার আরো খাদের কিনারে চলে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কোটা আন্দোলনে আহতদের বিনা খরচে চিকিৎসা, ১৭ই আগস্ট খুলছে মেট্রোরেল, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত”

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দমনপীড়নে আহত ছাত্র-জনতাকে বিনা খরচে চিকিৎসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একইসঙ্গে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের দীর্ঘ বৈঠকে এসব বিষয় ছাড়াও আরও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা অংশ নেন। বৈঠক শেষে আলোচনার বিষয় মানবজমিনকে জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে কোটা সংস্কার এবং একদফা দাবিতে আন্দোলন চলাকালে যেসব ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত তালিকা করা হবে এবং রাষ্ট্রীয় খরচে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। শহীদ হওয়াদের পরিবারকে সহায়তা দেয়া হবে।
বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন আন্দোলনে সমর্থন করে বিক্ষোভ করার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত যে ৫৭ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে সাজা দেয়া হয়েছে তাদেরকে মুক্ত করতে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। প্রয়োজন হলে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে নিজে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাদের বিষয়ে অভিযোগ বা সমালোচনা আছে তার নিয়োগের চুক্তি দ্রুত বাতিল করা হবে। বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে বাতিল করা হবে। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।

ডেপুটি গভর্নরের শূন্য পদগুলোতে নিয়োগ সুপারিশ করতে মুসলিম চৌধুরী, আহসান এইচ মনসুর এবং নজরুল ইসলামের সমন্বয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৈঠকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ ধরনের ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এবং সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্রুত প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নগরবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে আগামী শনিবার থেকেই মেট্রোরেল চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি স্টেশন কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ ছাড়া বাকি ১৪টি স্টেশনে ট্রেন চলাচল করবে। সূত্র জানায়, বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সচিবদের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024