রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ অপরাহ্ন

কলকাতায় চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ

  • Update Time : বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ১২.১০ এএম

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ ডাকা নবান্ন অভিযানকে ঘিরে মঙ্গলবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা।

নবান্ন অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের অনেকে আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

নিহত তরুণী চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।

রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক দফতর এবং সচিবালয় রয়েছে হাওড়ায় অবস্থিত এই নবান্ন ভবনে।

প্রথমদিকে এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ থাকলেও সাঁতরাগাছি এবং হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মিছিলে সামিল একাংশ ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে আসতে চাইলে তাদের পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

সেইসময় পুলিশকে নিশানা করে পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে, জল কামান ব্যবহার করা হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোঁড়া হয়।

আবার আন্দোলনকারীদের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ আগে লাঠি চার্জ করেছে।

সাঁতরাগাছি স্টেশনে, হাওড়া ময়দান, হেস্টিংস এবং অন্যান্য অঞ্চলেও নবান্ন অভিযানে সামিলদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।

এই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বহু জায়গা থেকে অত্যাচারের খবর আসছে। ছাত্র সমাজের ডাকে সাধারণ মানুষ সাড়া দিয়েছেন। তাদের উপর অত্যাচার চলছে। পুলিশকে বলব অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে।”

ঘটনার জেরে রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়ার কথা তিনি আগেই বলেছিলেন। এরপর বিকেলে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দেওয়া হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।

অভিযানের আগেই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল নবান্নগামী রাস্তা, হাওড়া এবং কলকাতার বিভিন্ন অংশ।

এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পর মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নবান্ন অভিযান চলাকালীন পুলিশ সংযত ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার শহরকে এবং বুধবার রাজ্যকে স্তব্ধ করে দেওয়ার যে পরিকল্পনা চলছে তা সমর্থনযোগ্য নয়। বুধবার রাজ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে।

তার কিছুক্ষণ পর তৃণমূলের মন্ত্রী ও নেতা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু এবং অন্যান্যরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশ শান্তিপূর্ণ ভাবে সামাল দিয়েছে। ওদের (বিজেপির) অবশ্য চাহিদা ছিল একটা লাশ। আজ সেটা হলো না কারণ পুলিশ ওদের প্ররোচনায় পা দেয়নি।”

“তাই কাল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।”

রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক দফতর এবং সচিবালয় রয়েছে হাওড়ায় অবস্থিত এই নবান্ন ভবনে।

তাই বাড়তি সুরক্ষা বলয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল সংলগ্ন অঞ্চল, নবান্নগামী রাস্তা এবং কলকাতা ও হাওড়ার সেই সমস্ত অংশ যেখান দিয়ে মিছিল আসার কথা।

সোমবার থেকে পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের এই কর্মসূচি নিয়ে কথা বলতে দফায় দফায় সংবাদ সম্মেলন করেছিল তৃণমূল ও পুলিশের কর্মকর্তারা। এই ‘সক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিল বিরোধীদল।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বেলা এগারোটা নাগাদ নবান্নে আসেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিপুল সংখ্যক র‍্যাফ, পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।

নবান্ন অভিযান

আহ্বায়ক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে এই মিছিলের কথা জানানো হয়েছিল।

সেখানে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পান তারা এবং সেই থেকেই এই কর্মসূচির ভাবনা। দাবি করা হয়েছিল এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগ নেই।

পরে অবশ্য আহ্বায়করা তাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ থাকার কথা কার্যত স্বীকার করে নেন। কিন্তু নবান্ন কর্মসূচিতে কোনও রকম রাজনৈতিক ইন্ধনের কথা অস্বীকার করেছেন তারা।

মূলত কলকাতার কলেজ স্কোয়্যার চত্বর থেকে একটা মিছিল এবং সাঁতরাগাছি থেকে অন্য একটা মিছিল আসার কথা জানানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে।

শিয়ালদহ স্টেশন, হাওড়া স্টেশন এবং অন্যান্য জায়গা থেকে এসে মিছিলে যোগ দেন মানুষ। সে কথা মাথায় রেখে আগেই নিরাপত্তা বলয় আঁটসাঁট করা হয়েছিল। ।

নির্ধারিত সময়ের আগেই সাঁতরাগাছি ও কলেজ স্কোয়্যার চত্বরে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জমায়েত করে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। শুরুর দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করা হচ্ছিল শান্তি বজায় রাখার জন্য।

সাঁতরাগাছিতে বাধা দেওয়ার জন্য রাস্তায় রাখা ব্যারিকেড টপকে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা এগিয়ে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এরপর ওই ব্যারিকেডের উপর চেপে তা টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অনেকে।

পুলিশ ব্যারিকেডকে সামনে রেখে উত্তেজিত জনতাকে ঠেকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশকে নিশানা করে পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ।

এরপর উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালানো হয়, জল কামান ব্যবহার করে পুলিশ, কাঁদানে গ্যাসের সেলও ছুঁড়তে দেখা যায়।

সাময়িক ভাবে পিছু হটলেও পরে মিছিলে সামিল অনেকেই আবার ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে আসার চেষ্টা করেন। বাধার মুখে পড়েও আরজি কর হাসপাতালের নিহত চিকিৎসকের জন্য বিচার চান এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পদত্যাগ দাবি করতে থাকেন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়া হয়, জল কামান ব্যবহার করা হয়।

এরপর একই চিত্র দেখা যায় হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন অংশ, সাঁতরাগাছি স্টেশন, হাওড়া ময়দান, হেস্টিংসসহ একাধিক জায়গায় যেখান দিয়ে এই মিছিলের নবান্নর উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা।

মিছিলকারীদের অভিযোগ, পুলিশ আগে লাঠি চালিয়েছে।

কোলাঘাট থেকে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন সোমনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলাম, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করিনি। কিন্তু পুলিশ লাঠি চার্জ করেছে। আমার মাথায়, কাঁধে, পিঠে লেগেছে।”

মিছিলের অন্য একজন বলেন, “আজ পুলিশ নির্বিচারে লাঠি চালাচ্ছে। রাস্তায় এত পুলিশ, এত কড়া সুরক্ষা রয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের দিন কোথায় ছিল এগুলো?”

মিছিলে সামিলদের কেউ কেউ আবার দাবি করেছেন তাদের শান্তিপূর্ণ জমায়েতকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ‘অশান্ত’ করার চেষ্টা চলছে।

হাওড়া ময়দানে উপস্থিত এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা কিন্তু পুলিশকে মারিনি, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করিনি। শান্তিপূর্ণ জমায়েতে কিছু লোক ঢুকে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। আমাদের একটাই দাবি দোষীদের শাস্তি এবং নারী সুরক্ষা। এখানে রাজনীতি কোথায়?”

বিকেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাবুঘাট সংলগ্ন এলাকা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, মোটর বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।

পরে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের মুক্তির দাবিতে লালবাজার অভিযানে সামিল হন সুকান্ত মজুমদার ও দলীয় কর্মীরা। পুলিশ বাধা দিলে তারা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই করা নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল নবান্নগামী রাস্তা।

কড়া নিরাপত্তা

মঙ্গলবারের এই মিছিল রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক, কর্মসূচির আহ্বায়কদের কাছে মিছিলের অনুমতি আছে কী নেই- এই প্রশ্নগুলো যেমন আলোচনার কেন্দ্রে ছিল, তেমনই নবান্ন অভিযান ঘিরে প্রশাসন ও পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

কড়া পুলিশি প্রহরায় ঢেকে ফেলা হয় নবান্ন চত্বরকে, যে এলাকা এমনিতেই বাড়তি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকে।

কিন্তু এই কর্মসূচিকে মাথায় রেখে নিরাপত্তা বলয় বেশ কয়েক দফা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ‘নবান্ন অভিযানের’ কথা মাথায় রেখে মোতায়েন করা হয়েছিল কয়েক হাজার পুলিশ, র‍্যাফ বাহিনী। বিভিন্ন জায়গায় উপস্থিত ছিলেন উচ্চপদস্থ পুলিশের কর্মকর্তা।

কর্মসূচি দুপুরে হলেও মঙ্গলবার ভোর থেকে কলকাতা এবং হাওড়ার একাধিক রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

হাওড়ার বাসিন্দা সৌম্য গাঙ্গুলি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুরে ফেলা হয়েছে নবান্নমুখী সমস্ত রাস্তা। জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়, রাস্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‍্যাফ, কাউন্টার ইন্সারজেন্সি ফোর্স মোতায়েন করা হয়। সাঁতরাগাছি এবং সংলগ্ন কোণা এক্সপ্রেস ওয়েতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। রাস্তায় বাস বা অন্যান্য গণপরিবহন নেই।”

আকাশপথে নজরদারির জন্য ছিল ড্রোন। তৈরি করা হয়েছিল পোক্ত ব্যারিকেড, অ্যালুমিনিয়ামের গার্ডওয়াল, বালির বস্তা যাতে প্রতিবাদীরা এই বাধা অতিক্রম করে এগোতে না পারেন। কাঁদানে গ্যাসের সেল, জলকামানও রাখা হয়েছিল।

পরে বেলার দিকে মিছিলের একটি অংশ যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার কথা সেখানে বিশাল আকারের কন্টেনার এনে রাখা হয়, যা টপকে যাওয়া দুষ্কর।

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সব বিরোধীদলই ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে তারা এই কর্মসূচিতে নেই তা সত্ত্বেও রাস্তায় কী পরিমাণ ব্যারিকেড দেখেছেন? আজ পর্যন্ত কলকাতায় ক্রেনে করে কন্টেনার বসাতে দেখেছেন? ছাত্রদের মিছিল রুখতে এই অবস্থা, রাজনৈতিক সমাবেশ হলে কী করবে?”

তৃণমূল এবং বিজেপির বক্তব্য

বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিবাদ জানাতে সামিল হয়েছিলেন।”

বিজেপির দাবি এতে তাদের দলের মদত নেই। তিনি বলেছেন, “আমরা লোক পাঠাইনি। তৃণমূলের পাঠানো লোক এগুলো ঘটিয়েছে। একজন বোমা ছুঁড়তে যাচ্ছিল ছাত্ররা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আমার কাছে ভিডিও রয়েছে।”

মিছিলে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং এবং আইনজীবী ও নেতা কৌস্তভ বাগচীকেও দেখা গিয়েছে।

সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ছাত্রদের ডাকে কেউ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু কাউকে দলীয় পতাকা নিয়ে হাঁটতে দেখেছেন?”

অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি এই মিছিল ছাত্রদের কখনও ছিল না। “এরা ছাত্র? সবাই দেখেছে কারা ব্যারিকেড ভাঙতে গেছিল। উন্মত্ত জনতাকে আটকাতে যেটুকু করা দরকার পুলিশ সেটুকুই করেছে। প্রথম দিকে নিষ্ক্রিয় ছিল। জল কামান চালানোর মতো বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছে। গুলি চালায়নি।”

দিন কয়েক আগে, বিজেপির পক্ষ থেকে আশঙ্কা জানানো হয়েছিল এই মিছিলে গুলি চালানো হতে পারে। সোমবার তৃণমূল পাল্টা দাবি জানায় বিজেপি চাইছে বিশৃঙ্খলা ছড়াতে।

মঙ্গলবার পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে দুপক্ষেরই একাধিক ব্যক্তি আহত হন বলে অভিযোগ।

রাজনৈতিক চাপানউতোর

‘নবান্ন অভিযান’কে ঘিরে আলোচনা বেশ কয়েকদিন ধরে চলছিল। এই অভিযানের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করার জন্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার কিন্তু আদালতের তরফে জানানো হয় কোনও রকম হস্তক্ষেপ করা হবে না। এরপর সোমবার প্রথমে তৃণমূল এবং পরে একাধিক সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যায় পুলিশ প্রশাসনকে।

সোমবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং কুণাল ঘোষ। ‘নবান্ন অভিযান’ কে ‘অবৈধ’ বলে দাবি করার পাশাপাশি অভিযোগ তোলেন এই মিছিলের । কুণাল ঘোষ বলেন, “একটা বড় চক্রান্ত চলছে মিছিলকে ঘিরে। শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি। ওরা বলছে বডি চাই।’’

এই যুক্তির পক্ষে দুটি ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি যেখানে দৃশ্যমান দুই ব্যক্তিকে নবান্ন অভিযান নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখতে পারেনি বিবিসি বাংলা।

মঙ্গলবার দফায় দফায় পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ তোলা হয় যে মিছিলের আড়ালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।

বিবিসি নিউজ বাংলা

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024