রেজাই রাব্বী
বাংলা টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে মায়ের ভূমিকায় অভিনীত বেশ পরিচিত অভিনেত্রী মিলি বাশার। দেশের অন্যতম নাট্য সংগঠন ‘ঢাকা থিয়েটার’র এর সদস্য মিলি বাশার। ১৯৭৭ সালে তিনি এই দলের সাথে যুক্ত হয়ে আজ অবধি এই দলের সাথে সম্পৃক্ত আছেন।
প্রথমেই জানতে চাই আপনার মঞ্চনাটক সম্পর্কে।
ঢাকা থিয়েটারের হয়ে মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছি সেলিম আল দীনের রচনায় ও নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নির্দেশনায় ‘শকুন্তলা’, ‘মুনতাসির ফ্যান্টাসি’ ও প্রফেসর আবদুস সেলিম অনূদিত ও হুমায়ূন কবির হিমুর নির্দেশনায় ‘আউয়ার কান্ট্রিস গুড’ নাটকে।
বর্তমান ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে চাই?
মঞ্চের চেয়ে এখন নাটকে এবং সিনেমায় দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছি। দীর্ঘদিন স্বামী মাসুম বাশারের সঙ্গে দেশের বাইরে থাকার পর ২০১৫ সাল থেকে মূলত টিভি নাটকে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। শুরুতেই অপূর্ব’র সঙ্গে নিয়াজ কামরান আবিরের পরিচালনায় একটি নাটকে অভিনয় করা হয়। এরপর থেকে নাটক অভিনয়ে ব্যস্ততা বাড়তেই থাকে। এরইমধ্যে রুবেল হাসানের পরিচালনায় একটি নাটকের কাজ শেষ করা হয়েছে।
সিনেমায় দর্শকের কাছে কেমন গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছেন?
নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতে অভিনয় করেও তিনি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি বলে আমি মনে করি। আমার অভিনীত যেসব সিনেমা দর্শকের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে সেগুলো হলো ‘যদি একদিন’,‘ লিডার আমিই বাংলাদেশ’,‘ পরাণ’,‘ তালাশ’,‘ রূপসা নদীর বাঁকে’,‘ কালবেলা’,‘ শ্রাবণ জোছনায়’,‘ যওি পাখি বল তারে’ ইত্যাদি। রায়হান রাফি পরিচালিত ‘নূর’ সিনেমাটিও রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। মুক্তিপ্রাপ্ত বেশিরভাগ সিনেমাতেই একজন মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছি।
সিনেমায় কাজের অনুভূতি কেমন?
সত্যি বলতে সিনেমাতে কাজ করার বিষয়টা একটু অন্যরকম। বিশাল ক্যানভাসের ব্যাপার, যখন শুটিং হয় তখন লোকেশনে বিচিত্রতা আসে। যে কারণে সিনেমাতে অভিনয় করার ব্যাপারটা একটু বেশিই ভালোলাগা কাজ করে। আর নাটকে অভিনয় করার বিষয়টাতো আমার কাছে আমার ঘর সংসারের মতো। এখানে সবাই আমার আপনজন, প্রিয়জন। যাদের সঙ্গে দেখা না হলে ভালোলাগেনা। সিনেমাতে অভিনয় করেও আমি দর্শকের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে সত্যিই মুগ্ধ আমি। দর্শকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। সেইসব পরিচালকদের প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা যারা আমাকে নিয়ে নাটক সিনেমায় কাজ করেছেন।’
Leave a Reply