সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৫)

  • Update Time : সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫.২২ পিএম

ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

মায়া জনগোষ্ঠীর কয়েকটি আঞ্চলিক সংস্কৃতি

মায়া খ্রিস্টানদের নানা ধর্মীয় আচারপ্রার্থনা অনুষ্ঠানও হয়। এক্ষেত্রে ভারতীয়রা অংশগ্রহণ করে। এখানকার সেপুতাদো কালভারিও চার্চ খুবই বড় এবং তার একপ্রান্ত শেষ হয়েছে বাজারের একপ্রান্তে। এরই কাছাকাছি পাহাড়ের চূড়ায় পাসকুয়াল আরাজ পবিত্র মন্দির সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

আদতে বলা ভাল মায়া- সভ্যতার ছোট ছোট এলাকা গুয়াতেমালার নানা প্রান্তে গড়ে উঠেছিল। এরকমই একটি অঞ্চল-এর নাম হল তোতোনিকাপান। এর অবস্থান গুয়াতেমালা শহরের ১৩৫ মাইল উত্তর-পশ্চিমে আবার চিচিকাসতেনাংগোরও পশ্চিমে বলা যায়।

তোতোনকাপান-এর রাজধানী শহর হল সান মিগেল (San Miguel)। সান মিগেল-এর শিল্পবৈচিত্র্য নানা ধরনের উৎপন্নর মাধ্যমে আমাদের কাছে ধরা দেয়। এক নজরে এখানে ৪০ রকমের বয়ন শিল্পের কারখানা গড়ে উঠেছিল। কাঠের খেলনা পুতুল, মাটির বাসনপত্রও চোখ দিয়ে দেখার মত। এর কাছাকাছি আরেকটি শহর মোমোসতেমাংগো (Momostemango) হল পশম-এর কম্বল তৈরির জন্য বিখ্যাত।

এছাড়া সানফ্রানসিসকো গ্রামটিও নানা ধরনের আকর্ষণীয় জিনিসের প্রাণকেন্দ্র। সপ্তাহের শুক্রবার হল হাটবার। এছাড়া তোতোনিকাপান (Totonicapan)-এর কাছাকাছি অন্য একটি শহর হল এনদ্রেস একুল (Andres Xeul)। মায়া সংস্কৃতির ঐতিহ্য এখনো দেখা যায় গুয়াতেমালার পার্শ্ববর্তী কিছু অঞ্চলে। এইসব অঞ্চলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ছোট শহরের নাম কেতজালতেনাংগো (Quetzaltenango)।

পাহাড় এবং আগ্নেয়গিরির নরম পাহারায় থাকা এই উপত্যকা শহরটি গুয়াতেমালা শহরের ১২৮ মাইল উত্তর- পশ্চিমে অবস্থিত। সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বৈশিষ্ট্য হল শহরটিতে ঔপনিবেশিক ঘরানা এবং আধুনিক নগর জীবনের যুগলবন্দি ধরা পড়ে। মায়া-কিচেদের সংস্কৃতি এখানে স্পষ্টভাবে কাজ করে। এই সংস্কৃতির মধ্যে মায়া-ধর্মীয় বিশ্বাসের হাল্কা মিশ্রণও লক্ষ্য করা যায়।

মায়া-কিচেদের পাশাপাশি ভারতীয় ভাব-সংস্কৃতির কিছু ছাপও এখানে আছে। কার্যত দুটি ভারতীয় শহরও এই অঞ্চলে এখনো দেখা যায়। এই শহর দুটির নাম হল সালকাজা (Salcaja) এবং জুনিল (Zunil)। সালকাজা শহরটি ইকাত (Ikat) উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র। ইকাত বস্তুটি হল টাই রং করার এক ধরনের উপাদান।

এছাড়া এই সালকাজা শহরেই গুয়াতেমালা শহরের প্রথম চার্চ সানজাকিনতো (San Jacinto Church) স্থাপিত হয়। অপর শহর জুনিল (Zunil) বয়নশিল্পর জন্য বিখ্যাত। সামালা নদীর পাশ দিয়ে শহরটি এক অপূর্ব দৃশ্য গড়ে তুলছে।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৪)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৪)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024