হান্নাহ-রোজ ইয়ে
অ্যাবি লি । ম্যাড ম্যাক্স: ফিউরি রোড-এর মতো ছবিতে তার ভূমিকার জন্য পরিচিত। এই সুপার মডেল- অভিনেত্রী তার অভিনয় দক্ষতার জন্য দর্শকদের সাথে সাথে সমালোচকদেরও মন জয় করছেন। সম্প্রতি তিনি ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ মডেল হয়েছেন।
৩৬ বছর বয়সী লি সিডনিতে এসেছেন এক সপ্তাহের ছুটিতে। বিমান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় নেমে বলেন, ” সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে এখানকার বাতাস”, অন্য যে কোন জায়গার চেয়ে আমি এখানে ছুটি কাটাতে পছন্দ করি।”
অভিনয়ে ব্যস্ত থাকার পরেও তিনি পরিবারকে সময় দেন। বিশেষ করে তার ভাগ্নি এবং ভাগ্নের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। তাদেরকে প্রচন্ড ভালবাসেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার বোনের ছেলেমেয়রা যা বলে আমি তাই করি। ওদের সব কথা শুনি। স্কুল থেকে নিয়ে আসি। তারপর ওদের নিয়ে মজা করে খেলি। আমার বোনকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।’’
অ্যাবি লি তার অভিনয় ক্যারিয়ারে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অভিনয় ক্লাসে নিজেকে মনোযোগী করেছেন। সবসময় সেরা অভিনয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নৈপুণ্যের জন্য নিখুঁত প্রস্তুতি নিতে কোন কমতি রাখছেন না। নিজের প্রতিশ্রুতিতে তিনি পুরোপুরি স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘সুপার মডেল থেকে অভিনয়ে আসা সব সময় কঠিন চ্যালেন্জ। এটা আমার জন্য যেন রূপান্তরিত হওয়া।’
অ্যাবি লি সর্বশেষ “হরাইজন: অ্যান আমেরিকান সাগা”-তে, অ্যাবি লি কেভিন কস্টনারের সাথে অভিনয় করেছেন। চরিত্রের জন্য ঘোড়ায় চড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। সমালোচকদের মতে, তার উৎসাহের জন্যই তিনি অভিনয়ে সফল হয়েছেন। হরাইজনঃ অ্যান আমেরিকান সাগা-এর ১ম পর্ব ২৮ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। আর এর দ্বিতীয় পর্ব ১৬ আগস্ট মুক্তি পাবে।
একজন অপ্রচলিত টমবয় কিশোরী হিসেবে তিনি মডেলিং শুরু করেন। শ্যানেল, গুচ্চি, আলেকজান্ডার ম্যাককুইনের পরে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে স্বীকৃত সুপার মডেল হিসেবে তাকে মনে করা হয়। মডেলিংয়ে ক্যারিয়ার শুরুর প্রায় এক দশক পরে অভিনয়ের জন্য তিনি সব কিছু ছেড়ে দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে রিলে কেফ এবং জো ক্রাভিটসের পাশাপাশি ছয়বারের অস্কার বিজয়ী ব্লকবাস্টার ম্যাড ম্যাক্সঃ ফিউরি রোডে অভনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। এর পরে কয়েক বছর ধরে, মিশা গ্রিন, এম. নাইট শ্যামালান এবং নিকোলাস উইন্ডিং রেফনদের মতো পরিচালকদের সাথে কাজ করছেন।
তার পাঁজর ফেটে গিয়েছিল, কিন্তু তিনি হার মানেন নি। তার অপারেশনেও করতে হয়েছে । অ্যাবি লিবলেন, ‘‘ আমি অনেকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। যখন পরিস্থিতি সত্যিই খারাপ ছিল। অনেকেই জানেও না যে আমি কি যন্ত্রণায় ছিলাম। আমি এন্ডোমেট্রিওসিস আক্রান্ত।’’
প্রায় ১৪ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান মহিলা এন্ডোমেট্রিওসিস নিয়ে বেঁচে থাকেন। এটি এমন একটি রোগ, যার জন্য গর্ভের বাইরে জরায়ুর আস্তরণ বৃদ্ধি পায়।
শারীরিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও লি খুবই অধ্যবসায়ী । যদিও তিনি এখন ভালো আছেন। নিষ্ঠা এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে, অ্যাবি লি তার ক্যারিয়ারে সাফল্য অর্জন করছেন। তার অবিচল প্রতিশ্রুতি অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে।
Leave a Reply