‘৫ দিনে বাড়ি ফিরবে ৫ কোটি মানুষ‘ কালেরকণ্ঠের শিরোনাম।
এই খবরে বলা হচ্ছে পরিবারের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে এবার ঢাকা ছাড়বে প্রায় এক কোটি মানুষ। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের জেলা থেকে আরো অন্তত ৬০ লাখ মানুষ বাড়ি ফিরবে। অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে কর্মজীবী ও শিক্ষার্থী রয়েছে অন্তত ২০ লাখ। তারাও ঈদে নিজ নিজ এলাকায় ফিরবে। এর বাইরে এক জেলা থেকে অন্য জেলায়, এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বা গ্রামে ঈদ করতে যাবে বহু মানুষ। সব মিলিয়ে ঈদ উপলক্ষে আগামী ৫ থেকে ৯ এপ্রিল—পাঁচ দিনে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ বাড়ি ফিরবে। সব মিলিয়ে ঈদের সময় সারা দেশে বাড়তি ৬০ কোটি ট্রিপ তৈরি হবে, যার বেশির ভাগের চাপ সামলাতে হবে গণপরিবহনকে। আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঢাকা ছাড়া কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৭০ লাখ আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল গ্রামের পথে রওনা দেবে। কিন্তু ঢাকা থেকে সব ধরনের যানবাহন মিলিয়ে দিনে প্রায় ২৫ লাখ যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাকি ২০ লাখ যাত্রী অব্যবস্থাপনা ও অতি ভোগান্তির মধ্য দিয়ে ঢাকা ছাড়তে হবে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণমূলক তথ্য বলছে, ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে ঈদের আগে চার দিনে বাস ও মিনিবাসে ৩০ লাখ, ট্রেনে চার লাখ, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাসে ৩৫ লাখ, মোটরসাইকেলে ১২ লাখ, লঞ্চে ৬০ লাখ, উড়োজাহাজে এক লাখ এবং বাস-ট্রেনের ছাদে ও পণ্যবাহী খোলা ট্রাক মিলিয়ে আরো প্রায় ১৮ লাখ মানুষ বাড়ির পথে রওনা দেবে। এদিকে আসন্ন ঈদ যাত্রায় তীব্র যানজটের কারণ হতে পারে, এমন ১৫৫টি জায়গা চিহ্নিত করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এর মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার মহাসড়কে ৪৮টি, ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চল মহাসড়কে ৫২টি, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছয়টি, ঢাকা থেকে সিলেট মহাসড়কে ৪১টি এবং ঢাকা থেকে পাটুরিয়া ও আরিচা মহাসড়কে আটটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের শিরোনাম, Taliban edict to resume stoning women to death met with horror.
প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়,নারীদের প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে হত্যার নিয়ম আবারও চালু করার ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। গত শনিবার আফগানিস্তানে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ঘোষণা দেন। আফগানিস্তানের সরকার নিয়ন্ত্রিত বেতার-টেলিভিশন গত শনিবার হিবাতুল্লাহর এক অডিও সম্প্রচার করা হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, আমরা নারীদের বেত্রাঘাত করব। আমরা তাদের (ব্যভিচারের জন্য) প্রকাশ্যে পাথর মেরে হত্যা করব। ওই অডিওতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, আপনারা হয়তো এটিকে নারী অধিকারের লঙ্ঘন বলতে পারেন। কিন্তু তারা আমাদের গণতান্ত্রিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ড করেছে।
আফগানিস্তানের দেশটির মানবাধিকার সংগঠন ওমেনস উইনডো অব হোপ-এর প্রধান আইনজীবী সাফিয়া আরেফি বলেন, এই ঘোষণার অর্থ হচ্ছে, আফগান নারীদের ১৯৯০-এর দশকে তালেবান শাসনের অন্ধকারতম দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। নারীদের বাঁচানোর জন্য এখন পাশে কেউ নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারী অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নীরবতার পথ বেছে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আফগান গবেষক সাহার ফেতরাত বলেন, দুই বছর আগেও তাদের এটা বলার সাহস ছিল না, কিন্তু এখন নারীদের পাথর নিক্ষেপের কথা বলছে। ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা দখল করার পর তালেবান পশ্চিমা সমর্থিত আফগানিস্তানের সংবিধানের সঙ্গে বিদ্যমান ফৌজদারি এবং দণ্ডবিধি স্থগিত করে। সেখানে তাদের শরিয়াহ আইনের কঠোর ব্যাখ্যা প্রতিস্থাপন করেছে। এমনকি নারী আইনজীবী, বিচারক যাঁরা আগের সরকারের সময়ে কাজ করছেন তাঁদেরও নিষিদ্ধ করে তালেবান।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকার আজকের শিরোনাম ছিল ‘Petrol may hit Rs290 ahead of Eid ’.
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে জনগণের খরচের বোঝা এবং দুর্ভোগ দুটোই বাড়িয়ে ফের বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। পাক্ষিক মূল্য পর্যালোচনার আগামী ঘোষণাতেই পেট্রল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা হতে পারে । শিল্প সংশ্লিষ্টদের সূত্রে খবরে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে পাকিস্তানে পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি ১০ রুপি করে বাড়ানো হতে পারে। অর্থাৎ, পাক্ষিক পর্যালোচনার পর দেশটিতে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ২৭৯ দশমিক ৭৫ রুপি থেকে বেড়ে ২৮৯ দশমিক ৬৯ রুপি হতে পারে।
তবে হাই-স্পিড ডিজেলের (এইচএসডি) দাম প্রতি লিটারে ১ দশমিক ৩০ রুপি কমে ২৮৪ দশমিক ২৬ রুপি হতে পারে। পাকিস্তানে এইচএসডির বর্তমান দাম লিটারপ্রতি ২৮৫ দশমিক ৮৬ রুপি। সামান্য কমতে পারে কেরোসিনের দামও। লিটারপ্রতি ০.১৭ রুপি কমে সেখানে কেরোসিনের দাম হতে পারে ১৮৮ দশমিক ৪৯ রুপি প্রতি লিটার। এছাড়া, লাইট ডিজেলের (এলডিও) দাম লিটারপ্রতি ০.৪৫ রুপি বেড়ে ১৬৮ দশমিক ৬৩ রুপি হতে পারে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারে পেট্রলের দাম বাড়ানো হবে। গত দুই সপ্তাহে পেট্রলের আন্তর্জাতিক মূল্য বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯৫ ডলারে পৌঁছেছে, যা মার্চের প্রথম পাক্ষিকেও ৯০ ডলার ছিল। তিনি জানান, বিশ্ববাজারে পেট্রলের দাম বৃদ্ধির কারণে পাকিস্তানেও পেট্রলের দামে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তবে, বিশ্ববাজারে হাই-স্পিড ডিজেলের দাম কমে যাওয়ার কারণে পাকিস্তানেও এর দাম কমানো হবে। মার্চের প্রথম ১৫ দিনে আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৯৯ ডলার। কিন্তু গত সপ্তাহে তা ৯৮ ডলারে নেমে এসেছে।
সৌদি আরবের পত্রিকা গালফ নিউজের শিরোনাম, Saudi Arabia: Robots boost worshippers’ Ramadan experience at Grand Mosque
প্রতিবেদনে জানা যায়, চলতি রমজান মাসে পবিত্র মসজিদুল-হারাম মসজিদে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট সেবা চালু করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। মসজিদে আসা মুসল্লিদের বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করতে সক্ষম হবে এই রোবটগুলো। প্রতিবেদনে বলা হয়, মেশিনগুলি গ্র্যান্ড মসজিদে আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদন এবং বিভিন্ন ভাষায় একযোগে ব্যাখ্যা সহ ফতোয়া বা ধর্মীয় হুকুম অ্যাক্সেস করার বিষয়ে মুসল্লিদের নির্দেশনা দিবে। এছাড়াও রোবটগুলো ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য ধর্মগুরুদের কাছে অনলাইন অ্যাক্সেস পেতে সাহায্য করবে।
পবিত্র মসজিদুল-হারাম ও মসজিদে নববির ধর্ম বিষয়ক প্রধান আবদুল রহমান আল সুদাইস বলেছেন, ইসলাম প্রচারের জন্য উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক অ্যাপস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে উপাসকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ইসলামের বার্তা প্রদান এবং নির্দেশিকা উপস্থাপনের সুবিধার্থে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। রোবট সেবা পাওয়া যাবে মোট ১১টি ভাষায়। এরমধ্যে রয়েছে বাংলা,আরবি, ইংরেজি, ফরাসি, রাশিয়ান, ফার্সি, তুর্কি, উর্দু ও চীনা ভাষা। রোবটটিতে ২১ ইঞ্চি টাচ স্ক্রিন রয়েছে।
‘ফুলের আসর থেকে নাচ–গান বিতর্কে ভিসিরা‘ মানবজমিনের শিরোনাম এটি।
এই খবরে বলা হচ্ছে, একটি বিশাল কক্ষে বসে আছেন একজন। তার চারদিকে ফুলের তোড়া। এ যেন জনপ্রিয় একটি গানকে মনে করিয়ে দেয়- তুমি হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ। একজন ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) যোগ দেবেন বলে কতো আয়োজন। রমজান মাসে ঢাকঢোল পিটিয়ে নেচে-গেয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে। ফুলের আসর থেকে নাচ-গান। স্বজনপ্রীতির সঙ্গে নিয়োগ বাণিজ্য। শেষ কর্মদিবসে নিয়োগ, ক্যাম্পাসে উপস্থিত না থাকাসহ নানা বিষয়ে সমালোচনা লেগেই আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের নিয়ে। প্রায়শই ভিসিদের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা করেন আন্দোলন। সমালোচনাকে সঙ্গে নিয়েই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।আবার অভিযুক্ত হওয়ার পরও ভিসিদের বিরুদ্ধে নেয়া হয় না শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
নানা বিতর্ক-সমালোচনা মাথায় নিয়ে মেয়াদ শেষ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ। বিদায়ের ঠিক আগ মুহূর্তে অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ‘শতাধিক’ শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ তুলে আন্দোলন হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ রয়েছে গত ২৩শে মার্চ আন্দোলন চলাকালে বিদায়ী ভিসি’র ব্যক্তিগত সহকারীসহ কয়েকজনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়। গত ২৮শে মার্চ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এদিন বাদ্য বাজিয়ে নাচে-গানে বরণ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনিয়ে নেটিজেনদের মাঝে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি যাবেন ভিসি আসবেন এটাই নিয়ম। ঢাকঢোল বাজিয়ে বরণ করার চোখে পড়ে খুব কম। আবার রমজান মাসে বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে নেচে-গেয়ে বরণ করায় সমালোচনার মাঝে পড়েছেন তিনি।
‘ঈদযাত্রায় ভোগান্তির ভয় মহাসড়কে‘ সমকালের শিরোনাম এটি।
এই খবরটিতে বলা হচ্ছে, সাতটি ফ্লাইওভার ওভারপাস চালু হওয়ায় রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত কোনো মোড়ে আর গাড়ি থামতে হয় না। ফলে এই পথে সিগন্যালে না আটকে যানবাহন চলার কথা। কিন্তু বিশৃঙ্খলার কারণে ফ্লাইওভার ওভারপাসে ওঠা এবং নামার পথে গাড়ি আটকে যাচ্ছে। মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ হলেও ওভারপাস থেকে নামার পথ আটকে থাকে অটোরিকশা, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ বারোয়ারি যানবাহনে। পথে পথে বসে বাজার। তাই উড়াল পথ চালু হলেও বিমানবন্দর থেকে চৌরাস্তা মাত্র ১৬ কিলোমিটার যেতে গত বৃহস্পতিবার সময় লাগল ঘণ্টাখানেক। শুধু ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এ অংশ নয়, দেশের অন্যান্য মহাসড়কে উন্নয়নের সুফলও মিলছে না বিশৃঙ্খলায়। মহাসড়ক আগের তুলনায় ভালো থাকলেও এবারের ঈদযাত্রাতে ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে। সরকারি ছুটিতে পরিবর্তন ভোগান্তির শঙ্কা আরও বাড়িয়েছে। ভয় রয়েছে সেতু, সড়ক এবং ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা নিয়ে। টোল আদায়ের গতি ধীর হলে দীর্ঘ যানজটের শঙ্কা রয়েছে।
এবারই প্রথম ২৯ রমজান পর্যন্ত অফিস খোলা থাকতে পারে। এতে শেষ সময়ে মহাসড়কে একসঙ্গে সব যাত্রীর ঢল নেমে যানজট হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এ ছাড়া সড়কে চলমান উন্নয়নকাজ, গণপরিবহন সংকট ভোগান্তিকে নিতে পারে চরমে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) সারাদেশে মহাসড়কের ১৫৫টি স্থানকে যানজটপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে যাত্রী কল্যাণ সমিতি নামে বেসরকারি সংস্থার ভাষ্য, যানজট হতে পারে ৭১৪ স্পটে। সওজ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সড়কের পাশে কলকারখানা, বাজার, যত্রতত্র ইউটার্ন, যাত্রী ওঠানামা, সরু ও ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যানজট হতে পারে এসব স্থানে।
‘শহরের চেয়ে গ্রামে তালাক বেশি‘ প্রথম আলোর শিরোনাম।
এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে দেশে শহরের চেয়ে গ্রাম এলাকায় বিয়ে বেশি হচ্ছে। তালাক ও দাম্পত্য বিচ্ছেদও গ্রাম এলাকায় বেশি। প্রতি ১০ হাজারে গ্রামে ১১টি এবং শহরে ৯টি তালাকের ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে গ্রামে বিয়ের হার প্রতি ১০ হাজারে ১৬৮টি আর শহরে ১২০টি। তবে সার্বিকভাবে দেশে বিয়ের হার অনেকটা কমেছে। আর বিয়ের গড় বয়স কিছুটা বেড়েছে।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত রোববার বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে বৈবাহিক অবস্থা, বিয়ের বয়স, তালাক ও বিচ্ছেদের বিষয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি তৈরির জন্য বিবিএস ৩ লাখ ৮ হাজার ৩২টি পরিবারের ওপরে জরিপ পরিচালনা করে। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২০ ও ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দেশে তালাকের হার অনেক বেড়েছিল। ২০২০ ও ২০২১ সালে দেশে তালাকের হার ছিল প্রতি ১০ হাজারে যথাক্রমে ৭ ও ৮টি। এই হার ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৫টিতে। বিবিএসের তথ্য বলছে, গত বছর দেশে সার্বিকভাবে তালাকের হার কমেছে। ২০২৩ সালে তালাকের হার ছিল প্রতি ১০ হাজারে ১১টি।
২০২০ ও ২০২১ সালে গ্রাম এলাকায় তালাকের সংখ্যা ছিল প্রতি ১০ হাজারে যথাক্রমে ৯টি ও ৮টি। একই সময়ে শহরে ছিল ৭টি ও ৮টি। ২০২২ সালে অবশ্য গ্রাম এলাকায় তালাকের হার আরও বেশি—প্রতি ১০ হাজারে ১৫টি। এ সময়ে শহরে যা ছিল ১০টি। বাবা-মায়েরা পূর্বাপর চিন্তা না করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বয়সের পার্থক্য, যৌতুকসহ নানা কারণে তারা সংসার করতে পারেনি। ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতা, ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে অসামর্থ্য অথবা অস্বীকৃতি, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদি উঠে এসেছিল। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহে খোঁজ নিয়ে তালাকের ঘটনা বাড়ছে বলে জানা যায়। কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামে তালাকের ঘটনা বেড়েছে। চট্টগ্রামে ২০২২ সালে বিচ্ছেদ ঘটে ৫ হাজার ৯৭৬টি, যা এর আগের ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। রংপুর সিটি করপোরেশনসহ পুরো জেলায় ২০১৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল ৬ হাজার ৯৬৭টি। ২০২২ সালে এসে এ সংখ্যা দাঁড়িয়ে ৭ হাজার ২১৫-তে। ময়মনসিংহ জেলায় তিন বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে তালাকের ঘটনা বৃদ্ধির তথ্য পাওয়া গেছে।
Leave a Reply