সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন

চাঁদের নিজস্ব টাইম জোন চায় হোয়াইট হাউস

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪, ৮.৩০ পিএম

পৃথিবীর অঞ্চলভেদে রয়েছে টাইম জোন। এবার চাঁদেও থাকতে হবে টাইম জোন এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর- হোয়াইট হাউজ। ২০২৬ সাল নাগাদ চাঁদের জন্য নতুন টাইম জোন তৈরির নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এটি সমন্বিত লুনার টাইম (সিএলটি) নামে পরিচিত হবে।

চাঁদে বিভিন্ন মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের শক্তির কারণে, পৃথিবীর তুলনায় সেখানে সময় দ্রুত চলে। – প্রতিদিন ৫৮.৭ মাইক্রোসেকেন্ড।

মার্কিন সরকার আশা করছে নতুন সময় চাঁদে পৌঁছানোর জন্য জাতীয় ও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাকে সমন্বিত রাখতে সাহায্য করবে।

স্কটল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী রয়্যাল প্রফেসর ক্যাথরিন হেইম্যানস বিবিসি রেডিও 4- টুডের প্রোগ্রামে বলেন: “আমাদের মহাবিশ্বের এই মৌলিক মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে যে মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সময় ভিন্নভাবে চলে।

“চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ কিছুটা দুর্বল এবং ঘড়িগুলো ভিন্নভাবে চলে।”

আমাদের গ্রহের চারপাশে স্থাপিত শত শত পারমাণবিক ঘড়ি দ্বারা পৃথিবীতে সময় বর্তমানে পরিমাপ করা হয়। যা ন্যানোসেকেন্ড। এতে সময় রেকর্ড করতে পরমাণুর পরিবর্তিত শক্তির অবস্থা পরিমাপ করে। যদি তারা চাঁদে স্থাপন করা হয়, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা এক সেকেন্ড দ্রুত ছুটবে।

“চাঁদের একটি ঘড়ি পৃথিবীর একটি ঘড়ির চেয়ে ভিন্ন গতিতে  চলবে,” বলেছেন নাসার শীর্ষ যোগাযোগ ও নেভিগেশন কর্মকর্তা কেভিন কগিন্স।

কিন্তু নাসাই একমাত্র চাঁদের সময়কে বাস্তবে পরিণত করার চেষ্টা করছে না। এ পরিকল্পনা জাপান, ভারত ও রাশিয়ার মতো দেশগুলোর মধ্যে চাঁদ নিয়ে রীতিমতো ইঁদুরদৌড় চলছে।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সিও কিছু সময়ের জন্য একটি নতুন সময় ব্যবস্থা তৈরি করছে।

 

বিবিসি অবলম্বনে

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024