শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

হিট স্ট্রোক এড়াতে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ ‘র পরামর্শ, ১০ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ৯৪৪ কোটি

  • Update Time : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪, ৫.৩৭ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

 

গালফ নিউজের শিরোনাম ‘‘আমিরাতে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের জলাবদ্ধতা পরিষ্কার হয়েছে’’

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহের রেকর্ড-উচ্চ বৃষ্টিপাতের বেশিরভাগ জলাবদ্ধতা এবং ধ্বংসাবশেষ আবুধাবিতে পরিষ্কার করা হয়েছে। পৌরসভা ও পরিবহন বিভাগ চব্বিশ ঘন্টা কাজ করে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করেছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আবুধাবিতে গত সপ্তাহের রেকর্ড-উচ্চ বৃষ্টিপাতের বেশিরভাগ পানি পরিষ্কার করা হয়েছে।
পৌরসভা ও পরিবহন বিভাগ (ডিএমটি) ১৫ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত আবুধাবি জুড়ে প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তাদরে সব পরিসেবা বিভাগ সমন্বয় করে কাজ করেছে।

এই প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে বৃষ্টির পানি অপসারণ, সব সড়ক নেটওয়ার্ক পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ, আলোর খুঁটি ও সাইনবোর্ড মেরামত, পতিত গাছ অপসারণ, গর্ত ভরাট ও সমতলকরণ এবং মাটি ক্ষয়, আবাসিক এলাকা এবং বাসস্থান ও অভ্যন্তরীণ সড়ক পরিষ্কার করা।

প্রবল বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাব প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হবে বলে বিশেষজ্ঞ দলগুলো নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথে ডিএমটি বলেছিল যে, তারা জরুরি আকস্মিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।

 

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের শিরোনাম ‘‘ওড়িশায় ৪৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পূর্বাভাস: রাজ্যগুলোতে সতর্কতা জারি’’

খবরে বলা হয়, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ সারা দেশে তাপপ্রবাহ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) শনিবার ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য আগামী দুই দিনের জন্য কমলা সতর্কতা (হিটওয়েভ) জারি করেছে, এবং ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর জন্য আগামী পাঁচ দিনের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ওড়িশার বেশ কয়েকটি অংশ তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে, পশ্চিম ওড়িশার বৌধ এবং উত্তর অঞ্চলের বারিপাড়া সর্বাধিক তাপমাত্রা ৪৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে, এবং রাজ্যের ১০ টি জায়গায় পারদ ৪৩ ডিগ্রি অতিক্রম করেছে। শুক্রবার, বালাসোর জেলায় রোদে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া সংস্থার মতে, শনিবার ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। তবে, তীব্র তাপপ্রবাহের প্রথম ঢেউ তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং গুজরাটের কিছু অংশকে গ্রাস করেছিল।

 

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের একটি শিরোনাম ‘‘পাকিস্তানে আগামী মাসে নতুন ঋণ আলোচনার জন্য আসবে আইএমএফ ’’

খবরে বলা হয়, নতুন ঋণ আলোচনার জন্য আগামী মাসে আইএমএফ  আসবে পাকিস্তানে অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব জানিয়েছেন যে আইএমএফের একটি দল জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে কর্মী-স্তরের চুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তান সফর করবে।

সপ্তাহব্যাপী সফর শেষে মার্কিন-পাকিস্তানি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য তহবিলের অভিপ্রায়ের কথা উল্লেখ করেন। “নতুন কর্মসূচির রূপরেখা পরে তৈরি হবে।

পাকিস্তান দূতাবাসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আওরঙ্গজে আশা প্রকাশ করেন যে আইএমএফ-এর বোর্ড অফ গভর্নররা চলতি মাসের শেষের মধ্যে বর্তমান কর্মসূচির শেষ কিস্তি বিবেচনা করার জন্য আহ্বান জানাবে, এর পরেই শীঘ্রই চূড়ান্ত কিস্তি প্রকাশ করা হবে।

পাকিস্তান৬-৮ বিলিয়ন ডলারের নতুন ঋণ প্যাকেজ চাইছে। আগের বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তান একটি দীর্ঘমেয়াদী, বিশেষ করে তিন বছরের কর্মসূচি পছন্দ করবে।

 

হিট স্ট্রোক এড়াতে অধ্যাপক  ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ ‘র পরামর্শ

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সব বয়সি মানুষের। ঘরের বাইরে বের হলেই গরমে ঘেমে অস্থির হচ্ছেন অনেকে। এতে শরীরে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হওয়ার শঙ্কা থাকে।

পাশাপাশি দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এমন অবস্থায় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়। এ স্ট্রোক এড়াতে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া উচিত নয় এমন পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ ।

অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, যারা দীর্ঘসময় রোদে থাকেন, তারাই মূলত হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকেন। মানবদেহে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। দীর্ঘ সময় গরমে থাকায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। এ অবস্থায় শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিট স্ট্রোক হয়। শিশু, নারী ও বয়স্কদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। উচ্চ রক্তচাপ, হদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে।

শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ১০৫-এর উপর উঠলে ঘাম হয় না, মাথা ব্যথা হয়, বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারেঅস্থিরতা, বুক ধড়ফড় করে, ক্লান্তি ও অবসাদ হয়। এক সময় অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা হয়, জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন অনেকে। এটি বিপজ্জনক। এটি খুবই মারাÍক, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না দিলে রোগী মারাও যেতে পারে।

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে করণীয় সম্পর্কে অধ্যাপক   এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, গরমে খুব প্রয়োজন না হলে রোদে যাওয়া যাবে না। শ্রমিক যারা কাজ করেন তাদের কিছু সময় পরপর ছায়ার মধ্যে আসতে হবে। বিশ্রাম নিয়ে তারপর আবারও কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা মাথায় কাজ করতে হবে। ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ আরও বলেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। এসি থাকলে চালু করে শুইয়ে রাখতে হবে। অথবা ফ্যানের বাতাস দিতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস ও ডাবের পানি পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তচাপ কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া জরুরি।

গরমে সবচেয়ে বড় সমস্যা পানিশূন্যতা। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ওরাল স্যালাইন খাওয়া ভালো। এছাড়া পানিতে লবণ মিশিয়েও খাওয়া যাবে।

তবে রাস্তায় বিক্রি হওয়া লেবু পানি, আখের জুস খাওয়া যাবে না। অস্বাস্থ্যকর, বাসি খাবারও পরিহার করতে হবে। শিশুদের সুরক্ষার বিষয়ে প্রথিতযশা এই চিকিৎসকের পরামর্শ হচ্ছে গরমে শিশুদের জন্য ঝুঁকিটা বেশি। বাচ্চাদের বেশি বেশি পানি খাওয়াতে হবে। তারা যেন রোদের মধ্যে অনেক বেশি দৌড়ঝাঁপ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সব বয়সির ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরিধান করতে হবে।

 

 

সমকালের শিরোনাম ‘‘সুন্দরবনে প্লাস্টিক-পলিথিন খেয়ে মরছে প্রাণী’’

 

খবরে বলা হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে প্লাস্টিক দূষণ। বনের মাটি ও পানিতে উদ্বেগজনক হারে মিলছে মাইক্রোপ্লাস্টিক (প্লাস্টিকের অত্যন্ত ক্ষুদ্র অংশ)। প্লাস্টিক ও পলিথিন হুমকি বাড়াচ্ছে জলজ ও স্থল বন্যপ্রাণী এবং গাছপালার। মাঝেমধ্যে বানর পলিথিন খেয়ে ফেলছে। শুশুক-ডলফিন চোখে ভালো দেখে না। তারাও পলিথিন পেলে জেলিফিশ মনে করে খেয়ে ফেলে। গায়ে পলিথিন জড়িয়ে মারা যাচ্ছে কচ্ছপ। অন্যান্য জলজ প্রাণীও প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ খেয়ে ফেলছে। গাছের শ্বাসমূলের ওপর পলিথিন ও প্লাস্টিকসামগ্রী পড়ে ক্ষতি হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব ঘটে চলার পরও দূষণ ঠেকাতে বন বিভাগের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, সুন্দরবনের মধ্যে পর্যটক ও বনজীবীরা যেখানে সেখানে পলিথিন, চিপস, চানাচুর, বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাবারের প্যাকেট, পানির বোতল, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের থালা ও কাপ ফেলে থাকে। বনের যেসব এলাকায় মানুষের যাতায়াত বেশি, সেখানে প্লাস্টিক দূষণও বেশি। তবে পর্যটক ও বনজীবীরা শুধু সুন্দরবনের ভেতরে গিয়েই দূষণ ঘটাচ্ছেন না, বনসংলগ্ন লোকালয় থেকেও এগুলো জোয়ার-ভাটায় নদীর পানিতে ভেসে বনে যায়। বনসংলগ্ন ৮০টি গ্রাম থেকে ৫২টি নদী-খাল হয়ে জোয়ারের সময় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের থালা ও কাপ বনের মধ্যে চলে যাচ্ছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় সুন্দরবনে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান একটি গবেষণা করেন। গবেষণার নাম ‘স্পেশাল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড ক্যারেক্টারাইজেশন অব মাইক্রোপ্লাস্টিক ইন দ্য কোস্টাল ওয়াটার অ্যান্ড সেডিমেন্ট অব দ্য বে অব বেঙ্গল কোস্ট, বাংলাদেশ’। গবেষণায় সুন্দরবনের ছয়টি স্থানের পানি ও মাটি পরীক্ষা করা হয়। মাহাদী হাসান জানান, ওই গবেষণায় দেখা যায়, সুন্দরবনের প্রতি লিটার পানিতে গড়ে দুটি মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং প্রতি কেজি মাটিতে গড়ে ৭৩৪টি মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে।

সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, সুন্দরবনের নদী-খাল দিয়ে অসংখ্য জলযান চলাচল করে। এগুলো থেকে প্লাস্টিক ও পলিথিন সামগ্রী নদীতে ছোড়া হয়। সেগুলো মাটি ও পানিতে মিশে যায়। পলিথিন ও প্লাস্টিকসামগ্রী পচনশীল না হওয়ায় বনের পরিবেশের ক্ষতি করছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক নাজমুস সাদাত বলেন, প্লাস্টিক দূষণের কারণে বনের স্থল ও জলজ প্রাণী এবং গাছপালার হুমকি বাড়ছে। এ বিষয়ে আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে এই দূষণ রোধে বন বিভাগকে আরও সক্রিয় হতে হবে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে পুতনির চর ও বঙ্গবন্ধু চর থেকে ১১ বস্তা প্লাস্টিক ও পলিথিন অপসারণ করা হয়েছে। খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, প্লাস্টিক দূষণ রোধে আরও কঠোর হবেন তারা।

 

 

দেশ রুপান্তরের শিরোনাম ‘‘১০ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ৯৪৪ কোটি’’

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, খেলাপি ঋণ, তারল্য সংকট, আমদানির ঋণপত্র (এলসি) সীমিত হওয়া ও বেসরকারি ঋণের প্রবাহ কমে যাওয়ার মধ্যেও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মুনাফায় ভালো প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। অর্থনৈতিক অস্থিরতায় দেশের উৎপাদন খাত চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকলেও আর্থিক খাত বিশেষ করে ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফা বাড়ানোর সক্ষমতা দেখিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে ১১টি নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে বরাবরের মতো শুধু আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লোকসানে। বাকি দশ ব্যাংক ২০২৩ সালে সম্মিলিতভাবে ৫ হাজার ২৩২ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৯৪৪ কোটি টাকা বা ২২ শতাংশ বেশি।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মুনাফায় থাকা দশ ব্যাংকের মধ্যে আটটির নিট মুনাফা বেড়েছে। তবে এর মধ্যে পাঁচ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাড়তি মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারদের গত বছরের তুলনায় বাড়তি লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি তিনটির ঘোষিত লভ্যাংশের হার অপরিবর্তিত।

মুনাফা কমায় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পর্ষদ এ বছর শুধু ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছর ১০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ২ শতাংশ বোনাস (স্টক) লভ্যাংশও দিয়েছিল। মুনাফা অপরিবর্তিত থাকলেও শাহজালাল ব্যাংক গত বছরের তুলনায় ১ শতাংশ কম লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গত বছর ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদের সঙ্গে ৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ বছর নগদ লভ্যাংশ ২ শতাংশ বাড়িয়েছে।

এখন পর্যন্ত যে দশ ব্যাংক ২০২৩ সালের নিট মুনাফার তথ্য প্রকাশ করেছে, সেগুলো হলো ব্র্যাক, দি সিটি, ডাচ্-বাংলা, ইস্টার্ন, মার্কেন্টাইল, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, প্রাইম, পূবালী, শাহজালাল ইসলামী এবং উত্তরা ব্যাংক। ২০২২ সালে এই দশ ব্যাংকের নিট মুনাফা ছিল ৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। উল্লিখিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নিট মুনাফা ১২ শতাংশ কমেছে, অপরিবর্তিত শাহজালাল ব্যাংকের মুনাফা।

অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে মুনাফায় সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের, ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২২ সালে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৭ টাকা ৫৭ পয়সা, যা ২০২৩ সালে বেড়ে ১০ টাকা ৭২ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। ৩৩ শতাংশের বেশি নিট মুনাফা বেড়ে দি সিটির ইপিএস ৫ টাকা ২১ পয়সায় উন্নীত হয়েছে।

২০২৩ সালের নিট মুনাফা প্রকাশ করা অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্র্যাকের ইপিএস ৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৪ টাকা ৭৩ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। একইভাবে ইস্টার্ন ব্যাংকের ইপিএস ৪ টাকা ২৪ পয়সা থেকে ৫ টাকা ৭ পয়সা, মিউচুয়াল ট্রাস্টের ইপিএস ২ টাকা ৪১ পয়সা থেকে ২ টাকা ৯১ পয়সা, প্রাইমের ৩ টাকা ৫৩ পয়সা থেকে ৪ টাকা ২৪ পয়সা, পূবালীর ৫ টাকা ৪৯ পয়সা থেকে ৬ টাকা ৭৬ পয়সা এবং উত্তরা ব্যাংকের ইপিএস ২০২২ সালের ৩ টাকা ৬৯ পয়সা থেকে বেড়ে ৪ টাকা ৩২ পয়সায় উন্নীত হয়েছে।

শুধু শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ইপিএস ২০২২ সালে যে ৩ টাকা ২২ পয়সা ছিল, তা গত বছরও একই পর্যায়ে থেকেছে। আর মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ইপিএস ২ টাকা ১২ পয়সা থেকে কমে ১ টাকা ৮৬ পয়সায় নেমেছে।

 

 

দৈনিক আজকের পত্রিকার শিরোনাম ‘‘সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ক্ষতি ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি: বিআরটিএ’’

 

খবরে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

মহাখালী বাস টার্মিনালে বিআরটিএর আয়োজনে সড়ক নিরাপত্তামূলক আলোচনা সভায় বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এ কথা জানান। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএর নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি।

নূর মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি জিডিপি লস হয়, এটাকে যদি পার্সেন্টে হিসাব করা হয় তাহলে সেটি মোট জিডিপির ১ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। আর এটা হয় শুধু সড়ক দুর্ঘটনার কারণে। এটা শুধু আর্থিক হিসাব। একটা কর্মক্ষম ব্যক্তি যদি কোনো পরিবারের মারা যান, তাহলে তো পুরো পরিবার ধ্বংস।

নানা সীমাবদ্ধতার কারণে হার্ড কপি ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে হার্ড কপির জন্য কেউ যেন মরিয়া না হয়। ই-ড্রাইভিং লাইসেন্সই মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স। এটা মোবাইলে প্রদর্শন করে গাড়ি চালনা করা যাবে।

ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখানোর পরও পুলিশ যদি মামলা করে, তাহলে নির্দিষ্ট করে সেই পুলিশের নাম-ফোন নম্বর লিখে বিআরটিএকে জানানোর কথা বলেছেন নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, তাহলে বিআরটিএ পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সেটা নিয়ে বসবে।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি পেলেই ডাম্পিং করার হুঁশিয়ারি দিয়ে নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, কেউ যদি ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে সড়কে নামেন, তাহলে বিআরটিএ ধরতে পারলেই সেটা সোজা ডাম্পিং স্টেশনে পাঠিয়ে দেবে। এখানে জরিমানা করা হবে না, জরিমানা করে খুব একটা লাভ হয় না।

চালকদের টার্মিনালভিত্তিক ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে জানিয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, বিআরটিএ চিন্তা করেছে টার্মিনালভিত্তিক ট্রেনিং শুরু করবে চালকদের জন্য।

অন্যদের মধ্যে ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আবুল মোমেন, বিআরটিএর রোড সেফটি বিভাগের পরিচালক, বিআরটিএর রোড সেফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মো. মাহবুব-ই-রব্বানী বক্তব্য দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024