সারাক্ষণ ডেস্ক
ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা প্রধান ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন বিধ্বংসী হামলার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
সেনাবাহিনীর ৩৮ বছর বয়সী প্রবীণ মেজর জেনারেল আহারন হালিভা ছিলেন বেশ কয়েকজন প্রবীণ ইসরায়েলি কমান্ডারদের মধ্যে একজন। তিনি বলেন, তারা ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণের পূর্বাভাস দিতে এবং প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রকাশিত একটি পদত্যাগ পত্রে তিনি বলেন, “আমার অধীনে থাকা গোয়েন্দা বিভাগে আমাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তা পালন করতে পারেনি। তারপর থেকে আমি সেই কালো দিনটিকে (৭ অক্টোবর) আমার সঙ্গে নিয়ে এসেছি “।
নতুন একজন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই পদে বহাল থাকবেন। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স-আইডিএফ জানিয়েছে তার পদে অন্য একজন আসার পরেই জেনারেল হালিভা দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন।
অবশ্য ইসরায়েলি গণমাধ্যম গাজায় প্রধান সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার পরে আরও পদত্যাগের আশা করছেন।
৭ অক্টোবরের হামলাটি ইসরায়েলি সামরিক ও গোয়েন্দা পরিষেবাগুলোর সুনামকে বেশ বাজেভাবে কলঙ্কিত করেছিল। সেদিন ভোরের দিকে, একটি তীব্র রকেট হামলার পরে, হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর হাজার হাজার যোদ্ধা গাজার চারপাশে নিরাপত্তা বাধা ভেঙে ইসরায়েলি বাহিনীকে বিস্মিত করে এবং দক্ষিণ ইসরায়েলের সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
ইসরায়েলি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই হামলায় প্রায় বারোশ’ ইসরায়েলি ও বিদেশী নিহত হয়। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক । প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় বন্দী করা হয়। যেখানে এখনো ১৩৩ জন জিম্মি হিসেবে রয়ে গেছে।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল হার্জি হালেভি এবং অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের প্রধান রোনেন বার উভয়ই হামলার পর দায় স্বীকার করলেও গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেবেন।
বিপরীতে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখনও পর্যন্ত ৭ অক্টোবরের হামলার দায় স্বীকার করেননি। যদিও সমীক্ষাগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, বেশিরভাগ ইসরায়েলিরা প্রতিরোধ বা প্রতিরক্ষার জন্য যথেষ্ট কিছু করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য তাকে দোষারোপ করে।
Leave a Reply