শিবলী আহম্মেদ সুজন
তীব্র তাপদাহের কারণে সারা দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ।আর ইট সিমেন্টে’র এই প্রায় বৃক্ষশূন্য ঢাকা শহরের মানুষ- বিশেষ করে যাদের বাধ্যতা মূলক জীবিকার তাগিদে গরমে কাজ করতে হচ্ছে, যেমন- রিক্সাচালক ,ভ্যানচালক,দিনমজুর থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর জন্য তাদের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ।। প্রতিদিনই তাপমাত্রা উঠা নামা করছে ৩৮ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই গরমে প্রতি মুহূর্তে এসব মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে পানি। রাস্তায় এদের কাউকেই ঘামশূন্য পাওয়ার চিন্তা করাই ভুল। আর এই তীব্র গরমে সেই পানির ঘাটতি পূরণের জন্য মানুষ শুধুপানি নয়, কিছু কিছু রসালো ফল ও নানান ধরনের ফলের বা অন্য কোন কিছুর রস খাবার চেষ্টা করছেন।
তবে মানুষের জন্যে সুখবর হচ্ছে রমজান মাসের থেকে এখন কিছু কিছু ফলের দাম কম।
প্রচন্ড এই গরমে ফলের দাম বেড়েছে না কমেছে ?
রাজধানীর মিরপুর ১৪ তে ফল বিক্রেতা মোঃ সোহেলের সাথে কথা বলে যা জানা গেল, ফলমূলের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে আংগুর ৩১০ টাকা কেজি , আপেল ২৫০ টাকা কেজি , কমলা ২২০ টাকা কেজি।
তরমুজ বিক্রি ও দাম কতটা বেড়েছে?
তরমুজ বিক্রেতা মোঃ আলামিনের সাথে কথা বলে জানা গেল তরমুজের দাম আগে ছিলো প্রতি কেজি ৪০ টাকা এখন এই তীব্র গরমে তা বেড়ে গিয়ে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে । আগের থেকে এ গরমে তরমুজ অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে ।
ডাব কেমন বিক্রি হচ্ছে ?
ডাব বিক্রেতা মোঃ মামুনের সাথে কথা বলে জানা গেল , প্রতিটি ডাব ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে ।যার অর্থ দাড়াচ্ছে ডাব প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়ে গিয়েছে।
আখের রস কেমন খাচ্ছে ?
আখের রস বিক্রেতা মোঃ মফিজুল বলেন, আখের রস প্রতি গ্লাস ১০ টাকা করে বিক্রি করছেন। বিক্রি ভালো হচ্ছে মোটামুটি ক্রেতা ভালোই আছে ।
সব থেকে বেশি খাচ্ছে লেবুর শরবত
লেবুর শরবত বিক্রেতা মোঃ শাহাদাতের সাথে কথা বলে জানা গেল, লেবুর শরবতের চাহিদা এ মুহূর্তে প্রচুর । প্রতি গ্লাস লেবুর শরবত ১০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে । শ্রমজীবি মানুষ প্রচুর পরিমানে লেবুর শরবত খাচ্ছেন।
Leave a Reply