নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে তাকে বহিষ্কার করার কোনো ভিত্তি নেই। জাতীয়তা আইনজীবী ফোরামের কোন কোনো গঠনতন্ত্র নেই। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সময় এসেছে কায়সার কামালকে দল থেকে বহিষ্কার করার। বিএনপিপন্থী সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তার কোনো বৈধতা নেই বলে দাবি করেছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন । রবিবার (২১ এপ্রিল) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেয়ার খবর বের হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিষ্টার খোকন বলেন, ”জাতীয়তা আইনজীবী ফোরামের কোন কোনো গঠনতন্ত্র নেই। তার তো ক্ষমতাই নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। এটা আইনত কার্যকর নয়। আমি বিএনপি করছি, বিএনপি করব। যদি গঠনতন্ত্র না থাকে তাহলে কীভাবে আমাকে অব্যাহতি দেয়। এই অব্যাহতির সিদ্ধান্ত আইনগত কার্যকারিতা নাই।’’
বার নির্বাচনে বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালের ভূমিকা তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। খোকন বলেন, তিনি একজন আত্মস্বীকৃত অপরাধী। সে কীভাবে আইনজীবীদের নেতা হন। নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে আইনজীবী ফোরাম থেকে তার সদস্যপদ থাকা উচিত নয়। সরকারের এই এজেন্টকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। আমি মনে করি কায়সার কামালের ভূমিকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের তদন্ত করা উচিত।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, তারেক রহমান আমাদের প্যানেল ঘোষণা করেছেন। বিএনপির পার্টি অফিসে সবার উপস্থিতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। তারেক রহমান তো বলেনি তোমরা ভোট গণনায় যেও না, সভাপতির দায়িত্ব নিও না। তাহলে দায়িত্ব নিও না— একথা বলার কায়সার কামাল কে? যদি আমরা ১২ পদে জয়ী হতাম তাহলে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের আন্দোলন শক্তিশালী করতে পারতাম। কার সঙ্গে আতাঁত করে কায়সার কামাল সরকারকে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী করার পেছনে কাজ করছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে ওয়াকওভার দেওয়া।
তিনি বলেন, বার নির্বাচনে আমরা সরকারের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু কায়সার কামালের ষড়যন্ত্রের কারণে সেই যুদ্ধে পুরোপুরি জয়ী হতে পারিনি। তিনি নির্বাচনের সময় উপস্থিত না থেকে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। তারেক রহমানের ঘোষিত প্যানেলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
খোকন বলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ছিল টিএইচ খানের মতো আইনজীবীদের নেতৃত্বে। সেই সংগঠনকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম করে কায়সার কামাল। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় কায়সার কামালদের ভূমিকা কী ছিল? কোথায় ছিলেন তিনি ওই সময়।
তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা বার নির্বাচনে অংশ নেই। সেই নির্বাচনে আমরা ১৪টি পদের মধ্যে ১২টিতে জয়ী হতাম। কিন্তু কায়সার কামাল তিনবার সরকারের প্যানেলের পক্ষে কাজ করায় আমরা সভাপতিসহ চারটি পদে জয়ী হয়েছি। নির্বাচনের পর ভোট গণনা থেকে আমাদের এজেন্টদের কেন সরিয়ে নেওয়া হলো। এজেন্টদের সরিয়ে নেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগকে ওয়াকওভার দেওয়া। অর্থাৎ বার নির্বাচনে সরকারকে জেতানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন কায়সার কামাল। এই ষড়যন্ত্রের মূলে ছিল ভোট গণনার সময় এজেন্টদের সরিয়ে নেয়া।
Leave a Reply