পরোক্ষ নেতৃত্বের অন্যতম দিক কাজের স্ট্রাটেজি
যে কোন কাজের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো কাজের স্ট্রাটেজি নিধারণ। যে কোন কাজের জন্য অনেক ধরনের স্ট্রাটেজি নিতে হয়, যার ফলে কাজের কোন অংশ ডাইরেক্ট হয়, কোন অংশকে মনে হয় বাই প্রোডাক্ট হচ্ছে। আবার কোন অংশ ঠিক কীভাবে হচ্ছে তা টিমের বা দলের সদস্য শতভাগ বুঝে উঠতে পারে না। অর্থাত্ স্ট্রাটেজির একটি অংশ হিডেন থাকে।
পরোক্ষ নেতৃত্বের একটা বড় দিক হলো যে কোন কাজের অনেক কিছু নানান ভাবে হিডেন রাখা।
আর এ সবই সম্ভব হয় কাজের স্ট্রাটেজি কতটা স্মার্ট ও স্বচ্ছ তার ওপর।
তবে নেতাকে সব সময় মনে রাখতে হয়, কাজের স্ট্রাটেজিটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে যিনি যে অংশের কাজ করবেন, তার অংশ নিয়ে তিনি যেমন স্বচ্ছ থাকবেন তেমনি তার সঙ্গে যোগ রয়েছে যে অংশগুলোর সে গুলোর সঙ্গে তিনি সাবলীলভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করতে পারবেন।
এছাড়া কাজের ডিভিশন, কাজের কোনো অংশের নীতি হিডেন থাকা, কাজের সমন্বয়ের মধ্যেও ডিভিশন এসব মিলেই যেন পুরো বিষয়টি হয়। কখনও যেন কেউ না মনে করতে পারে সে এখানে একা বা তার দলের অংশ বিচ্ছিন্ন।
দলকে এই বিচ্ছিন্নতা থেকে রক্ষা করার উপায়
কোনরূপ মুখের কথায় বা কোন চাতুরির মাধ্যমে দলকে বিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্ত করা যায় না। দলকে বিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্ত করার একমাত্র পথ কাজের ভেতর একটি সুক্ষ্ম ঐক্য রাখা। এবং কাজ এগিয়ে চলা ও কাজের বিজয়টা বা সাফল্যটা যেন এমনভাবে আসে সবাই মনে করতে পারে বাস্তবে কাজের সমগ্র অংশের অংশে তারা জড়িত। পরোক্ষ নেতৃত্বের এই একটি বড় দিক।
যেমন যে কোন যুদ্ধে দেখা যায় রাজনৈতিক নেতারা বা ডিপ্লোম্যাটরা অনেক বেশি কাজ করেন যা মূলত যুদ্ধের বিজয়কে সহজ করে তোলে কিন্তু বিজয়ের মুহূর্তে সেনাবাহিনী শতভাগই মনে করে তারাই যুদ্ধে জিতেছেন। এটাই পরোক্ষ নেতৃত্বের একটা বড় উদাহরণ।
Leave a Reply