সারাক্ষণ ডেস্ক
পাকিস্তান মুসলিম লীগ নেওয়াজ এর ( পি এম এল-এন ) প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরীফ রবিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ।
পার্লামেন্টে মিঃ শাহবাজ তার পক্ষে ২০১ জন পার্লামেন্ট মেম্বারের সমর্থন পান।
তার প্রতিপক্ষ ওমর আইয়ুব খান পান ৯২ জন পার্লামেন্ট মেম্বারের সমর্থন ।এর ফলে জাতীয় পরিষদের স্পীকার আয়াজ সাদীক শাহবাজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করে।
শাহবাজের এই বিজয় টা অনেকটা নির্ধারিত ছিলো।কারণ তার নিজের দল ছাড়াও আরো ৭ টি দলঃ পাকিস্তান পিপলস পার্টি ,মুত্তাহিদা, কওমী মুভমেন্ট পাকিস্তান, পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কিউ) ,বেলুচিয়েস্থান আওয়ামী পার্টি ,পাকিস্তান মুসলিম লীগ জিয়া , ইস্তেকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি ও ন্যাশনাল পার্টি তাকে সমর্থন করেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পর ই দলীয় নেতৃত্ববৃন্দ পরিবেষ্ঠীত শাহবাজ তার দলের মূল নেতা বড় ভাই নেওয়াজ শরীফকে ধন্যবাদ জানান ।
রাজনৈতিক টালমাটাল দেশ পাকিস্তানে মিঃ শাহবাজ শরীফ দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।এই দেশটির রাজনৈতিক টালমাটালের অনেক ভয়াবহ ইতিহাস রয়েছে ।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্থান্তর না করে গণহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলো এই দেশটি ১৯৭১ সালে। যার ফলে শুধু দেশটি ভেঙে যায়নি একটি বড় মাপের গণহত্যাও হয়। এর পরেও বিচার বিভাগীয় হত্যা কান্ডের মাধ্যমে জীবনের অবসান ঘটে ,পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর । তার কন্যা পাকিস্তানের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভূট্টোকেও গনতন্ত্রের জন্য জীবন দিতে হয়।
সে দেশেই দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন মিঃশাহবাজ শরীফ। বাস্তবে তিনিও প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন অনেকটা পার্লামেন্টারি-কুদেতার এর ভেতর দিয়ে ইমরান খান কে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে।
এবার ও তার এই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার পর্যন্ত পৌছাতে একদিকে যেমন ইমরান খানকে জেলে রাখতে হয়েছে অন্যদিকে তাকে আসতে হয়েছে একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ভেতর দিয়ে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের কোন প্রধানমন্ত্রীই এ পর্যন্ত তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।
Leave a Reply