নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে নিহত সোহেল রানা বাবু ও হৃদয় এর হত্যাকারিদের গ্রেফতার এবং ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা সাজিয়ে গ্রেফতারকৃত উক্ত গাড়ির ড্রাইভার আব্দুর রহমান এর মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন জনাব ওসমান আলী, সাধারন সম্পাদক-বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান।
শ্রমিক নেতা শাহজাহান বাবুল এর সভাপতিত্বে এবং সাখাওয়াত হোসেন দুলালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দেলোয়ার খান, জামাল মোল্লা, আলম মাদবর, আঃ জাব্বার, শাহ আলম, ইতিহাস পরিবহন লিঃ এর চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, গাবতলী পরিবহন নেতা আব্দুল রহিম, অটোরিক্সা শ্রমিক নেতা রমজান আলী ভুট্টো, মো. শহিদ, আবু নাসির বেপারী এবং নিহত বাবু ও হৃদয়ের পরিবারের সদস্য বৃন্দ।
ইতিহাস পরিবহন, গাড়ি নং-৮১২, ৮ এপ্রিল, সকাল ১১.৩০ টায় মিরপুর-১৪ হইতে ছেড়েছে গন্তব্য চন্দ্রা। মিরপুর-১ হইতে যাত্রী উক্ত গাড়িতে উঠেন। ভাড়া কম/বেশি নিয়ে তর্ক বিতর্ক যাত্রী বনাম শ্রমিক সোহেল রানা বাবু ও হৃদয়। যাত্রী ফোন করে তার সাংগ পাংগদের তার গন্তব্য স্থল ইপিজেড এলাকায় জড়ো করান।
গাড়ি ইপিজেড স্ট্যান্ড এ থামলে যাত্রী এবং যাত্রীর লোকজন গাড়ি থেকে বাবু ও হৃদয়কে নামিয়ে কিল, ঘুষি, লাথি, ইট, পাথর ইত্যাদির মাধ্যমে উভয়ের শরীরে ক্ষত-বিক্ষত করিলে স্থানীয় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মেডিকেলে নিলে ডাঃ উভয়কে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
হত্যাকারিরা প্রভাবশালী হওয়ায় হত্যার পর সাথে সাথে মেডিকেলের চিকিৎসক এবং আশুলিয়া থানার কর্মকর্তাদের তাৎক্ষনিক ম্যানেজ করে ফেলেন। অতঃপর ঘটনার মোড় ঘুরানোর জন্য তাৎক্ষনিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে উক্ত গাড়ির ড্রাইভার আব্দুর রহমানকে আসামি করে এবং লাশ নিতে হলে স্বাক্ষর করতে হবে বলে নিহত হৃদয়ের ভাইকে বাদি করে পুলিশ থানায় মামলা রুজু করেন। ঐ মামলার আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত জেল হাজতে প্রেরন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা এর সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতারের দাবী জানান। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামী ৫ মে মিরপুর বিআরটিএ’র সামনে প্রতিবাদ সভার আহবান জানিয়ে অন্য সভা সমাপ্ত করা হয়।
Leave a Reply