সারাক্ষণ ডেস্ক
টেকসই জলজ চাষ এবং মৎস্য খাতে সহযোগিতা জোরদার করতে বাংলাদেশ এবং আসিয়ান দেশগুলির জন্য সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি ভাগ করে নেওয়াই হবে পারস্পারিক সহযোগিতার চাবিকাঠি। পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন আজ হোটেল সিলভার ক্যাসেলে আয়োজিত ‘টেকসই জলজ কৃষির প্রতি: অ্যান আসিয়ান বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ অন অ্যান্টিবায়োটিক স্টুয়ার্ডশিপ, গুড প্র্যাকটিস অ্যান্ড ক্লাস্টার ফার্মিং’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। ময়মনসিংহ সেশনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাস্থ আসিয়ান মিশনের প্রধান, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি, শীর্ষ আমলা, নীতি নির্ধারক, গবেষক এবং আসিয়ানের দশটি দেশ ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীরা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর এবং আসিয়ান সচিবালয়ের সহযোগিতায় মৎস্য ও জলজ চাষের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আসিয়ানের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী এ সেমিনারের আয়োজন করে। আসিয়ান দেশগুলো এবং বাংলাদেশের এই ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা তাদের অভিজ্ঞতা এবং সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি ভাগ করে নেবেন এবং বাংলাদেশ এবং আসিয়ান দেশগুলোর মধ্যে জলজ চাষের ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতা তৈরির জন্য সুপারিশের সেট নিয়ে আসবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসিয়ান দেশগুলোর সফররত মিশন প্রধান ও কূটনীতিকদের জন্য ময়মনসিংহে ঐতিহাসিক স্থান, বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এবং মৎস্য প্রকল্প পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেছে।
বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার প্রয়াসে
আসিয়ানের সাথে তার সম্পৃক্ততা বাড়াতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এই কর্মশালাটি মৎস্য-সংক্রান্ত আসিয়ান-বাংলাদেশ সহযোগিতা প্রকল্পের একটি অংশ যা বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে এবং পাঁচ মার্চ কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে। প্রকল্পের অবশিষ্ট অংশ, একটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম এবং সেমিনার, এই বছর জাকার্তায় আয়োজন করা হবে।
Leave a Reply