রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

বাংলাদেশ ও কুয়েতের বন্ধুত্বের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ৭.০৬ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

বাংলাদেশ দূতাবাস, কুয়েত ২৩ এপ্রিল ২০৪ তারিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় ক্রাউন প্লজা হোটেলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।কুয়েতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, কুয়েতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্ট টু কুয়েত এর সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় এবং প্রবাসী গণমাধ্যমকর্মী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ মোট ৪০০ জনেরও বেশী অতিথী উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের সমাজ বিষয়ক, পরিবার ও শিশু বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মাননীয় প্রতিমন্ত্রী শেখ ফিরাস সৌদ আল-মালিক আল-সাবাহ। কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) মো: আশিকুজ্জামান, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীগণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের স্বাগত জানান।

বাংলাদেশ এবং কুয়েতের জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ়্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য কুয়েতের সমাজ বিষয়ক, পরিবার ও শিশু বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মাননীয় প্রতিমন্ত্রী শেখ ফিরাস সৌদ আল-মালিক আল-সাবাহ কে ধন্যবাদ জানান।

তিনি কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বংলাদেশীদের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের জন্য কুয়েতের মহামহিম আমির শেখ মিশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ, কুয়েত সরকার এবং কুয়েতের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের শেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আগত দর্শকদের আমোদিত করে। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পর কুয়েতই প্রথম উপসাগরীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।

১৯৭৩ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ এবং কুয়েত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, রপ্তানি ও আমদানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জনশক্তি, কৃষি, শিক্ষা, পর্যটন এবং প্রতিরক্ষা খাত সহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উপভোগ করছে। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, কুয়েতে মহামহিম আমির শেখ মিশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ এবং বাংলাদেশের মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা এঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌছাবে।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে কুয়েত এবং বিশ্বের সব বন্ধুপ্রতিম দেশকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির অংশীদার হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। বক্তৃতায় তিনি বাংলাদেশের পর্যটন খাতের উপরও আলোকপাত করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বাংলাদেশীদের আতিথেয়তা উপভোগ করার জন্য সবাইকে বাংলাদেশ সফর করার আমন্ত্রণ জানান।

সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত কুয়েতে বসবাসরত সকল বাংলাদেশীকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের “সোনার বাংলা” হিসেবে গড়ে তুলতে যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে আহ্বান জানান। উল্লখ্যে, একই দিনে বাংলাদেশ-কুয়েতের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর (সুবর্ণজয়ন্তী) উদযাপনের অশ হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের প্রসিদ্ধ পত্রিকা ‘দৈনিক আরব টাইমস” এ একটি বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024