সারাক্ষণ ডেস্ক
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের শিরোনাম “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ রাহুল গান্ধীর’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে দাবি করেছেন যে, বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন এবং উত্তরাধিকার কর ও সম্পদের পুনঃবণ্টনের মতো বিষয় উত্থাপন করে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী কংগ্রেসের উত্তরাধিকার করের কথিত প্রতিশ্রুতির জন্য গান্ধীকে দায়ী করেছেন।
এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন বলেন, ‘আপনারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছেন। সে ভয় পেয়েছে। সম্ভবত তিনি মঞ্চে কান্নায় ভেঙে পড়তে পারেন “।
রাহুল বলেন, ‘‘মোদী গরিব মানুষের কাছ থেকে শুধু টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন। তিনি কয়েকজনকে কোটিপতি করেছেন। দেশের ৭০কোটি মানুষের সমপরিমাণ সম্পদ রয়েছে ২২ জনের। মাত্র এক শতাংশ মানুষ দেশের ৪০ শতাংশ সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করছে।’’
গালফ নিউজের শিরোনাম ‘‘শারজায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৯ এপ্রিল থেকে আবার সরাসরি শিক্ষা শুরু’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বৃষ্টিপাতের পর স্কুল, কলেজগুলোতে অনলাইন শিক্ষায় চলে গিয়েছিল। শারজাহের স্থানীয় জরুরি অবস্থা, সংকট এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল ২৯ এপ্রিল সোমবার থেকে শারজাহের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শিক্ষা আবার চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।
ঘোষণায় আরো বলা হয়, দেশে সাম্প্রতিক প্রতিকূল আবহাওয়ার পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতিফলনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরাসরি শুরু করা সম্ভব হবে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের একটি শিরোনাম “বাণিজ্য কাঠামো নবায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী মুহম্মদ আওরঙ্গজেবের ওয়াশিংটন সফরের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রচারের জন্য একটি মূল কাঠামো নবায়ন করেছে।
২০০৩ সালে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কাঠামো চুক্তি (টিফা) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সমস্যা সমাধানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান নবম টিফা বৈঠক শেষ করে। ২০১৯ সালের মে মাসে ইসলামাবাদে সর্বশেষ আন্তঃসম্প্রদায়িক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসির উল্লেখযোগ্য পাকিস্তান সফরের পরেও এই আলোচনা হলো। যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান উভয় পক্ষ আগামী পাঁচ বছরে বাণিজ্যকে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার জন্য বিভিন্ন বিকল্প অনুসন্ধান করবে।
প্রেসিডেন্ট রাইসির সফরের একদিন পর পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে প্রস্তাবিত চুক্তি সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “আমরা ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তির কথা বিবেচনা করে প্রত্যেককে নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।
ইসলামাবাদে মার্কিন মিশনের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র টমাস মন্টগোমেরি সাংবাদিকদের বলেন, উভয় দেশের কর্মকর্তারা তাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করার জন্য বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সংলাপে ভাল নিয়ন্ত্রণমূলক অনুশীলন, ডিজিটাল বাণিজ্য, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সুরক্ষা, মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, শ্রমের মান, বস্ত্র, বিনিয়োগ এবং কৃষি সংক্রান্ত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেছেন যে, মার্কিন জৈবপ্রযুক্তি পণ্য এবং পাকিস্তানের মধ্যে গরুর মাংসের প্রবেশাধিকারের মতো ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে’।
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম ‘‘তাপপ্রবাহ কমছে না, বৃষ্টি হতে পারে মে মাসের শুরুতে’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের বেশির ভাগ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আপাতত কমছে না। উল্টো বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে গরমের অনুভূতি আরও বাড়িয়েছে। কোথাও দমকা হাওয়া বয়ে গেলে তাতেও উষ্ণতা ভর করেছে। ফলে সাধারণ মানুষের গরমের কষ্ট আরও বেড়েছে। তবে আগামী মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নেই। এ সময়ে দিনে গরম তো থাকছেই, রাতেও যে তপ্ত বাতাস বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। কারণ, অতীতে সাধারণত এ সময়ে সন্ধ্যায় ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেত, এতে গরম কমে যেত। এবার তা-ও নেই। তাই আপাতত গরম কমার সম্ভাবনা নেই; বরং বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে আজ শুক্রবার থেকে গরমের কষ্ট আরও বাড়তে পারে। এক সপ্তাহ এ ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘এপ্রিল ও মে এমনিতেই আমাদের এখানে সবচেয়ে উষ্ণ মাস। এবার পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া হয়ে লাওস পর্যন্ত আর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মূলত বৈশ্বিক আবহাওয়ায় এল নিনোর প্রভাবে এমন ঘটছে। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং এই অঞ্চলে দ্রুত ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে অভ্যন্তরীণ তাপ তৈরি হয়েছে। এই তিন কারণে উষ্ণতা অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।’
বণিক বার্তার শিরোনাম ‘‘জিআই সনদ পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ আরো ১৪ পণ্য’’
প্রতিবেদনে বলা হয়,বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যকে নিবন্ধন সনদ দেয়া হয়েছে। রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে গতকাল এসব সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)।
টাঙ্গাইল শাড়িসহ আরো যেসব পণ্যকে জিআই স্বীকৃতির সনদ দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর ও আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান ও জামালপুরের নকশিকাঁথা। এ নিয়ে ডিপিডিটির জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১টিতে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে আমাদের ছোট্ট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।’
মানবজমিনের শিরোনাম ‘‘লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগ চরমে’’
খবরে বলা হয়, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করছে সর্বত্র। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। তাই চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ঘাটতি থাকায় চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। ঢাকায় লোডশেডিং কম হলেও গ্রামগঞ্জে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল বিকাল ৩টায় সারা দেশে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ এ হিসাব দিলেও প্রকৃত লোডশেডিং আরও বেশি বলে খাত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এদিকে, রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিনও (২২শে এপ্রিল) সারা দেশে বিশেষত গ্রামাঞ্চলে গড়ে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পর কয়েকদিন চাহিদা কম থাকায় সাময়িক স্বস্তি থাকলেও গত এক সপ্তাহ ধরে লোডশেডিং বাড়ছেই। গত কয়েকদিনে তা চরম আকার ধারণ করেছে।
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ফলে ঘাটতি মেটাতে নিয়মিতই হচ্ছে লোডশেডিং। তবে তা ঢাকায় তুলনামূলক অনেক কম।
ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী দুই সংস্থা ডিপিডিসি ও ডেসকো জানায়, সরবরাহ ঘাটতির কারণে লোডশেডিং হচ্ছে না। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে কিছু কিছু এলাকায় বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সূত্র জানায়, তারা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে না। তাই বিতরণেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিছু স্থানে অপেক্ষাকৃত বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ের অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের।
ইত্তেফাকের শিরোনাম ‘‘আগে বন থেকে গাছ চুরি হতো, এখন ডাকাতি চলছে : জি এম কাদের’’
খবরে বলা হয়, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আগে বন থেকে গাছ চুরি হতো, এখন বনে দস্তুর মতো ডাকাতি শুরু হয়েছে। বনডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়। বনখেকো ও বনদস্যুদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
জি এম কাদের বলেন, রাজধানীতে সড়ক ও ভবন তৈরির জন্য দেদার কেটে ফেলা হয়েছে হাজার গাছ। অপরিকল্পিত ও আত্মঘাতী এমন সিদ্ধান্তে রাজধানী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পরিবেশবিদদের মতে, রাজধানীতে ২০ শতাংশ বনাঞ্চল থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২ শতাংশ। প্রয়োজন হলে গাছ না কেটেও সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্ত করা সম্ভব। তাই কারণে-অকারণে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত সড়কের ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে বিগত দিনে একই সড়কের গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা। কিন্তু আমাদের আছে ৯ শতংশের কম। এভাবে বনাঞ্চাল নিধন করার কারণেই দেশ আজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তীব্র দাবদাহে জনজীবন যে আজ অতিষ্ঠ, যথেষ্ট গাছপালা থাকলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যেত।
Leave a Reply