সারাক্ষণ ডেস্ক
পাকিস্তানের ডন পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম ছিল ‘Inclement weather takes its toll across the country’.
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অংশে প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাতের ফলে মৃতের সংখ্যা ২৭ জনে পৌঁছেছে, যাদের মধ্যে ১৮ জন শিশু রয়েছে। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনি ও রোববারের এসব ঘটনায় ২০ শিশুসহ অন্তত ৩৮ জন আহত হয়েছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গিলগিট-বালতিস্তানে ব্যাপক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক বন্ধ হয়ে থাকে। ওই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আটকা পড়ে আছে। অঞ্চলটির অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে ।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,অন্য দিকে বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটায় তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। লোকজন ঘরবাড়ি থেকে বের হচ্ছে না আর রাস্তায়ও তেমন লোকজন নেই। খাইবার পাখতুনখওয়ার অধিকাংশ এলাকায় টানা তিন দিন ধরে বৃষ্টি ও তুষারপাত হচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যে হড়কা বানে ও তুষারের চাপে অন্তত ৩৩টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, ১২৯টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, প্রদেশটির নিম্ন দির অঞ্চলে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটার, উচ্চ দিরে ৫৪, চিত্রলে ৩৮ এবং সোয়াতের মালাম জাব্বায় ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘Paul Pogba: A career destined for the stars that could end as one of the greatest what-if stories in football’.
প্রতিবেদনের জানা যায় পল পগবার প্রতিভা নিয়ে কোনো দিনই প্রশ্ন ছিল না। অনেকের মতে, সর্বকালের সেরাদের কাতারে নাম লেখানোর সামর্থ্য ছিল তাঁর। কিন্তু একের পর এক ভুল, একগুঁয়েমি, বাজে কাজে কলঙ্কের কালিমায় ক্যারিয়ার শেষ হতে বসেছে তাঁর। যার সর্বশেষটি হলো ডোপ পাপে চার বছরের নিষেধাজ্ঞা। বিশ্বকাপজয়ী এ মিডফিল্ডারের বয়স এখন ৩১ ছুঁইছুঁই। চার বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ৩৫ বছর বয়সে তাঁর পক্ষে ফুটবলে ফেরা কি সম্ভব? তাহলে এখানেই কি ইতি ঘটে গেল সময়ের অন্যতম সেরা এই প্রতিভার! ২০১৬ সালে জুভেন্টাস থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরার পরই তাঁর পতনের সূচনা। উশৃঙ্খল জীবনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা ফরাসি এ তারকা খ্যাতির চূড়া থেকে নিজের ধ্বংসটাও দেখলেন। পগবার এই নিষেধাজ্ঞা ফুটবল বিশ্বের জন্যই ভীষণ দুঃখের। কারণ, ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্রকৃতি প্রদত্ত সহজাত এই প্রতিভার সম্পূর্ণ স্ফুরণ দেখতে পারলেন না ফুটবলপ্রেমীরা।
গত বছরের ২০ আগস্ট উদিনেজের বিপক্ষে জুভেন্টাসের ম্যাচের পর দৈবচয়ন ভিত্তিতে পগবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ৩-০ গোলে জেতা ওই ম্যাচে তিনি বেঞ্চে ছিলেন। পরীক্ষায় পগবার শরীরে উচ্চমাত্রার টেস্টোস্টেরন পাওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। পরের মাসে তাঁর ‘বি’ নমুনা পরীক্ষায়ও ফলাফল পজিটিভ আসে। যার ফলশ্রুতিতে গত বৃহস্পতিবার ইতালির জাতীয় ডোপিংবিরোধী ট্রাইব্যুনাল তাঁকে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ খবরে স্বভাবতই ভীষণ হতাশ পগবা। সত্যিকারের দুর্দান্ত হওয়ার পরিবর্তে, চক্রান্ত এবংরহস্যের গভীর স্তরের সাথে যা হতে পারত তা-ই হতে পারে সবচেয়ে বড় গল্পগুলির মধ্যে একটি।
ঢাকায় গাউছিয়ার মতো বিপণিবিতানসহ ২ হাজার ৬০০ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি, প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার খবরএটি। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী এতে বলা হয় যে ঝুঁকিতে থাকা প্রায় অর্ধেক ভবনই হলো বিপণিবিতান।
ঢাকার গাউছিয়া মার্কেটটি নারীদের কাছে জনপ্রিয় বিপণিবিতান। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সেখানে কেনাকাটা করতেযান। অথচ তাঁরা জানেন না বিপণিবিতানটি আগুনের অতি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে।গাউছিয়ার উল্টো দিকে ঢাকা নিউসুপার মার্কেট (দক্ষিণ)। গাউছিয়া ও ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটকে ২০১৯ সালে অগ্নিনিরাপত্তার দিক দিয়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণাকরে একাধিকবার নোটিশ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর মধ্যেগত বছরের এপ্রিলে আগুন লাগে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, গাউছিয়ায় আগুন লাগলেভেতর থেকে মানুষের বের হওয়া কঠিন হবে। ফলে হতাহতের বড় আশঙ্কা রয়েছে।ফায়ার সার্ভিসের হালনাগাদ তথ্য বলছে, এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১০৬টি বিপণিবিতান। তালিকায় রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন ওগণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ভবন।
গাউছিয়ার মতো রাজধানীর ২ হাজার ৬০৩টি ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের হালনাগাদ তথ্য বলছে, এর মধ্যেসবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১০৬টি বিপণিবিতান। তালিকায় রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন ও গণমাধ্যমপ্রতিষ্ঠানের ভবন।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের এই তালিকা তৈরি করা হয়। ফায়ার সার্ভিস ঢাকার সব ভবনপরিদর্শন করতে পারেনি। ফলে রাজধানীতে মোট কত ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, তা জানা সম্ভব নয়। পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিসঅগ্নিঝুঁকির দিক দিয়ে দুটি শ্রেণিতে ভবনগুলোকে ভাগ করে—ঝুঁকিপূর্ণ ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ। সংস্থাটির হিসাবে, ২ হাজার ৬০৩টিভবনের মধ্যে কটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, তা তাৎক্ষণিকভাবে হিসাব করে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
অগ্নিঝুঁকি কমাতে অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ নামে ২০০৩ সালে একটি আইন করা হয়। ওই আইন বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরেবহুতল ভবন নির্মাণে ফায়ার সার্ভিস থেকে অনাপত্তির ছাড়পত্র নিতে হয়। ভবনের সামনে সড়কের প্রশস্ততা, নকশা অনুসারেভবনের অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনা, ভবন থেকে বের হওয়ার বিকল্প পথ, কাছাকাছি পানির সংস্থান, গাড়ি ঢুকতে পারবে কি না—এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করে ছাড়পত্রটি দেয় ফায়ার সার্ভিস। তারপর এই ছাড়পত্র দেখিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে ভবনের নকশার অনুমোদন নিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করতে হয়।
‘শুধু তালিকাই হয়’, এটি আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। এখানে বলা হয়েছে, রাজধানীতে কোন কোন ভবন আগুনেরঝুঁকিতে আছে, ফায়ার সার্ভিস বারবার তার তালিকা করলেও সেসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয়পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেউ।
এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের (অপারেশনস ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুলইসলাম বলেন, “আমরা ভবনের মালিককে নোটিশ দিতে পারি। এ ছাড়া আর কিছু করার নেই। আমাদের আইনের মধ্যে যা যাকরা সম্ভব, তা-ই করছি।”
তবে নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন যে নোটিশ দেওয়ার পরেও কাজ না হলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এইসব ভবনগুলোরএকটির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিলে বাকিগুলো এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। তবে এজন্য ফায়ার সার্ভিস, রাজউক ও সিটিকর্পোরেশনকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
‘রাজধানীজুড়ে রেস্তোরাঁয় হানা, আটক ৪০’—এই খবরটি সমকালের প্রথম পাতার।
এখানে বলা হয়েছে, বেইলি রোডে আগুন ট্র্যাজেডির পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রোববার দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্তোরাঁয় অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আছে কিনা, জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি রয়েছে কিনা, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে কিনা, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়টি নজরদারি করা হয়। গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত আটক করা হয়েছে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ৪০ কর্মীকে। তাদের মধ্যে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকও রয়েছেন। এ ছাড়া যেসব রেস্তোরাঁয় ছোটখাটো অনিয়ম পাওয়া গেছে, তাদের মুচলেকা রেখে সতর্ক করা হয়েছে। গুরুতর অনিয়ম ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে আইনি ব্যবস্থা। তবে অনিয়ম কম পাওয়া গেছে এবং পরবর্তী সময়ে নিয়ম মেনে রেস্তোরাঁ চালাবে– এমন মুচলেকা দেওয়ায় অনেককে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রেস্তোরাঁয় এ ধরনের অভিযান চালানোর ঘটনা পুলিশের এটাই প্রথম। তাই সতর্কতার সঙ্গে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। গুরুতর অনিয়ম পেলে মামলা করা হচ্ছে।
ধানমন্ডির ১৯ রেস্তোরাঁ থেকে ১৯ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন– হোয়াইট হল রেস্টুরেন্টের শামীম হোসেন তুহিন, ম্যারিটেজ ঢাকার খুরশিদ আলম, অ্যারিস্টোক্র্যাটের সাব্বির হোসেন, আদি কড়াই গোস্তর খালিদ হোসেন, দি লবি লাউঞ্জের মারুফ হোসেন, ইয়ামচা ডিস্ট্রিটের পুলক বিশ্বাস, ক্যাফে ডোলচের আশিক তালুকদার, ক্যাফে সাওপাওলোর শাহিন সারোয়ার, ক্যাপিটাল লাউঞ্জের রেদুয়ান আহম্মেদ, পার্ক অ্যান্ড স্মার্টের মিজানুর রহমান, খানাজের শরিফুল ইসলাম, ক্যাফে ইউফোরিয়ার আল আমিন, টুইন পার্কের আল আমীন মোস্তফা তালুকদার, স্বদেশীর মেহেদী হাসান, ডিকে-১৩-এর রাসেল পালমা, বোস্টার প্রের আমিনুল ইসলাম রিফাত, চা টাইপের সামিত আলম সিয়াম, ক্রাস স্টেশনের চয়ন হালদার ও বিবিকিউর সুমিত রায়।
‘Whole world is watching this trial’ অর্থাৎ ‘সারা বিশ্ব এই বিচার দেখছে’। এটি দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার শেষ পাতারএকটি প্রতিবেদন, যার এই শিরোনামটি নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের একটি অংশ।
গতকাল গ্রামীণটেলিকম ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের প্রায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় জামিন পেয়ে পুরান ঢাকারমহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। বর্তমানে গ্রামীণটেলিকমের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মানি লন্ডারিং মামলায় ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজআদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।
একজন নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনাকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে তিনিএসময় বলেন, “সারা দুনিয়ার মানুষ লক্ষ করছেন এই বিচারে কী হচ্ছে। আমরা যা যা করছি, তারা সবিস্তার তা দেখছেন।”
‘LPG price rises for 8th straight month’ অর্থাৎ, টানা আট মাস ধরে এলপিজি’র দাম বাড়ছে। এটি নিউজ এজ পত্রিকারখবর। গত সাত মাস ধরে একটানা দাম বৃদ্ধির পর চলতি মাসেও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম বৃদ্ধির এই খবরদেশের সব পত্রিকায়ই এসেছে। মাত্র পাঁচদিন আগে গ্যাসের দাম এবং তিনদিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর মাঝেফের বাংলাদেশে মূলত রান্নার জন্য ব্যবহৃত হওয়া এলপিজি’র দাম বাড়ানো হলো। রবিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরিকমিশন (বিইআরসি) জানিয়েছে, এখন থেকে একটি ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের জন্য এলপিজি গ্রাহকদেরকে এক হাজার৪৮২ টাকা গুণতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে এই একই সিলিন্ডারের দাম ছিলো এক হাজার ৪৭৪ টাকা, অর্থাৎ আগের চেয়ে দাম আটটাকা বেড়েছে।
এই নিয়ে গত আট মাসে এলপিজি’র দাম বেড়েছে মোট ৪৮৩ টাকা। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ মূল্যস্ফীতিমোকাবেলা করতে করতে বাংলাদেশের মানুষ ইতোমধ্যে ক্লান্ত।
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে আজ গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএবি, এটি বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর।
এতে বলাহয়েছে,সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন বাড়ানোর পক্ষে থাকলেও এখন ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে আনতে চাইছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার উদ্যোগের কথাও জানানো হয়। দেশের ব্যাংকগুলোর আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে গত ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ)’ নামে একটি ফ্রেমওয়ার্ক দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় খেলাপি ঋণ কমানো ও ভেঙে পড়া সুশাসন ফেরাতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ১৭টি কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে। আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই দিন তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জারীকৃত পিসিএ ফ্রেমওয়ার্ক ২০২৫ সালের মার্চ থেকে কার্যকর হবে। এজন্য সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীকে পিসিএ বাস্তবায়ন কমিটি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খেলাপি ঋণ, তারল্য, মূলধন ও সুশাসন—এ চার মানদণ্ডের ভিত্তিতে র্যাংকিং হবে আগামী বছর। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন মূল্যায়ন করা হবে। কোনো ব্যাংক পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কে উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে ব্যর্থ হলে সেটিকে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করে দেয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো চাইলে নিজেরাও একীভূত হওয়ার প্রস্তাব দিতে পারবে।’ এ বিষয়ে ঘোষিত রোডম্যাপে বলা হয়, একাধিক ব্যাংক একীভূত হলে পরিচালনা পর্ষদ শক্তিশালী হবে। ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দূর হবে। একই সঙ্গে কমে আসবে প্রশাসনিক ব্যয়।
দীর্ঘ হচ্ছে শিক্ষিত বেকারের মিছিল, এটি কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতার সংবাদ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র(বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য অনুয়ায়ী করা এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বর্তমানে দেশে মোট বেকারের সংখ্যা ২৩ লাখ ৫০হাজার। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞা অনুযায়ী, ৩০ দিন ধরে কাজপ্রত্যাশী একজন মানুষ যদি শেষের সাতদিনে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ না পান, তাহলে তাঁকে বেকার হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোও (বিবিএস) এই সংজ্ঞা ব্যবহার করে। বিবিএসের তথ্য মতে, দেশে মোট বেকারের ১২ শতাংশই এমন উচ্চশিক্ষিত। অথচ যাঁদেরআনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, তাঁদের বেকারত্বের হার মাত্র ১.০৭ শতাংশ। অর্থাৎ মানসম্মত শিক্ষার অভাবে দেশে বেকারত্বের হারবাড়ছে, বিশেষ করে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অধিক হারে বাড়ছে। বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করাবেকারের হার ৮.৭৮ শতাংশ। মাধ্যমিক শেষ করা বেকার ২.৪২ শতাংশ। প্রাথমিক শেষ করা বেকারের হার ১.৬৯ শতাংশ। অন্যকোনো মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করা ব্যক্তিদের বেকারত্বের হার ৪.৮৭ শতাংশ। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের(বিআইডিএস) গবেষণা বলছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করা ৬৬ শতাংশই বেকার থাকছেন। ২১ শতাংশশিক্ষার্থী স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরি পান। ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী এখনো অন্য কোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর বাকারিগরি শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ৩ শতাংশ নিজ উদ্যোগে কিছু করছেন। লন্ডনের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের(ইআইইউ) তথ্য মতে, বাংলাদেশে ১০০ জন স্নাতকধারীর ৪৭ জনই বেকার। আইএলওর ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করাহয়, বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা তিন কোটি। তখন সংস্থাটি আভাস দেয়, কয়েক বছরে তা দ্বিগুণ হয়ে ছয় কোটিতে দাঁড়াবে, যামোট জনসংখ্যার ৩৯.৪০ শতাংশ হবে।
Leave a Reply