গুরুত্বপূর্ণ এই প্রোগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিএসএমএমইউর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ৪১তম বিসিএস এর নব নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক, কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি যখন সহকারী সার্জন হিসেবে সিলেটের হবিগঞ্জের বানিয়াচরের অজপাড়া গ্রামে যোগদান করে ছিলাম তখন নৌকা করে যেতাম, ভাঙ্গা ঘরে থাকতাম। তবে সেখানে মানুষের কাছ থেকে যে সম্মান, ভালোবাসা পেয়েছি তা কোনোদিন ভুলতে পারব না। চিকিৎসকরা হলেন উপরওয়ালার আর্শীবাদ। চিকিৎসকরা যে টাকার পিছনে দৌড়াবেন তা নয়, সততার সঙ্গে কাজ করলে, সুন্দর ও ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীসহ জনগণের মন জয় করে সম্মান অর্জন করতে হবে, মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দিলে যে সম্মান পাওয়া যায়, আমি নিজেই তার জলন্ত প্রমাণ। চিকিৎসকদের সুরক্ষা ও রোগীদের সুরক্ষা দুটোই দেখার দায়িত্ব আমার। রোগীদের প্রতি অবহেলা ও চিকিৎসকদের উপর হামলা কোনাটাই আমি মেনে নেব না। নড়াইলে দেখলাম সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো কোনো চিকিৎসককে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। যা আমি কামনা করি না। বঙ্গবন্ধুই নির্দেশনা দিয়ে গেছেন তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। রোগী ও সাধারণ মানুষ একটু ভালো ব্যবহার পেলে, তাদের সাথে সুন্দরভাবে একটু কথা বললে, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে একটু ধৈর্য্য সহকারে শুনলে এই সামান্যতেই তারা খুশি। আপনারা রোগীদেরকে যথাযথ সেবা দিবেন, আপনাদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমার। যখনই প্রয়োজন হয় আমাকে কল দিবেন, আপনাদের সুরক্ষা আমি নিশ্চিত করব। বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবা অনেক এগিয়েছে। বিদেশ থেকেও রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে বাংলাদেশে আসছেন। সিএমএইচ-এ জোড়া মাথার দুই শিশুকে আলাদা করা হয়েছিল। পাঁচ বছর ধরে তারা ভালো আছে। এটা পৃথিবীর বুকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাংলাদেশের সাফল্যের একটা উজ্জ্বল মাইলফলক হয়ে থাকবে।
নিউজ, ছবি ও ভিডিও: প্রশান্ত মজুমদার ও মোঃ সোহেল গাজী ।
Leave a Reply