পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
কখন এগুতে হবে ও কখন পিছিয়ে আসতে হবে
সামরিক যুদ্ধের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের যুদ্ধের কোন পার্থক্য নেই। তাই তো হাজার হাজার বছর আগে মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে প্রবাদ হিসেবে আজ প্রচলিত, জীবনটা একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র।
কোন নেতার দল, টিম বা তার কাজের ক্ষেত্র অবশ্যই একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র। অনেক বড় যুদ্ধ ক্ষেত্র সেটা। আর সেখানে স্মার্ট লিডার অবশ্যই একজন স্মার্ট জেনারেল।
যে জেনারেল জানেন কখন তাকে কোন যুদ্ধে এগুতে হবে আর কখন কোন কোন যুদ্ধে পিছিয়ে আসতে হবে তিনিই স্মার্ট জেনারেল। আর তার মতই স্মার্ট নেতাকেও জানতে হয়, কখন কোন কাজে এগিয়ে যেতে হবে, আর কোন কাজে কখন পিছিয়ে আসেত হবে।
যে কোন স্মার্ট নেতাকে জীবনের এই এগিয়ে যাওয়া ও প্রয়োজন মতো পিছিয়ে আসা শিখতে হলে তাকে অবশ্যই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের চার্চিলের সিদ্ধান্ত ও কাজগুলোকে ভালোভাবে জানতে হবে।
সেখান থেকে প্রথম তিনি শেখা যায়, ভবিষ্যতে জেতার জন্যে আবার বর্তমানের বা খারাপ সময়ে পিছিয়ে আসা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এবং কীভাবে সাফল্যের সঙ্গে পিছিয়ে আসতে হয়।
এর পরে শেখা যায়, কাজে জয়লাভের জন্যে তাকে কতখানি আত্মবিশ্বাসী শুধু নিজে আত্মবিশ্বাসী থাকলে হয় না। তাকে অবশ্যই তার দল বা টিমের সকলকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে হয়। যেমন চার্চিল আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিলেন জয়ের পক্ষে গোটা ব্রিটিশ জাতিকে।
যদিও কেনেডি বলেছিলেন, তিনি ইংরেজি ভাষাকে সোলজারে পরিনত করে যুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন এবং তারাই যুদ্ধে জয়লাভ করে। কেনেডি তাঁর এ কথা দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন, তিনি তার বক্তব্য’র মাধ্যমে গোটা জাতিকে আত্মবিশ্বাসী ও জয়ের জন্যে এক করতে পেরেছিলেন।
তবে সে ভাষা তো শুধু ভাষা ছিলো না। তার ভাষণ তো শুধু ভাষণ ছিলো না। সেখানে ছিলো যেমন মানুষকে উদ্বুদ্ধ হবার সব উপাদান তেমনি যুদ্ধের সকল কৌশল। যা তারপর থেকে অনেক নেতার কন্ঠ পার হয়ে আজ জেলনেস্কি’র কন্ঠেও ধ্বনিত হচ্ছে্।
এর মূল কারণ, মানুষ, সমাজ, রাজনীতি, রাষ্ট্র পরিচালন ও সমর কৌশল সব কিছুতেই চার্চিলের ছিলো গভীর জ্ঞান।
বাস্তবে যে কোন নেতাকে তার কাজ ঘিরে চারপাশের সবকিছু বা তার কাজের সঙ্গে যা যা কিছু জড়িত সব বিষয়ে গভীর জ্ঞানই তাকে প্রকৃত আত্মবিশ্বাসী ও সিদ্ধান্ত নেবার কাজটি সহজ বা সঠিক করে দেয়।
Leave a Reply