পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
ম্যান-পাওয়ারকে পরিচালিত করার নীতিতে সংখ্যা বিষয় নয়
একজন নেতাকে সব সময়ই ম্যান-পাওয়ার পরিচালিত করতে হয়। এই ম্যান পাওয়ারের সংখ্যা যে কোন সংখ্যক হতে পারে। দলের, টিমের বা অন্য কোন বিষয়ের হোক, সেখানে ম্যান পাওয়ারের সংখ্যা যে কোন একটা হতে পারে।
এখানে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে, একজন নেতাকে একজন মানুষকে পরিচালিত করতে যে নীতি বা যে কৌশল গ্রহন করতে হয়, একটি বড় সংখ্যক মানুষকে পরিচালিত করতে ঠিক একই কৌশল গ্রহন করতে হয়।
খুব ক্ষেত্রেই এদেরকে বিভাজন করে পরিচালিত করা ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে পরিচালিত করা যায়। কারণ, পরিচালনের উদ্দেশ্য যদি একই থাকে সেখানে ভাগ করে পরিচালনা করা যায় না। পরিচালনার উদ্দেশ্য ভিন্ন হলে তখন কেবল কিছুটা ভাগ করা সম্ভব হয়।
এ কারণে নেতা সব সময়ই মনে রাখে একজনকে পরিচালনা করা আর একটি বড় গ্রুপকে পরিচালনা করার ভেতর পার্থক্য খুবই কম।
পরিচালনার সময় তারা যেন মনে না করে তারা কোন শত্রুকে আক্রমন করতে যাচ্ছে
সাধারনত যে কোন কাজে সব সময়ই প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্ধি একজনকে সামনে রাখা হয়। এটা অনেকটা এক ধরনের আর্মির ট্রেনিং কোর্সের মতো। তাদেরকে সব সময়ই একটা এনিমি আর্মিকে সামনে রেখে ট্রেনিং দেয়া হয়। যে কারণে সেখানে একটা বিষয় গড়ে ওঠে যে তারা কোন না কোন শত্রুকে আক্রমন করতে যাচ্ছে। কিন্ত কোন দল, গোষ্টি, টিম বা কোম্পানি যখন কাজ করে, তখন তার সামনে কোন একজন প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্ধি একজন স্মার্ট নেতা কখনই দাঁড় করাবেন না। এটা দাঁড় করালে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারা ওদেরকেই ফলো করবে। নতুন কোন কিছু সেখানে সৃষ্টি হবে না।
স্মার্ট নেতার কাজ কাউকে ফলো করা নয়। নতুন কোন কিছু সৃষ্টি করা। তাকে ইতিহাস তৈরি করতে হয় এবং ইতিহাস পুনরায় লিখতে হয়। তিনিই সব থেকে সফল নেতা যিনি একটি ইতিহাস বির্নিমান করনে এবং পুরানো ইতিহাস বদলে দিয়ে নতুন ইতিহাস লিখে যান।
Leave a Reply