সারাক্ষণ ডেস্ক
এই বছরের প্রথম প্রান্তিকে একাধিক চাকরিতে কর্মরত দক্ষিণ কোরিয়ানদের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বয়স্ক ব্যক্তিরা এই ধরনের একাধিক চাকরি বেশি গ্রহণ করেছেন।
৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী শ্রমিকদের সংখ্যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। যা দেশের সব কর্মচারীর ২১.৮ শতাংশ। ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মানুষ একাধিক চাকরিতে কাজ করছেন। যদিও গবেষণায় দেখা গেছে যে, কাজের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অনুপাতে আয় বৃদ্ধি হয়নি।
রাষ্ট্র পরিচালিত কোরিয়া শ্রম ইনস্টিটিউটের একটি ডিসেম্বরের প্রতিবেদন এবং গবেষকদের তথ্য মতে, একাধিক চাকরিজীবী সাধারণত দরিদ্র পরিস্থিতিতে কাজ করেন। মহিলা এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে একাধিক চাকরিধারীদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে।
পরিসংখ্যান কোরিয়ার তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ৩ মাসে পূর্ণকালীন কাজ করার সময় এখানে মোট ৫ লাখ ৫২ হাজার লোকের কমপক্ষে একটি অতিরিক্ত চাকরি ছিল। এটি ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ২২.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও শ্রমজীবী জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠের এখনও শুধু একটি চাকরি রয়েছে। একাধিক চাকরিধারীর হার ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে ১.৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে গত বছর ১.৯৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
৬০ বছর এবং তার বেশি বয়সীদের মধ্যে একাধিক চাকরিজীবী সবচেয়ে বেশি । যদিও তরুণ জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বয়স্কদের কাজ করার সম্ভাবনা এখনও কম। ১৫-২৯ বছর বয়সী একাধিক চাকরিধারীর সংখ্যা ৩০.৯ শতাংশ।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সরকারি অবসরের বয়স ৬০ বছর। তবে বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এখনও কাজ করছে বলে দেখা গেছে। পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩ সালে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ৬.২২ মিলিয়ন মানুষ কর্মসংস্থানে ছিল। যা ২০১৮ সালে ছিল ৪.৩২ মিলিয়ন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবীণদের সাধারণত অবসর গ্রহণের বয়সের কারণে তাদের আয় কম থাকে। এছাড়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার সব সদস্যের মধ্যে দেশের বৃহত্তম মজুরির তুলনায় অনেক ব্যবধান রয়েছে। এই ব্যবধানটি ২০২২ সালের হিসাবে ৩১.২ শতাংশ।
গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে, একাধিক চাকরিধারীর সংখ্যা বৃদ্ধি ভাল মজুরি এবং সুবিধাসহ চাকরির অভাবের কারণে হতে পারে। যা দরিদ্র পরিস্থিতি সত্ত্বেও মানুষকে অতিরিক্ত আয় খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
Leave a Reply