শিবলী আহম্মেদ সুজন
সোমবার রাত আটটার পরে এক ভিন্ন বেইলি রোড় চোখের সামনে এলো। আটটার কিছু পরে সেখানে পৌঁছে দেখা গেলো অনেকটা ফাঁকা একটা বেইলি রোড়। আর যে গ্রীন কোজি কটেজটিতে আগুন লেগেছিলো। যার পাশে নামি ব্রান্ড কে এফ সি। আর তার সঙ্গে তো রয়েছে আরো অনেক রেষ্টুরেন্ট ও ক্যাফে। সে এলাকাটা একেবারেই ফাঁকা। অনেকটা ভূতুড়ে পরিবেশ। গ্রীন কোজি কটেজের কাচ্চি ভাই থেকে শুরু করে অনান্য রেষ্টুরেন্ট গুলো পুঁড়ে গেলেও আশেপাশের রেষ্টুরেন্ট ও ক্যাফে গুলোতে বর্তমানে লোক জনের ভিড় তেমন একটা চোখে পড়ছে না ।
সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বেইলি রোডের ভবনে আগুনের ঘটনায় রেষ্টুরেন্টে যাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে, বেইলি রোড মূলত নাটক পাড়া ও রেষ্টুরেন্ট গুলোর জন্য সুপরিচিত। যেখানে সন্ধ্যা হলেই আড্ডায় রেষ্টুরেন্ট ও ক্যাফে গুলো জমজমাট থাকতো সেখানে বহুতল ভবনে অগ্নি কান্ডের ফলে আগের তুলনায় এখন আর রেষ্টুরেন্ট ও ক্যাফে আগের কাস্টমার দেখা যাচ্ছে না। বরং ৫০ ভাগ কমে গিয়েছে ।
যে বহুতল ভবনটিতে আগুন লেগেছিলো সেই ভবনটিতে বেশ কিছু রেষ্টেরন্টু ও ক্যাফে ছিলো এখন তার আশেপাশের রেষ্টরেন্ট ও ক্যাফে গুলোতে যাওয়া নিরাপদ বলে মনে করছে না বরং মনে সংশয় কাজ করছে, আতঙ্কিত তারা। রেষ্টুরেন্ট গুলোতে যেতে আগুন লাগার ভয় পাচ্ছে ।
একজন ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে যে সে প্রায়ই সন্ধ্যায় বান্ধবীদের সাথে বেইলি রোডের ক্যাফে তে যায়। বহুতল ভবনের অগ্নি কান্ডের পর ক্যাফেতে যাওয়া নিয়ে ছাত্রীটি ভীত। তিনি আরো বলেন রেস্তোরা ও ক্যাফে গুলোতে অগ্নি নির্বাপক রাখার সুব্যবস্থা থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন ।
তবে অনান্যা এলাকা বনানী ,কচুক্ষেত,মিরপুর ১০, মিরপুর ১১ তে গিয়ে জানা যায় যে ঐ সব এলাকা গুলোতে যে সকল ক্যাফে ও রেষ্টুরেন্ট গুলো রয়েছে সেগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে। সেখানকার জনমনে তেমন কোন ভয়ভীতি লক্ষ্য করা যায় নি ।
কিন্তু বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সকলেই মর্মাহত ।
Leave a Reply