শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন

‘পাকিস্তানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করা হচ্ছে’

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪, ৮.০৫ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

 

পাকিস্তানের ডন পত্রিকার আজকের শিরোনাম ছিল ‘Senate resolution seeking ban on all social media withdrawn amid protest ’.

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম  নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সিনেটে ফেসবুক, এক্স, ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির মত সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার দাবিতে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। এই প্রস্তাবটি পেশ করেছেন পিপলস পার্টির সিনেটর (পাকিস্তানি সাংসদ) বাহরামান্দ টাঙ্গি। তবে মজার বিষয় হল, পিপলস পার্টির এই সিনেটরের মেয়াদ আগামী ১১মার্চ পর্যন্তই। এইদিন প্রস্তাবে বলা হয়েছে ‘তরুণ প্রজন্মকে এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করতে হবে’।

 

প্রস্তাবটিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সোশ্যাল মিডিয়া দেশের তরুণ প্রজন্মকে খারাপভাবে প্রভাবিত করছে। আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কারণে ভাষা ও ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ বাড়ছে।’আগামী সোমবার পাকিস্তানের সিনেটে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। টাঙ্গীর কথায়, সোশ্যাল মিডিয়া কোনও ভালো কাজে লাগেনা। এর মাধ্যমে জাতীয় কাজ তো হয়না উল্টে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। এছাড়াও সামাজিক মিডিয়াতে এমনসব ভুয়ো খবর প্রচার করা হয়, যা দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধের দাবি এমন সময়ে তোলা হচ্ছে যখন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রধান  শিরোনাম ‘Delhi announces Rs 1,000 per month for women over 18’.

এই খবরে বলা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সম্মান যোজনার অধীনে দিল্লিতে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত মহিলাদের প্রতি মাসে১০০০ টাকা করে দেবে। দিল্লির অর্থমন্ত্রী অতিশী মারলেনা ৭৬০০০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করে এই ঘোষণা করেছেন৷ এটিঅরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন সরকারের দশম বাজেট। দিল্লি বিধানসভায় অতীশি বলেন, আগে দিল্লির বাসিন্দারাতাঁদের ছেলেদের বেসরকারি স্কুলে এবং কন্যাদের সরকারি স্কুলে পাঠাতেন। যেগুলি ভেঙে পড়েছিল।একবার ৯৫ শতাংশ মেয়েশিক্ষার্থী আমাকে বলেছিল যে তাদের ভাইরা বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। কিন্তু এখন, দিল্লির সরকারি স্কুলের মেয়েশিক্ষার্থীরা আইআইটি, নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছে। কেজরিওয়াল সরকার ২০১৫ সাল থেকে ২২ হাজার ৭১১ টি নতুনশ্রেণীকক্ষ তৈরি করেছে। এই বছর, শিক্ষার জন্য ১৬, ৩৯৬ কোটি টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মোট বাজেটের মধ্যে দিল্লির স্বাস্থ্য খাতের জন্য ৮ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যার অধীনে সরকারিহাসপাতালগুলি ৬ হাজার ২১৫ কোটি টাকা পাবে। মহল্লা ক্লিনিকগুলিতে ২১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৬৫৮ কোটিটাকা সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনার জন্য দেওয়া হয়েছে। নতুন হাসপাতাল সম্প্রসারণ ও নির্মাণের জন্য ৪০০কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

 

সিলিন্ডার বদলাতেই আগুন- এভাবে শিরোনাম করেছে দৈনিক আজকের পত্রিকা।

এই খবরে বলা হয়েছে, চুলা জ্বালানো অবস্থায় গ্যাসের সিলিন্ডার পরিবর্তন করছিলেন চুমুক কফি হাউসের কর্মচারী। এ সময় একটি সিলিন্ডার থেকে বের হতে থাকা গ্যাস আগুনের সংস্পর্শে আসে। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় দোকানে। সেই আগুন বড় হয়ে কেড়ে নেয় ৪৬ জন মানুষের প্রাণ। রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন চুমুক কফি হাউসের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান। তবে এই ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করেননি তাঁরা। বলেছেন, এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন এ ঘটনায় রমনা থানায়  করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু আনছার। চুমুক কফি হাউস থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর পুরো ভবনে যে ভয়াবহ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়, তার বর্ণনা দিয়েছেন সেদিন বেঁচে যাওয়া কয়েকজন ও বাইরে থেকে দেখা প্রত্যক্ষদর্শী। এ বিষয়ে পুলিশকেও সাক্ষ্য দিয়েছেন কেউ কেউ।

ভবনটির ছাদের একাংশে অ্যামব্রোসিয়া নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল। এর বাইরেও ছিল কফির দোকানসহ ফাস্ট ফুডের অনেক দোকান। এমন একটি ফাস্ট ফুডে কাজ করতেন শরীফুল ইসলাম। পুলিশকে সাক্ষ্যে তিনি জানান, আগুনের খবর তাঁরা অনেক পরে পেয়েছেন। ততক্ষণে দ্বিতীয় তলায় আগুন পৌঁছে গেছে। পরে চিৎকার শুনে অনেকে ছাদে উঠে আসে, কেউ কেউ আবার নামারও চেষ্টা করে। পাঁচতলা সিঁড়ি থেকে সাততলা পর্যন্ত মানুষের ভিড় ছিল। ছাদেও প্রায় ৪০-৫০ জনের মতো মানুষ ছিল।

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির পর নড়েচড়ে বসেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। একযোগে ঢাকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযানে নেমেছে পুলিশের আটটি অপরাধ বিভাগের থানার পুলিশ। গত রোববার দুপুর থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৩৮১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে রেস্টুরেন্টের মালিক, ম্যানেজার ও স্টাফ রয়েছেন। এ ছাড়া ২২টি রেস্টুরেন্ট বন্ধ, একটি ভবন সিলগালা এবং চার প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

 

 

3 out of 4 city markets risky; অর্থাৎ চারটির মাঝে তিনটি বিপণিবিতানই ঝুঁকিপূর্ণ। এটি দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, চারটির মাঝে তিনটিতেই যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস গত বছর ৫৮টি মার্কেট এবং শপিং মল পরিদর্শন করেছিলো। এর মাঝে নয়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ।

ঢাকা শহরের প্রতি চারটি মার্কেটের মধ্যে তিনটিতে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই বলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস গত বছর ৫৮টি মার্কেট ও শপিং আর্কেড পরিদর্শন করে এর মধ্যে নয়টিকে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৩৫টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে খুঁজে পায়।বাকি ১৪টিতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।দ্য ডেইলি স্টার প্রতিবেদনটির একটি অনুলিপি পেয়েছে। প্রতিবেদনটি এখনও প্রকাশ করা হয়নি।ফায়ার সার্ভিস প্রবেশ ও বেরোনোর সিঁড়ির সংখ্যা, সিঁড়িতে কতটা স্থান, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সংখ্যা, ফায়ার হাইডেন্ট্র এবং জলাধারের সক্ষমতার মতো মানদণ্ডের ভিত্তিতে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ কাঠামোতে শ্রেণিবদ্ধ করে। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এটা বিপজ্জনক। তবে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতনতা ও সমন্বিত প্রয়োগ প্রচেষ্টা এই পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারে।’ তিনি দাবি করেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড মেনে চলে না। গত দুই দিনে চারটি মার্কেট ঘুরে এই সংবাদদাতারা দেখেন, সেখানে পর্যাপ্ত নির্বাপক যন্ত্রের অভাব রয়েছে। কারো কারো অগ্নিনির্বাপণ পথ বাধাগ্রস্ত করে রাখা হয়েছে।৩১৫টিরও বেশি দোকান সম্বলিত তিন তলা গাউসিয়া মার্কেটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য সাতটি সিঁড়ি থাকলেও কোথাও কোথাও কাপড়ের স্তূপের কারণে সেগুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেয়ালে হাতে গোনা কয়েকটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পাওয়া গেছে। ফায়ার হাইড্রেন্ট ও অপর্যাপ্ত পানির মজুদ না থাকায় ২০২০ সালে এবং ২০২৩ সালের এপ্রিলে আবারও মার্কেটটিকে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ রাজধানী সুপার মার্কেটে প্রায় দেড় হাজার দোকান থাকলেও কোনো ফায়ার হাইড্রেন্ট নেই। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০০ দোকানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকান মালিক বলেন, ‘অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম থাকার কথা কেউ আমাদের জানায়নি।’

 

অগ্নিনিরাপত্তায় যে যার মতো অভিযানে রাজউক, দক্ষিণ সিটি ও পুলিশ, এটি প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার খবর।

এতে বলা হয়েছে, ঘড়ির কাঁটা তখন দুপুর ১২টা ছুঁই ছুঁই। রাজধানীর ধানমন্ডিতে গাউসিয়া টুইন পিক নামের একটি বহুতলভবনের সামনে রাজউকের একটি গাড়ি চোখে পড়ল। গিয়ে দেখা গেল, সেখানে অভিযান চলছে। বিকেল নাগাদ গাউসিয়া টুইনপিকের ১৪টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় একটি। ধানমন্ডির গাউসিয়া টুইন পিক থেকে ৮০০ মিটার দূরে(গুগল ম্যাপের হিসাবে) কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজায় গতকাল সোমবার একই সময়ে অভিযান চালাচ্ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটিকরপোরেশন। তারা ১৫ তলা ভবনটিতে থাকা ১১টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়ে পুরো ভবনটি সিলগালা করে দেয়। ওদিকে ঢাকামেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গতকাল অভিযান চালিয়েছে পুরান ঢাকার ওয়ারীতে। সেখানে ১৪টি রেস্তোরাঁয় চালানোঅভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। ডিএমপি জানিয়েছে, রোববার থেকে গতকাল পর্যন্তপুলিশ ২৮৫টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে। এতে ৩৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ২০৪টি। রাজউক, দক্ষিণ সিটি ও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে যে যার মতো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে, অগ্নিঝুঁকি দূরকরতে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিযান চালাতেই হবে। তবে তা হতে সমন্বিত, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তিতে। গতকাল ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের গাউসিয়ার টুইন পিক ভবনের রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেপুলিশ। আজ ওই ভবনে অভিযান চালিয়ে ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দিয়েছে রাজউক

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো সমালোচনার মুখে পড়ে। জাতীয় সংসদেও বিষয়টি নিয়েআলোচনা হয়। ভবনমালিকদের দায়মুক্তি দেওয়ার অভিযোগ করেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং বর্তমানে সরকারিদলের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম। এই পটভূমিতে অভিযানে নেমেছে রাজউক, সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাদের পরিদর্শনে আসা রাজধানীর ২ হাজার ৬০৩টি ভবনঅগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি—১ হাজার ১০৬টি বিপণিবিতান। ৮০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৩৪৫টি হাসপাতাল ও৩২৫টি আবাসিক ভবন রয়েছে ঝুঁকির তালিকায়।

 

সর্বনাশের পর হম্বিতম্বি, এটি সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার খবর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর বেইলি রোডের রেস্তোরাঁয় ঠাসা ভাবন গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লেগে ৪৬ জন মানুষের মৃত্যুর পর ঘুম ভেঙেছে কর্তৃপক্ষের। সেজন্যই গত দু’দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

সোমবার, অর্থাৎ গত চৌঠা মার্চ ধানমণ্ডির সাতমসজিদ সড়কের ১৪তলা কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবন সিলগালা করেছে ঢাকা দক্ষিণ কর্পোরেশন। একইদিনে ওই এলাকার গাউছিয়া টুইন পিক ভবনের বর্ধিতাংশ ভেঙ্গে দিয়ে সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছে রাজউক।

গত দুই দিনে ২৮৫টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে মোট ৩৭৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ, তবে তাদের অধিকাংশই শ্রমিক ও কর্মচারী; ভবন বা রেস্তোরাঁ মালিক নন।

বছরের পর বছর ধরে নিয়মের বাইরে গিয়ে চলা রেস্তোরাঁগুলোকে এতদিন কেন বন্ধ করা হলো না প্রশ্নের মুখে অভিযান পরিচালনা করা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন— লোকবল সংকটে এতদিন ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। ধানমণ্ডিতে ১৯টি ভবন রয়েছে, যেগুলো রেস্তোরাঁয় ভরা। একে একে সব জায়গায় অভিযান হবে।

বেইলি রোডের রেস্তোরাঁয় ঠাসা ভবনে আগুনে ৪৬ মৃত্যুর পর ঘুম ভেঙেছে কর্তৃপক্ষের। আগের দিনের মতো গতকাল সোমবারও রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে সিটি করপোরেশন, পুলিশ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও ফায়ার সার্ভিস। ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের ১৪ তলা কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবন সিলগালা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। একই এলাকার আলোচিত গাউছিয়া টুইন পিক ভবনের বর্ধিতাংশ ভেঙে দিয়ে সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছে রাজউক। কেয়ারি ক্রিসেন্টের ১৩ তলার ভিসা প্রসেসিংয়ের একটি অফিসে অগ্নিনিরাপত্তা না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মচারীকে আটক করা হয়। তবে মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অন্য অভিযানে আটক অধিকাংশ রেস্তোরাঁ শ্রমিক ও কর্মচারী। ভবন মালিকের কাউকে আটকের খবর পাওয়া যায়নি।

অভিযানে দেখা যায়, কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবনের নকশা লঙ্ঘন করে নিচতলার প্রবেশপথ সংকুচিত করে রেস্তোরাঁ নির্মাণ করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে ছাদে ওঠার সিঁড়ি। ছাদে অনুমোদন ছাড়াই আরেক তলা নির্মাণের কাজ চলছে। ভবনের সপ্তম ও পঞ্চম তলায় জরুরি নির্গমন সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার দেখা গেছে। আগের মতো সিঁড়ি বন্ধ নেই। মালপত্রও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

 

কৃষকই খাদ্য নিরাপত্তাহীন, এটি দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার খবর।

এতে বলা হয়েছে, দেশে খাদ্য উৎপাদনও বাড়লেও যারা উৎপাদন করছেন, তারা নিজেরাই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খাদ্য নিরাপত্তা পরিসংখ্যান ২০২৩ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে কৃষির ওপর নির্ভরশীল ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবেও সামনে আসছে কৃষি।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন কারণে গত এক বছরে কৃষি পেশা ছেড়ে দিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ মানুষ এবং এতে সামগ্রিকভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে পারে বাংলাদেশ।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের কৃষকরা উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদন করলেও নিজের জন্য কিছুই রাখেন না। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উৎপাদিত ফসল মাঠেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে, কৃষক যে খাদ্য ফলান, একটি পর্যায়ে গিয়ে সে খাদ্যই বেশি দামে কিনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে তাদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি হবে, এটাই স্বাভাবিক।

 

একীভূত হতে ব্যাংক পরিচালকদের ছয় মাস সময় দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এটি বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর। এতে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সবল বা দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে বলা হয়েছে। অন্যথায়, আগামী জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করে দেবে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নেতাদের সঙ্গে গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবি নেতাদের গভর্নর বলেছেন, “আমাদের কাছে তথ্য আছে কোন ব্যাংক ভালো, আর কোন ব্যাংক খারাপ। আপনারা চাইলে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার উদ্যোগ নিতে পারেন।”

“সবল দুটি ব্যাংক একীভূত হয়ে আরো বড় ও শক্তিশালী হতে চাইলে সেটিতেও আপত্তি নেই। ভারত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। একীভূত হলে ব্যাংক শক্তিশালী হয়। নিজেরা একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে আগামী জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে।”

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024