নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি সংসদের মেম্বার্স ক্লাবে আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক সংসদীয় ককাস পুর্নগঠন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এমপি, আব্দুল মান্নান এমপি, আরমা দত্ত এমপি, পংকজ দেবনাথ, ননী গোপাল মন্ডল, ঊষাতন তালুকদার, আ্যডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, রাজা দেবাশীষ রায়, ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, কাজল দেবনাথ, নির্মল রোজারিও, গৌতম দেওয়ান, গৌতম চাকমা, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপি, প্রমুখ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আ ক ম মোজাম্মেল হককে সভাপতি ও র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নির্বাহী সভাপতি ও অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামালকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।
ককাসের যুগ্ম সমন্বয়ক ও টেকনোক্রাট সদস্য জান্নাত-এ-ফেরদৌসীর সঞ্চালনায় শুরুতে ককাসের সমন্বয়ক ও টেকনোক্রাট সদস্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল ককাসের দীর্ঘদিনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন। আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে ককাসের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন এবারের মত এত শক্তিশালী ককাস আগে ছিলনা। নতুন কমিটির সদস্যরা দৃঢ়তার সাথে একযোগে কাজ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে সমস্ত সমস্যা দেখা দিয়েছে সেসব নিরসনের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। যারা চুক্তি করেছেন এবং চুক্তির পক্ষে যারা ছিলেন উভয়কে বসে আলোচনা করতে হবে এবং বাস্তবায়নের পথ সুগম করতে হবে।
সবশেষে সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, আদিবাসী ও সংখ্যালঘুরা এদেশের নাগরিক হয়েও অনেক নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং নানারকম ষড়যন্ত্রের শিকার। মানুষের সমনাধিকারে বিশ্বাসী মন্ত্রী আরো বলেন ককাস এই বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সরকারের সামনে তুলে ধরতে চায়, বিশেষত ককাসের সংসদীয় কমিটির সদস্যরা যদি জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে এক জোট হয়ে তাদের পক্ষে সরব হন তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
এই পুর্নগঠন সভার আয়োজন করে আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক সংসদীয় ককাস। সহযোগিতায় ছিল গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (RDC)।
Leave a Reply