পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
অতি ব্যস্ত বা টেনশনযুক্ত ব্যস্ত হতে নেই
নেতাকে সব সময়ই দ্রুত কাজ করতে হয়। এক সঙ্গে তাকে নানান ধরনের কাজ করতে হয়। তার ব্রেইনে প্রতি মুহূর্তে একটার পর একটা সম্পূর্ন বিপরীত মুখী উইনডো খুলতে হয়। তাই তাকে সব সময়ই ব্যস্ত থাকতে হয়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবেনেতা যেন অতি ব্যস্ত না হন। অতি ব্যস্ত বা টেনশনযুক্ত ব্যস্ত হলে কাজে যেমন ভুল হয় তেমনি কাজের গতিও কমে যায়।
নেতাকে কখণও ওভার সিউর হতে নেই
অনেকদিন ধরে কাজ করা। একই ধরনের কাজ বার বার করা। এসব মিলিয়ে একটা অভিজ্ঞতা নেতাকে সব সময়ই বাড়তি একটা কনফিডেন্স দেয়। এই কনফিডেন্সে ভর করে দেখা যায় যে অনেক সময় নেতা কোন কাজে মনে করে অন্য কারো সাহায্যের দরকার নেই। তিনি তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ওপর ভর করে এ কাজ করতে পারবেন।
কাজ শেষে দেখা যায়, তিনি বাস্তবে শতভাগ করতে পারেননি। নব্বই ভাগ করতে পেরেছেন। আর যার সাহায্য তিনি নেবেন না মনে করেছিলেন, তার সাহায্য নিলে শতভাগ করতে পারতেন।
তার এই ভুল বা শতভাগ করতে না পারার মূল কারণ তিনি ওভার কনফিডেন্ট বা ওভার সিউর ছিলেন। আর এটাই তাকে শতভাগ কাজে সফল হতে বাধা হয়েছে। যে কারনে আবার তাকে ওই কাজটি করতে হবে।
নেতাকে কাজের সাইড লাইন বুঝতে হবে
যে কোন কাজ শুরু করলে তার সঙ্গে সঙ্গে অনেকগুলো বা অনেক সময় একটি বা দুটি সাইড লাইন কাজ সামনে আসতে পারে। এগুলো যে সাইড লাইন কাজ তা বোঝা একটু কষ্ট । কারণ প্রথমে সেটা কাজ নাও মনে হতে পারে। কিন্তু নেতাকে তার দূরদৃষ্টি দিয়ে বা কখনও রিস্ক নিয়ে সে কাজটি করতে হবে। এর শতভাগ তার সপক্ষে না এলেও অনেক সময় সাইড লাইন কাজ অনেক বড় কাজ হয়ে যায়।
Leave a Reply