মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন

সুন্দরবনে এখনও আগুন জ্বলছে, নেভাতে কাজ শুরু ফায়ার সার্ভিসের

  • Update Time : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪, ১০.৩৮ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

 

প্রথমআলোর একটি শিরোনাম “নতুন করে আরও যেসব দেশে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছড়িয়েছে”

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী বিক্ষোভ আরও নতুন নতুন দেশে ছড়িয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধের দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় চলমান বিক্ষোভ একপর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই তালিকায় যুক্ত হয় ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত ও লেবাননের নাম।

নতুন করে যেসব দেশে শিক্ষার্থী বিক্ষোভ ছড়িয়েছে, এর মধ্যে আছে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও মেক্সিকো।

জার্মানি

গত শুক্রবার জার্মানির বার্লিনের হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, অন্য জায়গায় ক্যাম্প করতে বিক্ষোভকারীরা অস্বীকৃতি জানান। এরপরই পুলিশ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে জোর করে সরিয়ে দেয়।

বার্লিনের মেয়র কাই ওয়েগনার এই বিক্ষোভের সমালোচনা করেছেন। তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, এই শহর (বার্লিন) যুক্তরাষ্ট্র বা ফ্রান্সের মতো ঘটনা দেখতে চায় না।

আয়ারল্যান্ড

আয়ারল্যান্ডের ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিনের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। তাঁরা তাঁদের এই প্রতিবাদী কর্মসূচিকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি হিসেবে বর্ণনা করেন।

মেক্সিকো

মেক্সিকোর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ইউএনএএমের বেশ কিছু শিক্ষার্থী গত বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানীতে একটি ক্যাম্প স্থাপন করেন। তাঁরা নানা স্লোগান দেন। এসব স্লোগানের মধ্যে ছিল ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’ ও ‘নদী থেকে সমুদ্র, ফিলিস্তিন হবে মুক্ত’।
মেক্সিকোর এই বিক্ষোভকারীরা চান, দেশটির সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করুক।

সুইজারল্যান্ড

সুইজারল্যান্ডের লুসান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের প্রবেশদ্বার বৃহস্পতিবার থেকে দখল করে আছেন প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী। বিক্ষোভকারী এই শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলকে একাডেমিক বয়কট এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন। তাঁদের শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি কাল সোমবার পর্যন্ত চলবে।

মানবজমিন এর একটি শিরোনাম “সুন্দরবনে এখনও আগুন জ্বলছে, নেভাতে কাজ শুরু ফায়ার সার্ভিসের”

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে পূর্ব সুন্দরবনের গহীনে লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। ইতিমধ্যে দুই কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস।
চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির কাছের এলাকায় বনে আগুন লাগে। মোংলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে বন বিভাগ, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং মোরেলগঞ্জ ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেনি।

শনিবার ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন নেভানোর যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো যায়নি। এ ছাড়া, যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির উৎস প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। এ কারণে শনিবার আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি।

The Daily Star বাংলার একটি শিরোনাম “বৈষম্যের প্রতিবাদে সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মবিরতির ঘোষণা”

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে পবিস অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল থাকবে। তবে সব ধরণের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, ‘দেশের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহক এবং ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিআরইবি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিনিয়ত নানান বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।’

‘এসব বৈষম্যের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। সম্প্রতি এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়ায় পবিসের ছয়জন সহকারী মহাব্যবস্থাপককে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ আইনের দোহাই দিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’

বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দূর করার জন্য বেতন কাঠামো ও সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির সঙ্গে সমানভাবে পরিপালন, সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দুইদিন এবং পদন্নোতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বিআরইবির সঙ্গে সমন্বয় চান তারা।

 

কালবেলার একটি শিরোনাম “মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সরে দাঁড়াতে বললেন ওবায়দুল কাদের”

সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই ভোট অংশ নেওয়া মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের সরে দাঁড়াতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যারা এখনো উপজেলা ভোটে আছেন, তারা সরে দাঁড়াবেন।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে যেটা সত্য, সেটা হলো বিএনপি নেতাদের কথা তাদের উপজেলা পর্যায়ে কেউ শুনছেন না। কাজেই অন্তঃসারশূন্য বক্তব্য বা সিদ্ধান্ত নিয়ে লাভ নেই।

বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারকে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনের জন্য নৌকা মার্কায় মনোনয়ন দেওয়া হয়। আসনটিতে দলের মনোনয়ন পেতে ফরম সংগ্রহ করেছিলেন দলের ২৫ নেতা।

এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে নায়েব আলী জোয়ার্দারকে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “গাজায় পানিশূন্যতায় ভুগছেন দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী”

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ যেন থামছেই না। প্রতিদিনই ফিলিস্তিনি জনগণ হত্যার শিকার হচ্ছে। এ সংঘাত পুরো বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে নতুন খবর সামনে এসেছে।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন। সেখানে বলা হয়, ঐ নারীদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নারী রয়েছেন, যারা খুব কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশির ভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউ-এর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। অভিযানের নামে সেখানে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব জুড়েই গাজা সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং রাফা এবং অন্যান্য শহরে হামলার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024