রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন

গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছে : হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)

  • Update Time : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪, ৫.৪৫ পিএম

নিজস্ব  প্রতিবেদক :

ঢাকাসহ সারাদেশের গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের  করা হয়েছে। জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এ রিট দায়ের করে।

সংগঠনের সভাপতি ও রিটকারী সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রিটের বিষয়টি  নিশ্চিত করেন। রিটে বিবাদীরা হলেন- কেবিনেট বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের  সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি), ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।

এইচআরপিবি’র পক্ষে রিট পিটিশনার হলেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈই। রিটের বিষয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে এইচআরপিবি এ রিট পিটিশন দায়ের  করে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট পিটিশনটি সোমবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।

রিটে এইচআরপিবি’র পক্ষে দাবি করা হয়, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। যে কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে, যা বন্ধ না হলে দেশে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে এবং মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রিটে যেসব নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে-

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে সাত দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, প্রফেসর, পরিবেশ বিজ্ঞান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর পরিবেশ বিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে  ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবে।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া  গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারে সমন্বয়ে  কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া  গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত সব বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যেন কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ চাওয়া হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল নির্দেশনা চাওয়া  হয়। ৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া  হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ দেওয়ার বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না সে মর্মে রুল চাওয়া   হয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024