শ্রী নিখিলনাথ রায়
সুতরাং কিষণচাদকে স্বতন্ত্র বৃত্তি প্রদান করিতে তাঁহারা সক্ষম নহেন। গোবিন্দচাঁদের মৃত্যুর পর তিনি জীবিত থাকিলে সে বিষয়ে বিবেচনা করা যাইবে। গোবিন্দচাঁদ নিজ জীবদ্দশার গোপালচাঁদকে পোষ্যপুত্র গ্রহণ করিয়া- ছিলেন। এই গোপালচাঁদের বিবাহের সময় নিজামত তহবিল হইতে গোবিন্দচাঁদকে ৫০০ টাকার সাহায্য প্রদান করা হয়।
১৮৪৯ খৃঃ অব্দে বঙ্গের তৎকালীন লেপ্টেনান্ট গবর্ণর হেলিডে সাহেব গোবিন্দ- চাঁদের বৃত্তি হইতে ৩০০ টাকা কিষণচাঁদকে দিতে আদেশ করেন। এই আদেশে মুর্শিদাবাদের এজেন্ট আপত্তি করিলে, গোবিন্দচাঁদ এই আদেশের বিরুদ্ধে ভারতগবর্ণমেন্টের নিকট আবেদন করেন। ভারত- গবর্ণমেন্ট উক্ত আবেদন স্ট্রেট সেক্রেটারী সার চার্ল উডের সমীপে পাঠাইয়া দিলে, তিনি গোবিন্দচাঁদের ১২ শত টাকা অক্ষুণ্ণ রাখিয়া লেপ্টেনান্ট গবর্ণরের আদেশ অগ্রাহ্য করেন।
১৮৫৪ খৃঃ অব্দের ডিসেম্বর মাসে গোবিন্দচাদ বার্দ্ধক্যদশা প্রাপ্ত হইয়া, স্বীয় পত্নী জগৎশেঠানী প্রাণকুমারী ও দত্তকপুত্র গোপালচাঁদকে রাখিয়া পরলোক গমন করেন। গোবিন্দচাদের মৃত্যুর পর, গোপালচাঁদ ও কিষণচাঁদ এই মর্ম্মে আবেদন করেন যে, গোবিন্দচাঁদের ১২ শত টাকা বৃত্তির মধ্যে গোপাল- চাঁদকে ৭ শত ও কিষণচাঁদকে ৫ শত টাকা দেওয়া হউক।
কিন্তু গবর্ণমেন্ট সে আবেদন না শুনিয়া, কিষণচাঁদকে জীবনাবধি ৮ শত টাকা বৃত্তি নিদ্দিষ্ট করিয়া, গোবিন্দচাদের বিধবা পত্নী ও পরিবারবর্গের প্রতিপালনের জন্য আদেশ প্রদান করেন। গোপালচাঁদ পুনর্ব্বার আবেদন করিলে, তাঁহাকে কিষণচাঁদের প্রদত্ত শত টাকা হইতে ৩ শত টাকা দিবার আদেশ হয়। কিন্তু তিনি উক্ত অল্পপরিমাণ বৃত্তি লইতে স্বীকৃত হন নাই।
Leave a Reply