শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২০ পূর্বাহ্ন

দেশেই সকল ধরনের সর্বাধুনিক চিকিৎসা প্রদান সম্ভব : বিএসএমএমইউ উপাচার্য

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪, ৪.৩৯ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামনের দিনগুলোতে বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই সকল ধরনের সর্বাধুনিক চিকিৎসা প্রদান সম্ভব এমন আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিউরোসার্জারি, নিউরোলোজি ও ফিজিওলোজিস্টদের সমন্বিত অংশগ্রহণে ‘সিম্পোসিয়াম অন স্টারোটেক্সি ইন ফিসিওলোজি’ এ স্টেপ ফরওয়ার্ড ইন নিউরোসাইন্স শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজিত অনুষ্ঠ্নে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে এর আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের  ফিজিওলোজি বিভাগ।

সিম্পোজিয়ামে বলা হয়, নিউরোলোজিক্যাল চিকিৎসায় ফিজিওলোজির ভূমিকা ও আধুনিক নিউরোলোজিক্যাল চিকিৎসায় সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরে গুরুত্বপূর্ণ যুগোপযোগী পদ্ধতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সেমিনারে বিশেষজ্ঞ বক্তব্যে উঠে আসে, নিউরোলোজিক্যাল চিকিৎসায় একাধারে নিউরোসার্জারি, নিউরোলোজি এবং ফিজিওলোজি বিভাগের সমন্বিত ও যৌথ প্রয়াসে  সর্বাধুনিক সেবা প্রদান করা সম্ভব। স্টারোটেক্সি হল এমন একটি পদ্ধতি নিউরোসার্জারি বা অন্যান্য ইন্টারভেনশনের সময় কোষের কোন ধরণের ক্ষতি ছাড়াই টার্গেট স্থানে সেবা প্রদান করা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন,  আমি যেখানে গিয়েছি, সেখানেই সর্বাধুনিক  নতুন কিছু করার চেষ্টার পাশাপাশি বাস্তবায়নও করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা ও সেবায় আগে যা ছিল না, সে সব করেছি এবং অনেক কিছু করার সূচনা চেষ্টা করেছি। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নিউরোসার্জারির বিভিন্ন ধরণের অপারেশন করতে দীর্ঘ সময় লাগে। সেবার মান  বৃদ্ধি ও বিদেশ নির্ভরতা কমার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। নিউরো সার্জারিতে  দক্ষ জনবল তৈরি করা গেলে বিভিন্ন ধরণের সেবা ও অপারেশনের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা যাবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। একে অপরের সহযোগী হয়ে রোগী সেবায় আত্ম নিয়োগ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এ দেশের চিকিৎসা সেবায় নতুন সংযোজন হিসেবে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট, কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট, শিশু কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, জোড়া শিশু আলাদাকরণের ও ক্যান্সার চিকিৎসায় বর্তমান প্রশাসনের আমলে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওলোজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নুরজাহান বেগম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্যানেল অব এক্সাপার্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. হোসাইন রেজা, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্সের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ধীমান চৌধুরী, নিউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব হেলাল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বীকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তাসকিন আলী, নিউরোসার্জারি বিভাগে মওদুদুল হক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্সের সহকারী অধ্যাপক ডা. জালাল উদ্দিন  মোহাম্মদ রুমি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024