নিজস্ব প্রতিবেদক
গাছ লাগানো এবং কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা তৈরি না করা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে, গাছ লাগানো এবং কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা তৈরি করতে কেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রুল জারি করেন। জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ রুল জারি করা হয়।
একই বেঞ্চ ঢাকাসহ সারাদেশে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ কর্তৃপক্ষ গঠন এবং তাপপ্রবাহ প্রতিরোধে নীতি ও কর্মপরিকল্পনা তৈরিতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ। এর আগে ২ মে এই আইনজীবী সারা দেশে তাপপ্রবাহ কমাতে এবং গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন, বিধিমালা বা নীতি প্রণয়নের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান।
নোটিশ পাঠানোর পর ওই আইনজীবী জানান, দেশের ভৌগোলিক সীমানার ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ আছে ৯ শতাংশ। প্রচন্ড তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। ফিনল্যান্ডের আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো। দেশটিতে একটি গাছ কাটলে বাধ্যতামূলক তিনটি গাছ লাগাতে হয়। ২০২৩ সালে কুষ্টিয়ার যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পযন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো গাছ লাগানো হয়নি। দেশে গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব কোনো আইন, বিধি বা নীতিমালা নেই।
Leave a Reply