আফান্দীর গল্প
সেন্ট্রাল এশিয়ার দেশগুলোতে তাকে নাসিরুদ্দিন হোজ্জা নামে জানে। ভারত উপমহাদেশে তিনি মোল্লা নাসিরুদ্দিন নামে পরিচিত। পৃথিবীর অন্যান্য ভাষায়ও তার এই ধরনের গল্পগুলো নানা নামে পাওয়া যায়। চায়নাতে তাকে পাওয়া যায় আফান্দী নামে। এই হোজ্জা বা মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প চায়নায় আফান্দী নামে প্রচলিত থাকলেও গল্পগুলোর ভেতরে একই আমেজ পাওয়া যায়। সারাক্ষণে আফান্দীর গল্পগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।
১৫. দুপক্ষ সাক্ষীর সামনে বিক্রয় নামা স্বাক্ষর করল। এই বিক্রয় নামায় লেখা হল: রাস্তার পাশের এই গাছ যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন এর ছায়ার মালিক হবে আফান্দী। কোন পক্ষ একতরফাভাবে এই বিক্রয় নামায় উল্লিখিত শর্ত ভঙ্গ করতে পারবে না। আফান্দী সাক্ষীর সামনে চারশ’ টাকা ঐ বড়লোকের সামনে রাখল।
১৬. তখন থেকে গ্রামবাসীরা শীতল হাওয়া সেবন করতে গাছের ছায়ায় জমায়েৎ হত, আর বাজনা বাজিয়ে নেচে-গেয়ে মহানন্দে সময় কাটাত।
Leave a Reply