আফান্দীর গল্প
সেন্ট্রাল এশিয়ার দেশগুলোতে তাকে নাসিরুদ্দিন হোজ্জা নামে জানে। ভারত উপমহাদেশে তিনি মোল্লা নাসিরুদ্দিন নামে পরিচিত। পৃথিবীর অন্যান্য ভাষায়ও তার এই ধরনের গল্পগুলো নানা নামে পাওয়া যায়। চায়নাতে তাকে পাওয়া যায় আফান্দী নামে। এই হোজ্জা বা মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প চায়নায় আফান্দী নামে প্রচলিত থাকলেও গল্পগুলোর ভেতরে একই আমেজ পাওয়া যায়। সারাক্ষণে আফান্দীর গল্পগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।
১৯. একদিন, বড়লোক তার বাড়ীর খোলা বারান্দায় বসে বিশ্রাম করছিল। তার সবেমাত্র ঝিমুনি এসেছে এমন সমর আফান্দী গাধা সহ উঠানে এসে হাজির হল। বড়লোক ভীষণ রেগে আফান্দীকে ওখান থেকে চলে যেতে বললে আফান্দী শান্তভাবে জবাব দিল, “মাফ করবেন, আমি আমার কেনা ছায়ার সঙ্গেই এখানে।
২০. এ কথা বলে আফান্দী বড়লোকের বাড়ীর উঠানে যেখানে গাছের ছায়া এসে পড়েছিল সেখানে একটি খুঁটি পুঁতে তার সঙ্গে তার গাধাটি বেঁধে রাখল আর তার পাশে শুয়ে বিশ্রাম করতে লাগল। বড়লোক শুধু নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে রইল।
Leave a Reply