সারাক্ষণ ডেস্ক
যথাযোগ্য মর্যাদায় ফিলিপাইনের ম্যানিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস একটি অনলাইনভিত্তিক ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
এতে প্রবাসী বাংলাদেশি, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৭০ জন অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ সম্প্রচারের মধ্য দিয়ে ওয়েবিনারের সূচনা হয়। এরপর উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. এম. বোরহান উদ্দিন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এক কঠিন সংকটময় পরিস্থিতিতে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্সে তাঁর এই ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যে মূলত স্বাধীনতার আহবান নিহিত ছিল। বাঙালি সেদিন বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে উদ্দীপ্ত হয়ে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল এবং পরবর্তী সময়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ। ড. সামাদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক তীক্ষ্ণতা এবং কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় রেখেছিলেন। ইতিহাস বিখ্যাত ৭ মার্চের এই ভাষণের প্রথম ভাগে বাঙালির ইতিহাস, মধ্য ভাগে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার অত্যাচার ও অন্যায়ের বর্ণনা এবং তাদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে আলোচনার আহ্বান আর সর্বশেষে জনগণের প্রতি দিক-নির্দেশনামূলক বার্তা উচ্চারণের মাধ্যমে তিনি তাঁর অতিশয় শক্তিশালী রাজনৈতিক কারিশমার পরিচয় দিয়েছিলেন।
এছাড়াও ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন ফিলিপাইনের দাভাও-এ নিযুক্ত অনারারি কনসাল জেনারেল জজি বিয়ান এবং সেবু-তে দায়িত্বরত অনারারি কনসাল জেনারেল ভারহিলিও এসপেলেতা। তাঁরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার ভূমিকা ও বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply