পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
জবরদস্তিমূলক নয়
স্মার্ট লিডার কখনই জবরদস্তিমূলক নেতা হবেন না। কারণ জবরদস্তিমূলক নেতাই পৃথিবীতে সব থেকে খারাপ নেতা। যথচ একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, কখনও কখনও কোন না কোন মানুষের মধ্যে জবরদস্তিমূলক কিছু কিছু আচরণ ঢুকে যায়। তা সচেতনভাবেও হতে পারে আবার অবচেতনভাবেও হতে পারে। স্মার্ট নেতাকে নিজের ভেতরের ওই জবরদস্তিমূলক আচরণকে চিহ্নিত করতে হবে। এবং সেখান থেকে তাকে বের হয়ে আসতে হবে। তবে তার মানে এই নয় যে চে্ইন অফ কমান্ড রাখার জন্যে তিনি মোটেই জবরদস্তিমূলক হবেন না। যদি কখনও চেইন অফ কমান্ড রাখার জন্যে তাকে জবরদস্তির পথ নিতে হয় তিনি অবশ্যই সেটা নিবেন তবে তা খুবই সংযত ও মার্জিতভাবে।
কর্তৃত্বপূর্ণ নেতৃত্ব
স্মার্ট লিডারের সঙ্গে কর্তৃত্বপূর্ণ নেতৃত্বর বিষয়টি ঠিক যায় না। তবে যখন কোন একটি বিশেষ লক্ষ্যে একটি টিম বা দলকে নিয়ে এগুতে হবে তখন অবশ্যই নেতার কৃর্তৃত্ব দরকার।
তবে এখানে যেন কোন মতেই জবরদস্তি না ঢুকে পড়ে। বরং মোটিভেশন এবং সকলকে কাজের সঙ্গে তার নিজের উন্নতি ও স্বার্থর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বা কাজের ভেতর দিয়ে বোঝানো দরকার।
আর বিশেষ করে যখন কোন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে এগুতে হয় বা কোন চ্যালেঞ্জ সামনে আসে তখন কর্তৃত্ব’র প্রয়োজন পড়ে। সে সময়ে স্মার্ট নেতাকে অবশ্যই কর্তৃত্বপূর্ণ হতে হয়। কারণ, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্যে বা অনিশ্চয়তা কাটানোর জন্যে অবশ্যই তাকে অনেক সময় একাই অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
Leave a Reply