মায়াওয়াদ্দি থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে মিয়ানমার সেনা ঘাঁটির কাছে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে
কাঞ্চনাবুড়ি: মায়ানমারে শুক্রবার বিকেলে পশ্চিম প্রদেশের সাংখলা বুরি জেলার সীমান্তের কাছে সংঘর্ষ ও বিস্ফোরণ শুরু হয় যাতে ১০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক থাইল্যান্ডে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
মায়ানমারের সংঘর্ষ থেকে পালিয়ে আসা পায়থনজু-এর বাসিন্দারা শুক্রবার বিকেলে কাঞ্চনাবুড়ির সাংখলা বুরি জেলায় পাড়ি জমাচ্ছে।
শুক্রবার দুপুর ১২.৪০ টার দিকে দক্ষিণ কায়িন রাজ্যের পায়াথোনজু শহরে একটি সংঘর্ষ হয় কিন্তু কারা এই সংঘর্ষে জড়িত ছিল তা স্পষ্ট ছিলনা। ভারী অস্ত্র ও বোমা ব্যবহার করা হয়েছে।সীমান্তের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে আকাশে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল যা থাই সীমান্ত থেকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে ফ্রা ছেদি স্যাম অং-এর বিপরীতে পায়াথোনজুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২৮৪তম ব্যাটালিয়নে এই সংঘর্ষ হয়।
এই সংঘর্ষের কারনে শিশু ও বয়:বৃদ্ধসহ প্রায় ১০০ এরও অধিক পায়াথনজু বাসিন্দাকে থাইল্যান্ডের সাংখলা বুড়ির তাম্বন নং লু-র ফ্রা চেদি স্যাম ওং গ্রাম মু ৯ এ আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
গোলাগুলি এবং বিস্ফোরণ থামার আগে প্রায় ৩০-৪০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলে।
কাঞ্চনবুড়ির সাংখলা বুড়ি জেলায় সৈন্য ও সীমান্ত টহল পুলিশ সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে।
পায়াথোনজু মায়াওয়াদ্দি থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত, যেটি সেনাবাহিনী এবং জাতিগত বিদ্রোহীদের মধ্যে ভারী লড়াইয়ের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল, তাদের বেশিরভাগই কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির অন্তর্গত। এই সংঘর্ষগুলি মাঝে মাঝে শত শত বেসামরিক নাগরিককে সীমান্ত পেরিয়ে তাক প্রদেশের মায়ে সোটে পাঠিয়েছে।
পুলিশ কর্নেল পাইথুন শ্রীউইলাই, যিনি সাংখলা বুড়ি পুলিশের প্রধান এবং ১৩৪ তম সীমান্ত টহল ইউনিটের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আথাফোল ফায়েসা-আর্ড, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এবং পালিয়ে আসা গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সীমান্ত এলাকায় পুলিশ, সৈন্য এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব দেন।
গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর, কিছু গ্রামবাসী পায়াথোনজুতে ফিরে আসে। তবে, প্রায় ৪০ জন বাসিন্দা একটি অস্থায়ী আশ্রয়ে রয়ে গেছে কারণ তারা তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছিলেননা।
বর্ডার পেট্রোল পুলিশ ব্যুরোর ডেপুটি কমিশনার, পলিশ মেজর জেনারেল রুংরোজ ঠাকুনপুনিয়াসিরি এবং সিনিয়র অফিসাররা ফ্রা চেদি সাম ওং গ্রামে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তবে আহত ও মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply