পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
লিডারশীপের স্রোত
স্মার্ট লিডারকে মূলত একটি স্রোতস্মিনি নদী, বিশেষ করে পাহাড়ি জলধারার নদীর মতো হতে হয়। যার স্রোত সব সময়ই গতিশীল এবং স্বাভাবিক প্রবাহমান মনে হলেও অন্তসলিলা অর্থাত্ গভীরের স্রোত থাকবে প্রবল।
যে প্রবল স্রোতে সে সব বাধা দূর করে নিয়ে যেতে পারবে। আর এ কাজে যে তার নিজের লোকদেরকে সেইভাবে অর্ন্তনিহিত শক্তিতে শক্তিশালী করতে পারবে।
তার সকল কাজের ডিজাইনও সেভাবে করতে হবে।
লিডারশীপের শক্তির কেন্দ্র
রবীন্দ্রনাথ জীবনকে রাঙানোর জন্যে বলেছেন “ বিশ্বনাচের কেন্দ্রে যেমন ছন্দ জাগে,” । অর্থাত্ এই যে মহাবিশ্ব চলছে, এমনকি এই যে পৃথিবী ঘুরছে তারও একটি কেন্দ্রবিন্দু আছে। সেই বিন্দুটি নিয়মিত ও নির্দিষ্ট ছন্দে দোলাচ্ছে সবকিছু।
লিডারশীপেরও শক্তির ওই বিশ্বনাচের কেন্দ্রের মতো কেন্দ্র আছে।
বাস্তবে সব সময়ই লিডারশীপের কেন্দ্র তৈরি হয় অতিতের জ্ঞান ও বর্তমানের বিজ্ঞান দিয়ে। এটাই তৈরি করে ওই ছন্দে দোলা দেবার শক্তি বা এনার্জি।
এই এনার্জি তৈরি হয় সাধারণত নিম্ম লিখিত ভাবে
১.উদ্দেশ্য: অর্থাত্ কাজের উদ্দেশ্য সব সময় বড় ও মহত হতে হবে।
২. প্রজ্ঞাঃ প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাতে হবে শান্তভাবে এবং সত্যকে পজিটিভ পথে গ্রহন করে।
৩. বৃদ্ধি বা প্রবৃদ্ধিঃ লিডারশীপের বৃদ্ধি বা প্রবৃদ্ধি ঘটবে মূলত সব সময়ে তার নতুন নতুন কিছু জানার আগ্রহ থেকে।
৪. ভালোবাসা: যে কাজের বা সেবার সঙ্গে যুক্ত তারপ্রতি প্রকৃত ভালোবাসা নিজের মধ্যে জাগ্রত করা।
৫. স্বমূল্যায়ন: আনন্দের সঙ্গে নিজের ভুল ও সঠিককে অবশ্যই নিজেই মূল্যায়ন করতে শিখতে হবে।
Leave a Reply