শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন

বন্ধ ক্লিনিকে খতনা, রক্তক্ষরণে সংকটাপন্ন শিশু, পোশাক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত, উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা, ‘ওয়েডিং ডেস্টিনেশন’

  • Update Time : শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪, ৬.৫১ পিএম

 সারাক্ষণ ডেস্ক

 

পাকিস্তানের ডন পত্রিকার আজকের বিজনেস পাতার শিরোনাম ছিল FO flays efforts to portray ‘normalcy’ in held Kashmir

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরে পৌঁছেছেন। বিতর্কিত অঞ্চলে “স্বাভাবিকতা চিত্রিত করার জন্য ভারতের প্রচেষ্টার অংশ” হিসাবে এই পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান।

বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ এ কথা বলেন। বলেছেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে স্বাভাবিকতা প্রজেক্ট করার এই প্রচেষ্টাগুলি একটি মুখোশ। পর্যটককে এমন পরিস্থিতি প্রচার করা যাবে না, যেখানে স্থানীয় জনগণকে ভয় দেখানো হচ্ছে। স্থানীয়দের অধিকার ও স্বাধীনতাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।” .

মোদির সরকার প্রায় পাঁচ বছর আগে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর উপত্যকাকে তার বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা কেড়ে নিয়েছিল। অধিকৃত অঞ্চলটিকে সরাসরি নয়াদিল্লি থেকে শাসিত দুটি অঞ্চলে বিভক্ত করেছিল, কাশ্মীরিদের ক্ষুব্ধ করেছিল।

তিনি দাবি করেন যে পুরানো নিয়ম এবং “বংশীয় রাজনীতি” এই অঞ্চলের সম্ভাবনাকে সীমিত করেছে।

 

টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার শিরোনাম Will continue to work to win hearts, Prime Minister tells Jammu and Kashmir.

খবরে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবেগপূর্ণ কণ্ঠে বলেন, “মে দিল জিতনে আয়া হুঁ (হৃদয় জয় করতে এসেছি)”। তিনি জনগণকে বিদেশে অর্থ খরচ না করে জম্মু ও কাশ্মীরের মত ভারতীয় লোকেশনগুলো বিয়ের আয়োজন করতে বেছে নেওয়ার জন্য উৎসাহ দেন।  বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের শ্রীনগরে আয়োজিত জনসভায় মোদী নিজের এই লক্ষ্যের কথা জানান।

ভারতে লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। কয়েক দিনের মধ্যে ভোটের তারিখও ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনী প্রচার চালাতেই মোদী কাশ্মীর গেছেন।  বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের বকশি স্টেডিয়ামে মোদীর জনসভার আয়োজন করা হয়। মোদী তার ভাষণের শুরুতেই বলেন, পর্যটন খাতের উন্নয়ন এবং কৃষকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলের আগ্রগতি সাধন হবে। “স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারার কারণে জম্মু ও কাশ্মীর উন্নয়ন নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে।” অমরনাথ এবং বৈষ্ণো দেবীর মন্দিরে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা রেকর্ড ছুঁয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বিদেশি পর্যটকের আগমনও আড়াই গুণ বেড়ে গেছে। আগে পর্যটকরা জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণে যেতে দ্বিধা করতো। কিন্তু আজ জম্মু ও কাশ্মীর পর্যটনের সব রেকর্ড ভেঙেছে। শুধু ২০২৩ সালে দুই কোটির বেশি পর্যটক জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণ করেছেন।”

তিনি জনগণকে বিদেশে অর্থ খরচ না করে জম্মু ও কাশ্মীরের মত ভারতীয় লোকেশনগুলো বিয়ের আয়োজন করতে বেছে নেওয়ার জন্য উৎসাহ দেন।  নিজের পরবর্তী লক্ষ্য ‘ওয়েড ইনি ইন্ডিয়া’ এবং বিদেশে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন না করে ভারতীয়দের জম্মু ও কাশ্মীরে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

এবার জি২০ সম্মেলনও আয়োজন করা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। এমনও সময় গেছে যখন লোকজন বলতো পর্যটনের জন্য কে কাশ্মীর যাবে?। আজ, জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন খাত সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছে। ২০১৯ সালের অগাস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন এবং বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে রাজ্যটিকে কেন্দ্র শাসিত দুইটি আলাদা অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে ভাগ করে মোদী সরকার। জম্মু ও কাশ্মীর ছিল মুসলমান অধ্যুষিত ভারতের একমাত্র রাজ্য। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি জম্মু সফর করে এসেছেন। জম্মুর অধিকাংশ বাসিন্দা হিন্দু।

 

পোশাক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত, উদ্বেগে ব্যবসায়ীরামানবজমিনের শিরোনাম এটি।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের মজুরি, ট্রেড ইউনিয়ন, কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তাসহ সামগ্রিক বিষয় মূল্যায়ন করতে তদন্ত শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশসহ শীর্ষ পাঁচ দেশের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন (ইউএসআইটিসি)। ১১ই মার্চ এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে একটি শুনানি হবে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। এসব বিষয় তুলে ধরতে ইতিমধ্যে মার্কিন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সূত্র বলছে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পরিস্থিতি নিয়ে তদন্ত করবে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তানও এর আওতায় রয়েছে। এ ছাড়া, এশিয়ার কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়াও রয়েছে এর আওতায়। সূত্র আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশগুলো কীভাবে অবস্থান করে নিয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখবে ইউএসআইটিসি। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পোশাক খাতের পরিস্থিতিও মূল্যায়ন করতে চায় ইউএসআইটিসি। এক কূটনীতিক বলেন, পোশাক রপ্তানি খাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র। যদিও কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পরিমাণ বেশ কমেছে। এরপরও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির বাজারে দখল করে রেখেছে।

কিন্তু কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাকের বাজারে এই দেশগুলো প্রতিযোগিতা করছে? সেটা খতিয়ে দেখতে এবং একইসঙ্গে এসব দেশের শ্রমিকদের কর্মপরিবেশসহ সামগ্রিক বিষয় মূল্যায়ন করতে তদন্ত শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ই মার্চ। শুনানিতে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিজিএমইএ তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবে। এক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিকভাবে বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ রয়েছে। শুনানির পর আগামী ২২শে মার্চ পর্যন্ত লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে। আর আগামী ৩০শে আগস্ট কমিশন তাদের তদন্ত প্রতিবেদন বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করবে। গত বছরের (২০২৩) নভেম্বরের মাঝামাঝিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বাইডেন প্রশাসনের নতুন শ্রম নীতির ঘোষণা দেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিশ্ব জুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে, তাদের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন শ্রম নীতির ঘোষণার পর ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়ে তাদের শঙ্কার কথা জানায়।

 

রাজধানীর সোয়া তিন লাখবনের অনুমোদন নেইইত্তেফাকের অন্যতম প্রধান শিরোনাম।

বলা হচ্ছে প্রতি বছর রাজধানীতে বাড়ছে অনুমোদনহীন ভবনের সংখ্যা। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন এলাকায় যারা অনুমোদন নিয়েছেন, এর মধ্যে ৯০ ভাগেরই নেই অকুপেন্সি বা ব্যবহারের সনদ। যার কারণে নকশার বিচ্যুতি করে গড়ে ওঠা এসব ভবনে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাজউক থেকে নকশার অনুমোদন একরকম নিলেও সেটি মানা হচ্ছে না। রাজউক বলছে, এসব ভবনের বিচ্যুতি নিয়ন্ত্রণে বছরে গড়ে ৫ হাজার নোটিশ দেয় তারা। গত বছর রাজউকের পক্ষ থেকে বিচ্যুতি প্রতিরোধে ১ হাজার ৮৯০টি ভবনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

২০২২ সালে গেজেটভুক্ত হওয়া রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) জরিপের তথ্যমতে, রাজউক এলাকায় প্রায় ২১ লাখ ৪৫ হাজার ভবন রয়েছে। এর মধ্যে একতলা থেকে বহুতলা ভবন রয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার। এসব ভবনের মধ্যে মাত্র ২ লাখের অনুমোদন রয়েছে, বাকি প্রায় ৩ লাখ ১৭ হাজার ভবনের কোনো অনুমোদন নেই। পাশাপাশি ১৬ লাখের বেশি সেমিপাকা ভবনও অবৈধ। রাজউকের আওতাধীন এলাকা ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৩০৫ বর্গকিলোমিটার, সাভার উপজেলা, কেরানীগঞ্জ উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ, ভুলতা ও গাউছিয়া।

রাজউক সূত্র বলছে, দুই সিটির ভেতরে যেসব স্থানে অবৈধ ভবন রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ডেমরা, বসিলা, ঢাকা উদ্যান, কামরাঙ্গীরচর, সারুলিয়া, নাসিরাবাদ, ডুমনি, উত্তরখান, দক্ষিণখান, হরিরামপুর, ভাটারা, বাড্ডা ও পুরান ঢাকা। আর ঢাকার দুই সিটির বাইরে সাভার, কেরানীগঞ্জ, ভুলতা, গাউছিয়া ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় শত শত ভবন অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। রাজউকের কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই হাউজিং প্রকল্পের নামে কেরানীগঞ্জে অর্ধশত আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো ভবনে বসবাস বা ব্যবহারের আগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে ব্যবহার বা বসবাস সনদ নিতে হবে। ২০০৮ সালে এই আইন চালুর পর ১০ ভাগ ভবনও এই সনদ নেয়নি বলে জানা যায়।

নগরবিদ ও বিশেষজ্ঞদের অভিমত, অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নেওয়ায় নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মিত হচ্ছে কি না, তা নজরদারি করা যাচ্ছে না। কোনো ভবন মালিক অনিয়ম করে নকশায় পরিবর্তন আনলেও তা ধরা পড়ছে না। ফলে নির্মিত ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠলেও তা চিহ্নিত হচ্ছে না। আর ভবন ব্যবহার সনদ না নিলে রাজউক থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো নজির নেই।

 

রোজার আগে আরও বাড়লরোজার পণ্যেরদামপ্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম।

খবরে বলা হচ্ছে পবিত্র রমজানের আর এক সপ্তাহ বাকি নেই। রোজায় প্রয়োজন এমন পণ্য কিনতে ক্রেতারা এখন ব্যস্ত। কিন্তু বাজারে কোনো সুখবর নেই। প্রায় সবকিছুই চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। রোজার বাজারে নতুন করে বেড়েছে মুরগির দাম। খুচরায় চিনি ও ছোলার দামও বেড়েছে। সবজির দাম সপ্তাহখানেক আগেও কিছুটা কম ছিল, ইফতারি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এমন সবজির দাম এখন বাড়তির দিকে। নতুন দামের বোতলজাত সয়াবিনের এক ও দুই লিটারের বোতল এখনো বাজারে আসেনি। তাতে ক্রেতাদের এখনো ক্ষেত্রবিশেষে নির্ধারিত দরের চেয়ে কিছুটা বাড়তি দরে সয়াবিন কিনতে হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মৌলভীবাজার, রহমতগঞ্জ, পলাশী, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, হাতিরপুল ও কাঁঠালবাগান বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকারিতে চিনির দাম নতুন করে কেজিপ্রতি দুই টাকার মতো বেড়েছে। খুচরা বাজারে বেড়েছে পাঁচ টাকার মতো। খুচরায় কেজিপ্রতি চিনির দাম উঠেছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। চট্টগ্রামে চিনির একটি গুদামে আগুন লাগার পরে দাম নতুন করে বেড়েছে। তবে বাজারে বড় কোনো সংকট তৈরি হবে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ছোলা ও কয়েক পদের ডালের দাম কিছুটা বাড়তি দেখা গেছে। ভালো মানের ছোলার দাম নতুন করে কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। আর অ্যাংকর ও খেসারি ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ টাকার মতো। অ্যাংকর ডাল খুচরায় কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ও খেসারির ডাল মানভেদে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিন রোজার বাজারে বিক্রেতাদের বেশ ব্যস্ত দেখা গেছে। কিন্তু ক্রেতাদের অনেকের চেহারায় চিন্তার ছাপ। রোজায় বেশি প্রয়োজন এমন অধিকাংশ পণ্য বেশ চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়েছে। কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি কিনতে হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। আর ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে সোনালি মুরগি। সোনালি মুরগির দাম কোথাও কোথাও সাড়ে ৩০০ টাকাও চাওয়া হচ্ছে।

এদিকে বাজারে নতুন দামের সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতল এলেও এখনো এক ও দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে অনেক খুচরা ব্যবসায়ী নির্ধারিত দর লিটারে ১৬৩ টাকার চেয়ে বেশি রাখছেন। নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল ও আটার বাজারে বড় পরিবর্তন নেই। এবার রোজার বাজারে খেজুরের দাম বেশ চড়া। বিভিন্ন পদের মাছ, গরু ও খাসির মাংসের দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে। আমদানির খবরে কিছুটা কমেছে শুধু পেঁয়াজের দাম। ১২০ টাকা কেজির দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার আশপাশে। অন্যান্য সবজির দাম অবশ্য বাড়তির দিকে। বিশেষ করে ইফতারি তৈরিতে প্রয়োজন হয়, এমন সবজির দাম বেড়েছে। এর মধ্যে তালিকার প্রথম দিকে আছে বেগুন। গত সপ্তাহের ৬০–৭০ টাকা কেজির বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০–৮০ টাকায়।  বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে সরকারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে সেই উদ্যোগ তেমন দৃশ্যমান হচ্ছে না।

 

এবার রোজা হবে আরও খরুচে। এমন প্রধান শিরোনাম করেছে দৈনিক সমকাল। তারা লিখেছে বিস্তারিত বলা হয় ইফতারে অন্তত দুইটা খেজুর আর এক গ্লাস শরবত মুখে তুলতে হয় রোজাদারকে। তবে সেই ন্যূনতম ইফতারি পণ্যেরই বেজায় দাম। খেজুরে এবার হাতই দেওয়া যাচ্ছে না, চিনির দামেও লম্ফঝম্প। আর শরবতের জন্য লেবু! এখনই আগুন দাম। রোজায় এক লেবু কত টাকা দিয়ে সদাই করতে হবে, সে চিন্তায় কপালে ভাঁজ ফেলছেন ক্রেতা।

এবার সেহরিতে আসা যাক। রোজা শুরুর আগেই ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি দেখাচ্ছে দামের তেজ। গরুর মাংস কেজিতেই বেড়ে গেছে অন্তত ১০০ টাকা। সব মাছের দামও বাড়বাড়ন্ত। শুধু খেজুর, চিনি, লেবু, মাছ-মাংস নয়; বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দরই বল্গাহীন। রমজান শুরুর পাঁচ-ছয় দিন আগে পণ্যের দরের এমন উড়াল গতিই বলে দিচ্ছে, এবার হবে আরও খরুচে রোজা।

 

প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিবেদনের শিরোনামনির্যাতনের শিকার হলেও নারী বিচার চান কম।

এতে বলা হয় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের বেলকুচির রাজাপুর ইউনিয়নের আগুরিয়া চরের আশপাশের আগুরিয়া, হরিনাথপুর, মোকিমপুর, চন্দ্রপাড়া, বৈলগাছি গ্রামের ২১ নারীর সঙ্গে কথা হয়। তিন–চারজন ছাড়া বাকিরা কমবেশি স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনজন গ্রাম্য সালিসে বিচার দিলেও কখনো থানায় অভিযোগ বা মামলা করেননি। ওই নারীদের কেউ কেউ বলেন, মারামারির মধ্যেই টিকে থাকতে হয়। আর্থিক সংকটের কারণে নির্যাতনের ঘটনা বেশি। তাই সংসারের আয়ের জন্য তাঁরা কাজ করেন। ওই নারীদের ১৬ জন তাঁত ও জমিতে কাজ করেন। দুজন ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।

সরকারি-বেসরকারি দুটি গবেষণায় দেখা যায়, দেশে দুই-তৃতীয়াংশ নারী পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হলেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হার মাত্র ৩ শতাংশ। সচেতনতার অভাব, সংসারে টিকে থাকার ইচ্ছা, লোকলজ্জা ও অর্থ খরচের ভয়ে অধিকাংশ নারী থানায় অভিযোগ করেন না। পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ অথবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩ ও ২০২০) বা অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক আইনে তাঁরা বিচার চান না। চর, উপকূল, পার্বত্য ও হাওর এলাকার ১৪ জেলার ১৪টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন পরিচালিত এক জরিপে বলা হয়েছে, গত বছর প্রায় ৩১ শতাংশ নারী শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

 

বছরের ২০ মিলিমিটারের বেশি ডুবছে চট্টগ্রাম নগরীদৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। বলা হচ্ছে চট্টগ্রাম শহর প্রতি বছর সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে গড়ে ২০ মিলিমিটারের বেশি হারে। বন্দরনগরীর সাগরে নিমজ্জনের গতি এখন বৈশ্বিক সমুদ্রপৃষ্ঠের বার্ষিক গড় উচ্চতা বৃদ্ধির ১০ গুণ।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত ডুবন্ত শহরগুলোর অন্যতম হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাপক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন, পরিবেশ দূষণ, অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ বন্দরনগরীর ঝুঁকিকে বহু গুণে বাড়িয়ে তুলেছে। প্রতিবেশগত যেকোনো বিপর্যয় চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভূপ্রকৃতির পাশাপাশি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ঝুঁকির মাত্রায় ভয়াবহ পর্যায়ে ঠেলে দেয়ার বড় আশঙ্কা রয়েছে।

 

বন্ধ ক্লিনিকে খতনা, রক্তক্ষরণে সংকটাপন্ন শিশুদেশ রুপান্তরের খবর। এতে বলা হয় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে বন্ধ করা একটি বেসরকারি হাসপাতালে খতনা করিয়ে এক শিশুর জীবন এখন সংকটের মুখে। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস নামের হাসপাতালটিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও হাসপাতালটির মালিকের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। শিশুটির স্বজনরা জানান, বুধবার ১২ বছর বয়সী ছেলে তোফায়েল আহমদ তামিমকে খতনা করাতে কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিকে যান নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকার উত্তর ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহিদের স্ত্রী রোকসানা পারভীন। ক্লিনিকের চিকিৎসক জাহিরুল ইসলাম জয় খতনা করার সময় অতিরিক্ত মাংস কেটে ফেলেন।

এরপর থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কয়েক দফা চেষ্টার পরও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ক্লিনিক কর্র্তৃপক্ষ তাকে সিলেটে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রোকসানা পারভীন সাংবাদিকদের জানান, কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিকে কয়েক দফায় চেষ্টা পরও অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের সিলেটে পাঠায়। সেখানে ভর্তির পর আরও এক ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করা হয়। তাতে রক্তক্ষরণ কিছুটা বন্ধ হলেও তার ছেলের অবস্থা ভালো নয়। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুস সামাদকে কয়েকবার ফোন করলে তিনি ধরেননি। তবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন দেলোয়ার বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন না পাওয়ায় চিকিৎসকের চেম্বার ছাড়া ক্লিনিকের বাকি অংশ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024