পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
কমফোর্ট জোন চিনতে হবে
স্মার্ট লিডারকে অবশ্যই তার প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে কমফোর্ট জোন খুজে বের করতে হবে। যেমন ক্রিকেটে একজন ব্যাটার শুরুতেই তার পরিপূর্ণ খেলা শুরু করে না। সে বিপরীত পক্ষের ফিল্ডিংকে প্রথমে বোঝার চেষ্টা করে। বেশ কয়েক ওভার বল নানানভাবে খেলার পরে সে তার কমফোর্ট জোন বের করে নেয়। সেই এলাকা দিয়ে ওই ব্যাটার কীভাবে খেলবে সেটা সে ধীরে ধীরে ঠিক করে।
তেমনি প্রতিটি বোলারের কোন ধরনের বলটা তার জন্য কমফোর্ট জোন সেটাও ওই ব্যাটার আগে বুঝে নেয়। তার পরে ঠিক ওই ধরনের বলগুলোই সে রানের জন্য খেলে বাকিগুলোকে সে শুধু ফেস করে।
স্মার্ট লিডার তার প্রতিটি কাজে এমনিভাবে কাজের প্রতি ক্ষেত্রের কমফোর্ট জোন বের করবে এবং সেই জোন দিয়েই কাজগুলো এগিয়ে নেবে।
বাধা অনিবার্য
মানুষের জীবন, প্রকৃতি, আর মানুষের প্রতিটি কাজের পথ কখনই একই রকম থাকে না।
জীবনের আজকের দিনটি যত সহজ থাকে আগামী দিনটি অতটা সহজ নাও হতে পারে।
প্রকৃতির দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, আজ হয়তো বাতাস মৃদুমন্দ। কাল ওই বাতাসে ঝড় উঠেতে পারে।
সমুদ্রে আজ রাতের চরিত্র গত রাতের মত নাও হতে পারে।
মরিচিকা মনে হলেও কখনও সেটা পানিও হতে পারে। আবার নাও হতে পারে।
এমনি অজস্র পরিবর্তনের ভেতর দিয়েই সব কিছু চলে।
যে কোন কাজের ক্ষেত্রেও তেমনি-
কাজ যে চরিত্র নিয়ে শুরু হবে ওই চরিত্র নিয়ে যে শেষ হবে তা কখনও নয়।
কখনও মনে হতে পারে এই কাজের গতির হয়তো পরিবর্তন হবে না। এভাবেই সহজে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে নদীর মতো সে বাঁক নিতে পারে।
তাই সম্ভাব্য বাধা ও তা অতিক্রমের মানসিক ট্রেনিং সব সময়ই নিজেকে নিতে হবে। এবং এখানে নিজের শিক্ষক নিজেই। প্রতিটি ভুল ও সাকসেসে সমান মানসিক অবস্থা রাখার মত মনোজগত তৈরি করতে হবে।
Leave a Reply