সারাক্ষণ ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের একটি আগ্নেয়গিরি থেকে ঠাণ্ডা লাভা নির্গত হওয়ার কারনে ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩৭ জন নিহত এবং এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা রবিবার এ খবর জানিয়েছেন।ভেজা আবহাওয়ার সময় ঠান্ডা লাভা,যেটা ‘লাহার’ নামেও পরিচিত এবং আগ্নেয়গিরির ধ্বংসাবশেষ যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ির মিশ্রণ এসব আগ্নেয়গিরির ঢাল দিয়ে নীচে নেমে আসে।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া সংস্থা ধ্বংসাবশেষের বেশ কিছু চিত্র শেয়ার করেছে যাতে দেখা যায় পশ্চিম সুমাত্রার একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট মারাপির পাদদেশের কাছে রাস্তা এবং পাহাড়ের পাশের গ্রামগুলি পুরু কাদা এবং ছাইয়ে ঢেকে গেছে ।
সংস্থাটি বলেছে যে আগ্নেয়গিরির কাদা ধসে ৮৪টি হাউজিং ইউনিট এবং ১৬টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগাম রিজেন্সি সহ চারটি জেলা জুড়ে অতিরিক্ত বন্যার খবর পাওয়া গেছে, যেখানে মুষলধারে বৃষ্টিতে ১০০ টিরও বেশি বাড়ি এবং বিল্ডিং তলিয়ে গেছে এবং গ্রামবাসীকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া সংস্থার একজন যোগাযোগ কর্মকর্তা আব্দুল মুহারি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বৃষ্টি এবং আগ্নেয়গিরির কাদা ধসে অন্তত ৩৭ জন মারা গেছে এবং যেখানে ৩৫ টি মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে – যাদের বেশিরভাগই বাড়ি প্রশাসনিক মহকুমা আগাম রিজেন্সিতে। এই মহকুমায় প্রায় ৫০০,০০০ পাঁচ লাখ মানুষের বাস।
২,৮৯১-মিটার-উচ্চ (৯,৫০০ ফুট) মাউন্ট মারাপি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলির মধ্যে একটি। এটি ১২৭টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি সহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত । উল্লেখ্য, এটি বিশ্বের যে কোনও জায়গার চেয়ে বেশি।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এটিতে ১১ বার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক একক ঘটনা ছিল ১৯৭৯ সালে, যাতে ৬০ জন অধিবসীর মৃত্যু হয়েছিল। ডিসেম্বরে একটি অগ্ন্যুৎপাতে ২৩ জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয় এবং তখন ৩,০০০ মিটার (৯,৮৪৩ ফুট) পর্যন্ত ছাই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরগুলি সহ আশেপাশের এলাকায় রাস্তা ও যানবাহন ঢাকা পড়ে ।
মাউন্ট মারাপিতে এবছরের জানুয়ারিতে একবার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল, এই সময় ইন্দোনেশিয়ার সরকার বাসিন্দাদের এবং দর্শনার্থীদের সতর্ক করেছিল এই বলে যে, “গর্তের ৪.৫ কিলোমিটার (২.৮ মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে যাতে কেউ না যায়।”
Leave a Reply